রাজবড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৮ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৮ পিএম
শীত ও কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। প্রবা ফটো
রাজবাড়ীতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চরম লোকসানের মধ্যে পড়েছেন চাষিরা।
রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলা, সদর, পাংশা, গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি ও কালুখালীতে বোরো আবাদ করতে ৫৩১ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু একটানা ১৮ দিন ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় এসব বীজতলার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। সবুজ বীজতলা এখন ফ্যাকাশে, লালচে ও পচে নষ্ট হওয়ায় চরম লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।
কোনো কোনো স্থানে ধানের বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই কুয়াশা ও শীতে পচে গেছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে পলিথিনের ব্যবহার ও সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বীজতলা। এখন বেশি দামে ধানের চারা কিনে ধান রোপণ করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না চাষিরা। এ কারণে চাষিরা বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
এমন লোকসানে পড়ে সরকারি সহযোগিতার আশা করছেন চাষিরা। এ বছর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭৫ হেক্টর, সেখানে বীজতলা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৩১ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ হেক্টর বেশি।
সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বোরো চাষি আব্দুল হালিম শেখ বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশা ও শীতের কারণে তাদের বেশির ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর সময় নেই পুনরায় বীজতলা করে আবাদ করার। বেশি দামে চারা কিনে আবাদ করা ছাড়া কোনো পথ দেখছেন না তিনি।
তার মতো ঈসমাইল ব্যাপারী, শামীম শেখসহ আরও অনেকে বোরো বীজতলা তৈরি করে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালক এসএম সহীদ নুর আকবর বলেন, বোরো বীজতলা শীত ও কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হলে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পানি ছেড়ে দিতে হবে। এতে বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
কৃষকদের শুকনো স্থানে বীজতলা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।