× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নাজিরপুরে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৯টি খাল খনন

পিরোজপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৩ পিএম

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫০ পিএম

পিরোজপুরের নাজিরপুরে খাল খননের কাজ করার সময়। প্রবা ফটো

পিরোজপুরের নাজিরপুরে খাল খননের কাজ করার সময়। প্রবা ফটো

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ৯টি ছোট বড় খাল পুনঃখনন চলছে। খাল কাটা শেষ হলে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়বে বলে ধারণা করছে স্থানীয় কৃষকরা। নাজিরপুর এলাকায় ১৫ দিন ধরে এ খালের খননকাজ শুরু হয়ে এখনও চলমান রয়েছে। 

জমিতে উৎপাদিত ফল, ফুল ও কৃষিজ পণ্যের জন্য এ উপজেলার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। এখানে সূর্যমুখী ফুল আর মাল্টা চাষের রয়েছে যেমন সুখ্যাতি, তেমনি রয়েছে মৎস্য চাষ, ভাসমান সবজির বেড ও ভাসমান সবজি কেনাবেচার উপযোগী পরিবেশ। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেই বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদনের রেকর্ড রয়েছে। আর এই খাল খননের ফলে কৃষিপণ্য ও রবিশস্যের উৎপাদন বাড়বে দ্বিগুণ।

উপকারভোগী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিয়নে শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে আউস ও বোরো ফসলসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গ্রামের ভেতর থেকে বয়ে যাওয়া প্রধান খাল ও শাখা খালগুলোর অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ায় পানির প্রবাহ হ্রাস পেয়েছিল। ফলে জমিতে সেচ দিতে না পারায় প্রতিবছর শত শত একর ফসলি জমি অনাবাদি রয়েছে। এতে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছে। এবার খাল পুনঃখননের কারণে ধানসহ বিভিন্ন রবিশস্য আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদিত হবে।’  

নাজিরপুর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগের উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘এ অঞ্চলের বিভিন্ন খালের নাব্যতা সংকটের ফলে পানি সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকরা তাদের আবাদি ফসল উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ধরে রাখতে পারছিলেন না। পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় এলজিইডি এ বছর উপজেলার মোট ১ হাজার হেক্টর জমির অভ্যন্তরীণ ১১ দশমিক ৯২৫ কিলোমিটার ৯টি খাল খননের কার্যক্রম গ্রহণ করে কাজ শুরু করেছি। যার মধ্যে ৪০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।’

শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বেপারী বলেন, ‘গ্রামীণ জনপদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভরাট খালগুলো উদ্ধার করে খনন ও পুনঃখনন করা হচ্ছে। এতে যেমন খালের নাব্যতা ফিরে আসছে, তেমনি ফসলের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন বাড়বে।’

উল্লেখ্য, উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের জয়পুর ভীমকাঠি ও কালিকাঠি গ্রামে ৯টি খাল খননের কাজ চলমান রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে ৭৯০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত ৩০ ভাগ বোরোসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হবে। একই সঙ্গে খালের প্রবাহিত পানির সঙ্গে পলি এসে জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ সেচ কাজে আসবে গতিশীলতা এবং বাঁচবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা