গাজীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২১ পিএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৪৬ পিএম
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কীটতত্ত্ব বিভাগে জৈব বালাইনাশক গবেষণাগারের উদ্বোধন করা হয়। ছবি : প্রবা
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কীটতত্ত্ব বিভাগে জৈব বালাইনাশক গবেষণাগার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ গবেষণাগার উদ্বোধন করেন।
‘বাংলাদেশে শাকসবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় এবং রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশকভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
এ গবেষণাগারে ফসলে রাসায়নিক কীটনাশকের অপব্যবহার রোধ এবং নতুন নতুন জৈব বালাইনাশকভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
গবেষণাগার উদ্বোধন শেষে ‘বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় এবং রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা কীটতত্ত্ব বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ফেরদৌসী ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. এমদাদ হোসেন, বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) তারিকুল ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং) সৈয়দ নূরুল আলম।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও অংশগ্রহণ করেন বারির বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক প্রস্তুতকারী কোম্পানির প্রতিনিধি এবং কৃষক প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় জানান হয়, ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত চলমান এ প্রকল্পটির কার্যক্রম দেশের ১৪টি জেলার ২১টি উপজেলায় পরিচালিত হয়। প্রকল্পের আওতায় ৩০টি জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফসলের জন্য ক্ষতিকর ৭টি পোকা আবিষ্কার, ২৬টি নতুন জৈব বালাইনাশক নিবন্ধন এবং ১টি জৈব বালাইনাশক গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, দেশে পোকামাকড়ের আক্রমণসহ বিভিন্ন কারণে মোট ফসলের ১০-১৮ ভাগ উৎপাদন পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষকের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে ফসলে যত্রতত্র এবং মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলে রাসায়নিক কীটনাশকের অপব্যবহার রোধ এবং জৈব বালাইনাশের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।