নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৫১ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০১ পিএম
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সরিষা থেকে উৎপাদিত তেল নিরাপদ। অথচ আমরা বেশি খাচ্ছি সয়াবিন। যদিও এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে। এজন্য বছরে ব্যয় হয় ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা। তাই সরকারের ভাবনা- কীভাবে ভোজ্যতেলের আমদানি কমানো যায়। আর তা বাস্তবায়নে দরকার সরিষার আবাদ বাড়ানো।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশাল সদর উপজেলার চাদপুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ হিজলতলায় অনুষ্ঠিত বিনাসরিষা-৯ এবং বিনাসরিষা-১১’র মাঠ দিবসে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের জন্য সরিষার এমন জাত বেছে নিতে হবে, যার জীবনকাল কম। এমনই জাত হচ্ছে- বিনাসরিষা-৯ এবং বিনাসরিষা-১১। জাত দুটো আমন এবং বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে বরিশাল অঞ্চলে আবাদ করা সম্ভব। এই জাত ব্যবহারে দক্ষিণাঞ্চলে অবশ্যই শস্যনিবিড়তা বাড়বে।
বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বরিশাল সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল মনির, বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদ আল নূর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, কৃষক সরোয়ার হোসেন মল্লিক প্রমুখ। মাঠ দিবসে অর্ধ শতাধিক কৃষক অংশ নেন।
উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক কারণে দক্ষিণাঞ্চলে অধিকাংশ আমন ধান দেরীতে লাগাতে হয়। তাই পরিপক্ক হতে মধ্যডিসেম্বর ছাড়িয়ে যায়। ধান কাটার পর সরিষা বপন করলে ফলন ভালো হয় না। তবে আমন এবং সরিষার উভয় ফসলে স্বল্পকালিন জাত ব্যবহার করলে দুই ফসলেই অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। বিনাসরিষা-৯ যেহেতু জমি কর্ষণ না করেও আবাদ করা যায়, সেজন্য আমন ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমিতে বীজ ছিটিয়ে (রিলেক্রপ) দিতে হবে। বিনাসরিষা-৯ এর জীবনকাল (প্রায়) ৮০-৮৫ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ২ টন। আর বিনাসরিষা-১১ এর জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ২ টন (প্রায়)।