প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫ ১৭:৪৬ পিএম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশীয় জাতের গবাদিপশু উৎপাদনে যথাযথ সহায়তা ও সঠিক পদ্ধতি নিশ্চিত করা গেলে এগুলোকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব। গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন হলে পশু খাদ্যের গুণগত মান ও উপাদান নিয়ে গবেষণা জোরদার করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সাভারে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে নবনির্মিত ডরমিটরি ভবনের (হোয়াইট হল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, নতুন ডরমিটরি ও মনোরম পরিবেশে প্রশিক্ষণের ফলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়বে। এর সুফল পাবেন দেশের খামারিরা।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এ বছর কোরবানিতে গবাদিপশু সুস্থ ও সবল ছিল।
শিল্প-কারখানাভিত্তিক পশু পালন জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দেশের প্রান্তিক খামার ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়বে। বর্তমানে খামারিরা যেভাবে গবাদিপশু পালন করছেন, তাতে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
কৃষির মতো প্রাণিসম্পদখাতে ভর্তুকি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে খামারিরা সরাসরি উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের কল্যাণে নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হয়েছে। এই খাতের কর্মকর্তাদের শুধু শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের নয়; অন্য তরুণদেরও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
এরপর উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং খামারের বর্তমান অবস্থা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন। এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা: এ কে এম হুমায়ুন কবীর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ বেগম শামছুননাহার আহম্মদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক মো: শাহজামান খান, এলডিডিপি প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রশিক্ষণের জন্য আগত বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারের ৩৩ এবং ৪৩ ব্যাচের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা দেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা: মো: জসিম উদ্দিন।