রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩ ১৭:১৩ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৩ ১৮:১৮ পিএম
কাল থেকে রাজশাহীর আম বাজারে পাওয়া যাবে। প্রবা ফটো
আগামীকাল থেকে রাজশাহীর আম বাজারে পাওয়া যাবে। তবে উন্নতজাতের আম পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১৫ দিন।
বুধবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং-সংক্রান্ত সভায় আম পাড়ার এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
রাজশাহীর আমের খ্যাতি এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই ভোক্তাদের বিষমুক্ত ও পরিপক্ক আমের নিশ্চয়তা দিয়ে গাছ থেকে পাড়ার সময় বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকলে বাগান থেকে পাড়তে হলে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব ধরনের গুটি জাতের আম বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে বাজারে নামবে। এরপর উন্নতজাতের অন্য আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রাণীপছন্দ ২০ মে এবং হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৫ মে থেকে নামিয়ে বাজারে তুলতে পারবেন বাগানমালিক ও চাষিরা। এদিকে ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ফজলি ১৫ জুন, ১০ জুন আম্রপালি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম নামানো যাবে। ১০ জুলাই থেকে গৌড়মতি আম এবং ২০ আগস্ট ইলামতি আম নামানো যাবে।
এ ছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে। তবে নির্ধারিত তারিখের আগে আম বাজারে পেলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তবে কোনো বাগানে নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকলে তা প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।
সভায় জলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ’রাজশাহীর ঐতিহ্য আম। বাজারে পরিপক্ক ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে প্রতিবছরই রাজশাহীতে তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এবারও সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে তারিখ ঠিক করা হয়েছে। তবে এর আগে যদি কোনো মালিকের আম গাছে পেকে যায়, তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবগত করে গাছ থেকে নামাতে পারবেন।’
জেলা প্রশাসক এ সময় কুরিয়ার ব্যবসায়ীদের সতর্ক বলে বলেন, ‘আম পরিবহনে অতিরিক্ত কুরিয়ার চার্জ বা দুর্ভোগের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আনিসুল ইসলামসহ কুরিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি ও আম উৎপানদকারী কৃষক।