× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ধানের বাম্পার ফলনেও স্বস্তিতে নেই কৃষক

ফারুক আহমাদ আরিফ

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪৫ এএম

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১১ এএম

ধানের বাম্পার ফলনেও স্বস্তিতে নেই  কৃষক

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তার পরও হাসি নেই কৃষকের মুখে। তাদের মুখে চরম দুশ্চিন্তা। একদিকে দালাল, ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত দামেও তারা হতাশ। সেচযন্ত্রের জ্বালানি ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়তি সেই সঙ্গে বেড়েছে সার, কীটনাশকসহ শ্রমিকের মজুরি। অথচ ধানের উৎপাদন খরচের সঙ্গে মিলছে না বাজার মূল্য। সরকার গতবারের চেয়ে কেজিতে ৪ টাকা ধানের দাম নির্ধারণ করেছে। তারপরও কৃষকের শঙ্কা ন্যায্য দাম না পাওয়ার। 

এবারের বোরো মৌসুমে সরকার ধান ও চাল কিনবে সাড়ে ১৭ লাখ টন। এর মধ্যে কৃষকের থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান এবং মিলারদের থেকে ৪৯ টাকা কেজিতে ১৪ লাখ টন চাল কিনবে। কৃষক ও কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের ধান কেনার পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ। আর যে দামে ধান ও চাল কেনা হবে, তাতে কৃষককে ঠকানো হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

চলতি বোরো মৌসুমে আজ ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান ও চাল কেনার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। গত ৯ এপ্রিল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে, তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তবে কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সারা দেশে একই দামে ধান-চাল কেনা যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ স্থান ও অঞ্চলভেদে উৎপাদনের ব্যয় কম-বেশি হয়। তারা বলছেন, এভাবে ধান কিনলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এ সম্পর্কে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সরকার পুরো মৌসুমের জন্য একবার ধানের দাম নির্ধারণ করে, এটি ঠিক না। কেননা ধান কাটার প্রথম দিকে যে ওজন থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে সে ওজন কমে যায়। তা ছাড়া সারা দেশে উৎপাদন খরচও সমান না।’ 

তিনি অঞ্চল ও সময়ভেদে দাম নির্ধারণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার সব সময় কৃষকের থেকে কম ধান কেনে অন্যদিকে মিলারদের থেকে বেশি পরিমাণ চাল কেনে। এক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি ধান শুকানো ও সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। তাই ধান না কিনে চাল কেনা হয়। এটিও ঠিক না। কারণ চাতালওয়ালাদের টাকা দিলে তারা ধান শুকিয়ে চালে রূপান্তর করে দেবে।’ 

ড. জাহাঙ্গীর ‘সরকারকে ধাপে ধাপে বাজারের দর অনুযায়ী ধানের দাম বাড়াতে হবে। বাজারে যে দাম থাকবে সরকারকে তার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ধান সংগ্রহ করতে হবে। কেননা কৃষককে ধান নির্ধারিত গুদামে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়। এতে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী হারায়।’

সমস্যার সমাধানের পথ বাতলে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক থানা বা উপজেলাকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করতে হবে। সরকার নির্ধারিত তারিখে কৃষকরা ধান নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই মৌসুমের মোট উৎপাদনের কমপক্ষে ১০ ভাগ ধান কিনতে হবে। সেই সঙ্গে চাল কম কেনার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।’ 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিবিজনেস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের কৃষকরা তাদের নিজের শ্রমের মূল্য ধরে না। তারা জমিতে প্রতিদিন গড়ে যে পরিমাণ কাজ করে ও দেখাশোনায় সময় ব্যয় করে গড়ে ১০০ টাকা করেও যদি ধরা হয়, তাহলে মাসে ৩ হাজার টাকা দাঁড়ায়। সে হিসাবে বীজতলা তৈরি থেকে বাজারজাত পর্যন্ত ৪ মাসে একজন কৃষক ন্যূনতম ১২ হাজার টাকার শ্রম ব্যয় করেন। ধানের দাম নির্ধারণ করার আগে শ্রমের এই দাম যোগ করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘একজন কৃষক নিজের জমিতে চাষ করলেও সে খরচ হিসাব করতে হবে। কৃষক নিজের জমিতে কাজ না করে অন্যের জমিতে কাজ করলে দৈনিক ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পায়। নিজের জমিতে ফসল ফলনের প্রথম দিকে গড়ে ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করে। তার পরিবারের লোকেরাও কাজ করে। এগুলো মূল্যায়ন করেই ফসলের দাম নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’ কৃষকের শ্রম ও জমির মূল্য ধরে ধানের দাম নির্ধারণ না করলে কৃষক ন্যায্য দাম পাবে না। তার প্রাপ্ততা থেকে বঞ্চিত হবে, ঠকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

কৃষকের ধান উৎপাদন খরচে অঞ্চলভেদে পার্থক্য থাকে। বিশেষ করে বোরো ধান সেচ ও সারের ওপর নির্ভরশীল। তাতে যে অঞ্চলে সেচ ও সারের পরিমাণ বেশি দিতে হয় সেসব অঞ্চলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি গড়ে ৩১ থেকে সোয়া ৩৬ টাকা।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের খিদিরপাড়া গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন এবার এক বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। তার কাছ থেকে খরচের একটি হিসাব পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, জমি ভাড়া বাবদ (৪ মাসে) খরচ ৪ হাজার ৫০০ টাকা, চাষ ও পানি সেচে ২ হাজার ৫০০ টাকা, কীটনাশক কেনা ও ছিটানো ১ হাজার ৫০০ টাকা, ধানের চারা রোপণ ও নিড়ানি তিন হাজার টাকা, সার বাবদ ৯০০ টাকা, ধান কাটা বাবদ ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ধানের বীজতলা থেকে শুকানো পর্যন্ত ৪ মাসে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক শ্রমের জন্য দৈনিক ১০০ টাকা ১২ হাজার টাকাসহ মোট খরচ ২৮ হাজার ৯০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয় ২০ মণ। সে হিসাবে উৎপাদিত ধানের ধান পড়ে ৩৬ টাকা ১২ পয়সা। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ হিসাবে ২০ মণ ধানের মূল্য ২৮ হাজার টাকা। সে হিসাবে শুধু খড়ের টাকাটা আয় থাকে। 

ইমরান হোসেন বলেন, ‘বগুড়ায় যেসব এলাকায় আলুর আবাদ হয় সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন ভালো হয়। সেক্ষেত্রে বোরো ধানে কৃষক একটু হলেও লাভের মুখ দেখে কিন্তু আমনের ক্ষেত্রে তা হয় না। কারণ আমনে সার বেশি লাগে এবং ফলনও অনেক কম (বিঘাপ্রতি ১৩-১৪ মণ) হয়। এজন্য কৃষক আমনে লোকসান খায়। আর আলুর পর ধান করলে সার কম লাগে।’ 

বোরো মৌসুমে দেশের প্রায় ১০ ভাগ ধান উৎপাদন হয় সিলেট, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলে। হাওরে বোরো ধান উৎপাদনে কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে নিকলীর মজলিশপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন জানান, ‘এক একর (১৪০ শতাংশ) জমি চাষাবাদের জন্য পাঁচ কেজি ধানের বীজ প্রয়োজন। ধানের হীরা বীজে খরচ ১৮০০ টাকা, ৬০ কেজি ইউরিয়া সারে ব্যয় ১৮০০ টাকা, টিএসপি সারে খরচ ২৫০০ টাকা, সেচ খরচ ৮ হাজার টাকা, চাষাবাদ বাবদ খরচ ৫ হাজার টাকা। ধান রোপণে খরচ ৫ হাজার টাকা, কীটনাশক বাবদ খরচ ৪ হাজার টাকা, আগাছা পরিষ্কার বাবদ খরচ ৪ হাজার ৫০০শ টাকা, ধান কাটা বাবদ খরচ ১০ হাজার ৪০০ টাকা, ধান মাড়াই খরচ ৩ হাজার টাকা, ধান ঝাড়া বা পরিষ্কার বাবদ খরচ ২ হাজার টাকা। ধান বিক্রির জন্য বাজারে নিতে ট্রলি ভাড়া ৩ হাজার টাকাসহ মোট খরচ ৫১ হাজার টাকা। একরপ্রতি ধান হয় ৮৪ মণ। সে হিসাবে প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন ব্যয় ৩১ টাকা ৮৭ পয়সা। 

বর্তমান হাওরাঞ্চলে ৮০০ টাকা মণে ধান বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষক পাচ্ছেন ৬৭ হাজার ২০০ টাকা। উৎপাদন ব্যয় ৫১ হাজার বাদ দিলে কৃষকের লাভ থাকে ৭ হাজার ৮০০ টাকা। তবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক শ্রম হিসাবে ১২ হাজার টাকা যুক্ত করলে উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ৬৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে লাভ থাকে মাত্র ৪ হাজার ২০০ টাকা।  ধান উৎপাদনে কেমন খরচ হয় তার একটি হিসাব সরকারিভাবেও করা হয়। সরকারি ও কৃষকের দেওয়া হিসাবেও রয়েছে গরমিল। 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাদিয়া তাসমিনের দেওয়া হিসাবে দেখা যায়, ‘এক বিঘা জমির জন্য ইউরিয়া সার ৭২০ টাকা, টিএসপি ৩৬০ টাকা, এমওপি ৩৫০ টাকা, দস্তা ৩০০ টাকা, জিপসাম ১৫০ টাকা, জৈব সার ২ হাজার টাকাসহ ৩ হাজার ৮৮০ টাকা। বীজ ৩০০ টাকা, কীটনাশক ২ হাজার টাকা, সেচ ২ হাজার টাকা, বীজতলা তৈরি ৫০০ টাকা, জমি চাষ ১ হাজার ৫০০ টাকা, চারা রোপণ ২ হাজার ৫০০ টাকা, নিড়ানি ২ হাজার টাকা, ধান কাটা ও মাড়াই ৫ হাজার টাকা, বাজারজাত ৫০০ টাকা ও অন্যান্য ব্যয় এক হাজারসহ মোট ব্যয় ২১ হাজার ১৮০ টাকা। 

এক বিঘায় ধান উৎপাদন হয় ২০ মণ। প্রতি মণ ১ হাজার ৪৪০ টাকা হলে ২০ মণের দাম ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। তাতে লাভ থাকে ৭ হাজার ৬২০ টাকা। সরকারি এ হিসাবে জমি ও কৃষকের ৪ মাসের শ্রমের মূল্য ধরা হয়নি। কৃষকের ৪ মাসের পারিশ্রমিক ১২ হাজার টাকা ধরা হলে উৎপাদন ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ১৮০ টাকা। তাতে ঘাটতি থাকে ৪ হাজার ৩৮০ টাকা। 

ধান চাষে কৃষকের মুনাফা থাকে না : ইফপ্রি

বাংলাদেশে ধান ও গম চাষ করে কৃষকের মুনাফা থাকে না এ বিষয়টি উঠে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফপ্রি) দুটি গবেষণায়। ২০১৩ সালে করা এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে ভূমিহীনসহ ৪০ শতাংশ কৃষক অন্যের জমিতে বর্গা চাষ করে। ধান চাষিদের ৩৪ শতাংশই মুনাফা পায় না। সেখানে ভূমিহীনদের লোকসান বেশি। 

কেন মুনাফা পায় না তার কারণ সম্পর্কে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সরকার ধান সংগ্রহের জন্য যে দাম নির্ধারণ করে সেখানে জমির ভাড়া, কৃষকের নিজের ও পরিবারের সদস্যদের শ্রমকে সঠিকভাবে বিবেচনায় এনে হিসাব করা হয় না। কৃষকের জমির ভাড়া ও শ্রম মূল্য সংযুক্ত করলে সরকারের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেশি হয়।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত ইফপ্রির অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়, ‘দেশের প্রায় ৭৪ শতাংশ জমিতে ধান উৎপাদন হয়। এর পরিমাণ ছয় কোটি টনের বেশি। তবে ধান চাষে মুনাফা খুবই সীমিত।’ গবেষণায় আরও আরও বলা হয়, ‘প্রতি হেক্টর জমিতে ধান আবাদে কৃষকের মুনাফা থাকে মাত্র ২৯ হাজার ৩৮৫ ও গমে ১৮ হাজার ৭৯১ টাকা।’

কোন পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ

৩৫ বছর ধরে কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী ধান ও চালের দাম নির্ধারণের বিষয়ে বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে দেওয়াই উত্তম পদক্ষেপ।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তিন প্রতিষ্ঠান মিলে ধানের উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে। তারা সেচ, সার, কৃষি শ্রমিক মজুরি, বিপণন খরচের সঙ্গে ন্যূনতম ১০% মুনাফা যোগ করে উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে।’ 

তবে মুনাফার হার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত যোগ করার সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে মহসিন আলী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণে উৎপাদন খরচ ও মুনাফা যোগ করে ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।’ 

তিনি বলেন, ‘কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি এবং ভোক্তার দিক বিবেচনায় মনে হয়, ক্রয়মূল্য নির্ধারণে মুনাফার হার ১৫ শতাংশ হওয়াটা যৌক্তিক।’ 

সরকার কীভাবে ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করে থাকে সে সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) গবেষণা পরিচালক ফিরোজ আল মাহমুদ বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি দাম প্রস্তাব করা হয়। সেই দাম নিয়ে এফপিএমইউ বৈঠকে আলোচনা-পর্যালোচনা করে দাম নির্ধারণ করা হয়।’ 

একই মৌসুমে একাধিকবার দাম নির্ধারণ করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দাম নির্ধারণ করি বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য। সেখানে একাধিকবার দাম নির্ধারণ করলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা