× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শিল্পে ইচ্ছামাফিক পানি ব্যবহার করা যাবে না : সৈয়দা রিজওয়ানা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫ ২২:২৯ পিএম

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৫ পিএম

শনিবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় কথা বলেন পানি সম্পদ এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রবা ফটো

শনিবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় কথা বলেন পানি সম্পদ এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রবা ফটো

শিল্পে যাচ্ছে তাইভাবে পানি ব্যবহার করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, শিল্পে পানি ব্যবহারের জন্য নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন রোডস্থ পানি ভবনে বিশ্ব পানি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ‘পানিখাতে সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পানি নীতি এবং জাতীয় পানি সম্পদ পরিকল্পনা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন তিনি।

জাতিসংঘ এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘হিমবাহ সংরক্ষণ’ আর বাংলাদেশ দিবসটির আহ্বান হিসেবে রেখেছে ‘মাটির নিচের পানি অশেষ নয়, আপনার সন্তানের স্বার্থে পানি ব্যবহারে যত্নশীল হউন’।

পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক একেএম তাহমিদুল ইসলাম। সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জলাভূমি ও হাওর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমান, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক এবিএম শামসুল হুদা, সাংবাদিক ও রিভারাইন পিপলের সদস্যসচিব শেখ রোকন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন- পানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, নদী গবেষক এবং রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুটি বড় বন্যা হয়েছে। আগেই বাজেট ঘোষিত হওয়ায় সেখানে হাত দেওয়া যায়নি। তাই বাজেট কাটছাঁট করে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের নদীর ও পানির একক মালিকানা নেই। কেননা পানিসংকটান্ন এলাকা আমরা ঘোষণা করার ক্ষমতা থাকলে তা সরবরাহ করতে পারি না। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে যুক্ত করে কাজ করতে হবে।

পাহাড়ে পানির সমস্যা সম্পর্কে বলেন, সেগুনগাছ লাগিয়ে পাহাড়ের পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। পানি আইনে নির্বাহী পরিষদের প্রধান করা হয়েছে সরকার প্রধানকে। অথচ এ নিয়ে একটি মিটিংও হয়নি। এটি বাদ দিয়ে কার্যকর নির্বাহী পরিষদ বানাতে হবে।

একেএম তাহমিদুল ইসলাম বলেন, পানি খাতের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা সংশ্লিষ্ট। আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ সব জায়গায় করব না, বরং ব্যবস্থাপনা করব। আমরা প্রকল্পের জন্য প্রকল্প আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রকল্প করব না। বরং সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকল্প করব। প্রকল্প নেওয়ার সময় স্থানীয়দের প্রয়োজন ও অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিচ্ছি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তাপাড়ের বেশি ভাঙনপ্রবণ ৪৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ২৪৩ কোটি টাকার অনুমোদন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। তবে প্রথম বছরে তিস্তার অধিক ভাঙনপ্রবণ ২০ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে তিস্তার অধিক ভাঙনপ্রবণ বাকি ২৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজও দ্রুততার সঙ্গে করা হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনার ফিজিবিলিটি স্টাডির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে দুইটা শর্তে এবং সেটা হচ্ছে- পাওয়ার চায়না তিস্তা পাড়ের মানুষদের কাছে গিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথাটা বলবে। যারা নদী নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে কথা বলবে। ইতোমধ্যে তিস্তাপাড়ের ৫ জেলায় গণশুনানি হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে, ওই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনার জন্য চীন থেকেও তাদের বিশেষজ্ঞ টিম আসবে। সকলের সম্মতি নিয়েই আসলে কতটুকু উপকার হবে এটা বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদীগুলোতে এমনভাবে সেতু করা হচ্ছে, যার ফলে নদীগুলো মারা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সেতু করার সময় এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে নদীর ক্ষতি না হয়।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ৫৭টি। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে দুদেশের সমান সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, আমরা বাঁধ নিয়ে এত ব্যস্ত যে পানি উন্নয়নে মনোযোগ দিইনি। নদীতে সেতু তৈরির ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা