× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আবাদ বেড়েছে বিদেশি ফলের

ফারুক আহমাদ আরিফ

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ১০:১৪ এএম

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫ ২০:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

একটা সময় ছিল ফলের জন্য আমাদের সাধারণত আমদানির ওপরই নির্ভর করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই আমদানির চাপ কিছুটা হলেও কমছে। কেননা আঙ্গুর, মাল্টা, কমলা, স্ট্রবেরি ও ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশি ফলের আবাদ দেশেই দিন দিন বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের ৩৮ জেলায় ৩৪ প্রজাতির বিদেশি ফলের আবাদ হচ্ছে। এসব ফলের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে গত ৯ বছরে ফলের উৎপাদন বেড়েছে ৫০ লাখ মেট্রিক টন।

বর্তমানে দেশে ষাটেরও বেশি প্রজাতির ফল চাষ হচ্ছে, তার মধ্যে ৩৪ প্রজাতির রয়েছে বিদেশি। এ ছাড়াও গত ১৮ বছর ধরে দেশি-বিদেশি মিলে প্রতিবছরই গড়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ফলের উৎপাদন বাড়ছে।

কী বলছেন ফল চাষিরা

নাটোর সদর উপজেলার আলফাজুল আলম ২০১২ সাল থেকে ড্রাগন ও মাল্টা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ২২ বিঘা জমিতে ড্রাগন ও ৬ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা প্রাকৃতিকভাবে ফল চাষ করছি। এসব বাগানে ফল বড় করতে কোনো মেসিডিন ব্যবহার করি না। এতে ফলের আকার ছোট হচ্ছে, দামও কম পাচ্ছি। কিন্তু যারা টনিক মেডিসিন ব্যবহার করছে তাদের ফল আকারে বড় হলেও স্বাদ ভালো নয়। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা থাকা দরকার।

নাটোর সদরের আলাইপুর গ্রামের সালিম রেজা দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ফল চাষ করছেন। ২০০০ সালে আপেল কুল চাষের মাধ্যমে তার ফল চাষে হাতেখড়ি। তারপর তিনি ও আলী হোসেন দেশে প্রথম থাই পেয়ারা চাষ করেন। বর্তমানে ৭২ প্রজাতির আম, শরিফা, অ্যাভাকাডো, রাম্বুটান, ড্রাগন, বারোমাসি কদবেল, বাতাবিলেবুসহ বিভিন্ন প্রকারের ফল চাষ করছেন দেড়শ বিঘা জমিতে। সালিম রেজা বলেন, এক বিঘা জমিতে থাই পেয়ারা চাষ করলে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়।

গত ১৭ বছর ধরে ফল চাষ করছেন খাগড়াছড়ি সদরের রবিজয়পাড়া গ্রামের কৃষক সুজন চাকমা। তিনি আম, লিচু, রাম্বুটান, পার্সি, অ্যাভোকাডো, লোকোমাসহ বিভিন্ন প্রকারের ফল চাষ করে থাকেন। গত বছর তিনি ১ কোটি ৭ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। তার আগের বছর ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন।

সুজন চাকমার ফল চাষের আগ্রহ জাগে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখে। পরবর্তীতে নিজে কয়েক প্রকারের ফলের আবাদ করে লোকসানে পড়েন। হাল না ছেড়ে লেগে থাকেন। বর্তমানে তিনি একজন সফল ফলচাষি। সুজন চাকমা বলেন, ইচ্ছা ছিল উদ্যোক্তা হব। সেজন্য মাছ চাষ ও নার্সারি করে সফল হইনি। কিন্তু ফল চাষ করে সফল হয়েছি। বর্তমানে ১০০ একর জমিতে ফল চাষ করছি। ৫০ একর জমিতে আমবাগান, ৫ একর জমিতে রাম্বুটান, লোকোমা ৪ একর, অ্যাভোকাডোর ৮০টি গাছ, ৬০০টি লটকন গাছ রোপণ করেছি।

তিনি বলেন, এসবের পরিচর্যা নিজেই করি, কৃষি অফিসের কোনো সহযোগিতা পাইনি। যেসব ফলের চারা রোপণ করলে ভবিষ্যতে উন্নতি হবে না তা বন্ধ করতে হবে। কৃষি অফিসের কথামতো ২০০৭ সালে লিচুর চারা রোপণ করে ফল না পেয়ে ১৪ বছর পর তা কেটে ফেলতে হয়েছে। ১৪ বছর পর ফলন না পাওয়া একজন উদ্যোক্তার পথে বসার মতো অবস্থা। সরকারি নার্সারিতে মানুষ খায় না সেই মল্লিকা আমের চারাও বিক্রি হচ্ছে।

কোথায় কোন জাতের ফলের চাষ

দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে বেশিরভাগ তথা ৩৮টি জেলায় বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ডিএইর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, দেশের ৩৮ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে বিদেশি ফল। এসবের মধ্যে ড্রাগনের উৎপাদন ৩৬ এবং মাল্টা চাষ হচ্ছে ২৮ জেলায়। কমলা উৎপাদন হচ্ছে ২১ ও স্ট্রবেরি ১৩ জেলায়। ড্রাগন চাষে ৩৬ জেলার মধ্যে রয়েছেÑ টাঙ্গাইল, বগুড়া, ফরিদপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, নওঁগা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝালকাঠি, ফেনী, বাগেরহাট, সিরাজগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, মেহেরপুর, গাজীপুর, গাইবান্ধা, মাদারীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজার, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, পাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট ও নোয়াখালী।

এ ছাড়াও মাল্টা চাষের ২৮ জেলা হচ্ছেÑ টাঙ্গাইল, বগুড়া, ফরিদপুর, দিনাজপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, নাটোর, নওঁগা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, ফেনী, রংপুর, মেহেরপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া ও জয়পুরহাট।

কমলা চাষে ২১ জেলার মধ্যে রয়েছেÑ দিনাজপুর, চাঁদপুর, নাটোর, রাজশাহী, নওঁগা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ঝালকাঠি, গাজীপুর, গাইবান্ধা, যশোর, মৌলভীবাজার, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, ঝিনাইদহ, পাবনা, কুষ্টিয়া ও জয়পুরহাট।

১৩ জেলায় চাষাবাদ হচ্ছে স্ট্রবেরি। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, নওঁগা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, রংপুর, গাজীপুর, ঠাকুরগাঁও, সিলেট, পাবনা ও জয়পুরহাট। ৭ জেলায় চাষ হচ্ছে কাজুবাদামের। জেলাগুলো হলো- টাঙ্গাইল, বগুড়া, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, সিলেট ও পাবনা। রকমেলন হচ্ছে ৭ জেলায়। তার মধ্যে রয়েছেÑ বগুড়া, নওগাঁ, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও ঝিনাইদহ। এ ছাড়াও নওগাঁ, বাগেরহাট, ফেনী, মেহেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরসহ ছয় জেলায় চাষ হচ্ছে পেয়ারা। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, বগুড়াসহ ছয় জেলায় হচ্ছে খেজুর। বগুড়া, নওগাঁ, ফেনী, যশোর, ঠাকুরগাঁওসহ পাঁচ জেলায় মধ্যপ্রাচ্যের ত্বিন ফল। ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা, ঝিনাইদহসহ পাঁচ জেলায় আঙ্গুর। টাঙ্গাইল, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনসহ চার জেলায় আনার। টাঙ্গাইল, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় অ্যাভোকাডো। নওগাঁ, রংপুর, মেহেরপুর ও যশোরে গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ তরমুজ)। টাঙ্গাইল, নওগাঁ, যশোরসহ তিন জেলায় লংগান। নওগাঁ, রংপুর, যশোরসহ তিন জেলায় থাই পেঁপে এবং টাঙ্গাইল ও মৌলভীবাজার জেলায় চাষ হচ্ছে রাম্বুটান।

পাশাপাশি টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজারে লিচু এবং টাঙ্গাইল, যশোরে পারসিমন আবাদ হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধায় বিলাতি গাব। নওগাঁ ও যশোরে মালবেরি, নওগাঁ ও যশোরে থাই সবেদা, টাঙ্গাইলে জি-নাইন কলা, বগুড়ায় ননি ও করোসল উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়াও বগুড়া, যশোরে নাশপাতি। বগুড়ায় বারাবা ও লোকাট। চাঁদপুরে মিরাক্কেল বেরি, যশোরে থাই মিষ্টি তেঁতুল, কুড়িগ্রামে আপেল, যশোর ও ফেনীতে থাইকুল, টাঙ্গাইলে পোমেলো, নওগাঁয় আলুবোখারা এবং গাইবান্ধায় থাইবেলের আবাদ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার ইউংয়ের পরিচালক এসএম সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমাদের তালিকা অনুযায়ী ৩০টি মেজর ও ১৭টি মাইনর ও অন্যান্য ফলসহ ৬০ জাতের ফল চাষ হয়। অনেক তালিকা আমরা মাঠ থেকে পাই না। অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে চাষ করে তার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

ফলের উৎপাদন কতটা বেড়েছে

দেশে প্রতিনিয়ত ফলের উৎপাদন বাড়ছে। বিশেষ করে বিদেশি ফলের উৎপাদন বেড়েছে বহু গুণে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ১৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফল চাষে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬৬ মেট্রিক টন। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেই ড্রাগন চাষ হয়েছে ৩ হাজার ২২১ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছে ৬৮ হাজার ৮১৩ মেট্রিক টন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাল্টা চাষ হয়েছিল ৪৭০ হেক্টর জমিতে ও উৎপাদন হয়েছিল ৩ হাজার ৩০৪ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাল্টা চাষের জমি ও উৎপাদন দুটোই বহু গুণে বেড়েছে। এ সময়ে ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করে উৎপাদন হয়েছে ৭৩ হাজার ৫৯৫ টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের তথ্যমতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশি-বিদেশিসহ ৪২ প্রকারের ফল চাষ হয়েছে। সেই সময় সারা দেশে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে ফল চাষে উৎপাদন হয় ৯৯ লাখ ৭২ হাজার ২৪৭ মেট্রিক টন। দশ বছর পরে এসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে ফল চাষে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন।

ফলের আমদানি কতটা কমেছে

বিদেশি ফলের মধ্যে দেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় খেজুর। বছরে এক লাখ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়। এ ছাড়া আপেল, আঙ্গুর ও কমলারও আমদানি বেশি। নাশপাতি, ড্রাগন, কেনু, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলও আমদানি হয়ে থাকে। দেশে বিদেশি ফলের উৎপাদন বাড়ায় গত তিন অর্থবছরে গড়ে এক লাখ ৪০ হাজার ১৪১ টন ফল আমদানি কমেছে। 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে আপেল, কমলা, আঙ্গুর, নাশপাতি, কিওয়াই, আনার, পারসিমম, প্রমিলো, ড্রাগন, কেনু, মাল্টাসহ বিভিন্ন প্রকারের ৪ লাখ ৮০ হাজার ৩৫ টন ফল আমদানি হয়। পরের বছর এটি ৯৩ হাজার ৬২৫ টন কমে আমদানি হয় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১০ টন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে আমদানির পরিমাণ আরও কমেছে। আগের বছরের চেয়ে ৪৬ হাজার ৫১৫ দশমিক ৭৩ টন কমে ফল আমদানি হয় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৯৪ দশমিক ২৭ টন।

ফল উৎপাদনে সরকারি পদক্ষেপ

বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশি ও বিদেশি উন্নত জাতের ফলের চাষ বাড়ানো। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়। পরবর্তীতে বৃদ্ধি করে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এর কার্যক্রম আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কেননা ফলের প্রকল্প ১০ বছর সময়ে উল্লেখযোগ্য কাজ করা তেমন যায় না। এসব প্রকল্প ১৫ থেকে ২০ বছরের হলে দৃশ্যমান প্রভাব পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ট্রপিক্যাল ও সাব-ট্রপিক্যাল দুটি অঞ্চলই রয়েছে। এজন্য পৃথিবীর দুই অংশের ফলই এখানে আবাদ করা যায়। বিশেষ করে ড্রাগন ট্রপিক্যাল অঞ্চলের ফল। এটি আমাদের এখানে চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও হচ্ছে থাই পেয়ারা, পামেলো, ভিয়েতনামের বারোমাসি কাঁঠাল ইত্যাদি ফল। প্রকল্পের শুরুতে মাথাপিছু ফল খাওয়ার পরিমাণ ছিল ৫৫ গ্রাম, বর্তমানে তা বেড়ে ৮৬ গ্রাম হয়েছে। ২০২২ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে, আমরা এখন বিশ্বের ১০টি শীর্ষস্থানীয় মৌসুমি ফল উৎপাদনকারী দেশের একটি। বিগত ১৮ বছর ধরে আমাদের দেশে বছরে গড়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ফলের উৎপাদন বেড়েছে। ১০ বছর আগে যেখানে ফলের উৎপাদন ছিল ১ কোটি মেট্রিক টন, বর্তমানে তা দেড় কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে আমের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন, পেয়ারা ৩ লাখ টন।

বিলুপ্ত ফলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে বেল ও কদবেল, কামরাঙ্গা, লটকন ইত্যাদি ফল গবেষণার মাধ্যমের চাষাবাদ বাড়ানো হয়েছে। এসবের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৮৫টি হর্টিকালচার সেন্টার রয়েছে। কোনো কোনো জেলা-উপজেলায় একাধিক হর্টিকালচার সেন্টার আছে। আমরা চাই প্রত্যেক জেলাতেই একটি করে থাকুক।

মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে কৃষির অবদান ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সেখানে শুধু হর্টিকালচারের অবদান ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বলে মন্তব্য করেছেন এসএম সোহরাব উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান। এখানে ৯৬ শতাংশ জমিতে ধান, শাকসবজি চাষ হয়। তার মধ্যে ৪ শতাংশ জমিতে ফলের আবাদ হয়। এই ফলের অবদান জিডিপিতে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ড্রাগন ফলের চাষ এমন পর্যায়ে গেছে যে, সেটি এখন আমাদের নিজস্ব ফলের মতো হয়ে গেছে। মাল্টার চাষও বেড়েছে। আঙ্গুরটা তেমন বিস্তার লাভ করতে পারেনি। তবে আপেলটা শীতপ্রধান দেশের ফসল হওয়ায় আমাদের এখানে হচ্ছে না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা