অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৪ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম বাগান এলাকার কৃষক মৃণালের সূর্যমুখী বাগান। প্রবা ফটৈা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। এতে ওই এলাকার কৃষকদের মধ্যে দিন দিন সূর্যমুখী চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলার চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, ওয়াগ্গা, চিৎমরম ও রাইখালী ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে এই সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে। ফসলটি চাষে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি তেলের চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করে কৃষি বিভাগ।
কৃষক মৃণাল তনচংগা পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম সূর্যমুখী চাষ শুরু করেন। কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম বাগান এলাকায় তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ বাগানজুড়ে হলুদ রঙের সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। দৃষ্টিনন্দন হলদে সূর্যমুখী ফুলগুলো যেন সূর্যের দিকে তাকিয়ে হাসছে।
মৃণাল তনচংগার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ৪ মাস আগে সরকারি সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেছেন। প্রথমদিকে এই সূর্যমুখী চাষে চিন্তিত থাকলেও বর্তমানে ভালো সফলতা পেয়ে তিনি অনেক খুশি।
সূর্যমুখী চাষ করার ফলে তার বাগানটির অপার সৌন্দর্য এলাকাজুড়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছে। চাষের সফলতা ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ এক নজর বাগানটি দেখতে আসেন। চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। প্রাথমিক সফলতার পর আগামী বছর আরও বড় পরিসরে চাষ করার কথা চিন্তা করছেন মৃণাল।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক বলেন, কাপ্তাই কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষক মৃণাল তনচংগাকে সূর্যমুখী চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করেছি। তারই প্রেক্ষিতে স্থানীয় কৃষক মৃণাল তনচংগা ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেন। এর মধ্যে তার জমির প্রায় প্রতিটি গাছে সূর্যমুখী ফুলের দেখা মিলেছে। প্রথমবারের মতো এই পরীক্ষামূলক সূর্যমুখী চাষ করে সফলতা পাওয়ায় আমাদের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনবে। এতে স্থানীয় অনেক কৃষকের মনে সূর্যমুখী চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
উপজেলা উপসম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা মধুসূদন দে জানান, কৃষিমন্ত্রী বর্তমান সময়ে দেশে তেল জাতীয় উদ্ভিদের চাষের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে সরিষা এবং সূর্যমুখী চাষের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। তারই প্রেক্ষিতে গত চার মাস পূর্বে কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ৫ জন কৃষককে বাছাই করে জনপ্রতি ১ কেজি করে সূর্যমুখীর বীজ দেওয়া হয়। সেই ৫ জনের মধ্যে মৃণাল তনচংগার বাগানে ইতোমধ্যে ফুল এসেছে। আশা করছি কাপ্তাইয়ে সূর্যমুখীর চাষের সফলতা আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।