প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫ ১৪:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৫ ১৪:৩৮ পিএম
দেশে প্রতি বছর ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণে হারাচ্ছে। অথচ ভিয়েতনাম ও চীনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এসব সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তাই দেশেও জলাশয়কে রিজার্ভ হিসেব চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত ‘কৃষিতে বাজেট ২০২৫-২৬ টেকসই প্রবৃদ্ধির রূপরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। সেমিনারটির আয়োজন করে কৃষি অর্থনীতি সমিতি।
সমিতির সভাপতি আহসানুজ্জামান লিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিবসবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বক্তারা ব্লু ইকোনমি সম্পর্কে বলেন, বঙ্গোপসাগরে বছরে ৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছ পাওয়া যায়। এটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ মাত্র ০ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আহরণ করা হয়।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কৃষিতে গবেষণা বাড়ছে। এখাতে অভূত উন্নতি হয়েছে গার্মেস্ট, রেমিট্যান্স ও কৃষি অর্থনীতির চালিকাশক্তির।
ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কৃষিবাজেট যারা প্রণয়ন করেন তারা কৃষির সার্বিক মূল্যায়ন করে বাজেট বাড়ান না।
খাদ্য মূল্যস্ফিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। এর মূলে রয়েছে কৃষির উৎপাদন কমে যাওয়া। তাই মূল্যস্ফিতি কমাতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ হারে বাজেট বাড়লেও কৃষিবাজেট বাড়ছে ৩ শতাংশ হারে। মোট বাজেটে কৃষির হিসাব বাড়াতে হবে। মোট বাজেটের মধ্যে ১০ শতাংশ হারে কৃষি ও ৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, মূল্য সহায়তা করা হচ্ছে না। সবজির দাম না পেয়ে কৃষক গরুকে খাওয়াচ্ছে। এ জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।