প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩ ২১:১৫ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৪ পিএম
এখন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন ১৭টি দপ্তর ও সংস্থার ৪৫টি নাগরিকসেবা একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। যা থেকে কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কোটিরও বেশি জনগণ সরাসরি সুবিধা ভোগ করবেন।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (moa.gov.bd) থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিসে ক্লিক করলে এসব সেবা মিলবে।
বুধবার (১৫ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই ডিজিটাল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্লাটফর্ম উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা প্রদত্ত নাগরিক সেবাগুলো এক জায়গায় খুব সহজেই পাওয়া যাবে। এতে সেবা প্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ কমবে।
এই পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমান নাগরিক সেবাগুলোকে (যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে) খাত, ধরন দপ্তর/অধিদপ্তর অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, শস্য, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, সার, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ এবং কীটনাশক বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও সকল সংস্থা প্রদত্ত সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে। এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সন্নিবেশ করা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায়, কত খরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবাগুলো পাওয়া যাবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবার সেবাপদ্ধতির ধাপগুলো বর্ণনা করা হয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনও পিছিয়ে আছে। এখাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়।
বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।