প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০২ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৩ পিএম
লেকশোরে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা। প্রবা ফটো
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি এটি গণমাধ্যমের কারণে বিশ্ববাসী জানতে পারছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা সহজ হয়। তাই প্রকৃতিকে তার নিজ অবস্থানে রাখতে সাংবাদিকদের লেখনির ভূমিকা অন্যতম বলে মন্তব্য করেছেন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মঞ্জুরুল হান্নান খান।
বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনের পরিবেশবিষয়ক ৩০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
ড. মঞ্জুরুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. ফজলে রাব্বি সিদ্দিক আহমেদ, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ পলিসি ম্যানেজার এ এস এম মারজান নূর, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা ও চেঞ্জ ইনিশিয়াটিভের চিফ এক্সিকিউটিভ এম জাকির হোসেন খান পরিবেশ বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিথ্রিইআরের এসিস্টেন্টে ডিরেক্টর রওফা খানম ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিপুটি ডিরেক্টর (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন) মো. হারুন-অর- রশিদ প্রমুখ।
এ কে এম সোহেল বলেন, ‘সরকার এককভাবে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের অবস্থা নিয়ে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারবে না। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিক এবং বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ফান্ড বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা। তারা যক্ষা, এইডস ও ম্যালেরিয়ার জন্য আমাদের ৮৭৫ মিলিয়ন অর্থ দিয়েছে। কিন্তু ১২ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ লবণাক্ততার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে তাদের জন্য কোন ফান্ড ছিল না। আমরা বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় ২৫ মিলিয়ন অর্থ দিতে তারা রাজি হয়েছে।’
এম জাকির হোসেন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যদি অর্থনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে বছরে এখাতে সার্বিক ঘাটতি হচ্ছে ৪০ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, যে পরিমাণ কর্মদিবস ক্ষতি হয় তা বিবেচনায় নিলে আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। দুর্যোগের ক্ষতি পূষাতে প্রত্যেক পরিবার বছরে ব্যয় করে ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, তা ছাড়া প্রশমন বাবদ সরকারি ব্যয় (৪০% নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ) ৩ দশমিক ০, অভিযোজন বাবদ অর্থের চাহিদা ৮ দশমিক ৫, জলবায়ুর কারণে কর্মদিবসের ক্ষতি ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ক্ষেত্রে আমাদের চাহিদা রয়েছে ২৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সেখানে চাহিদার বিপরীতে সরকারি বাজেটে পাওয়া যাচ্ছে ৩ দশমিক ১ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে শূন্য দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। চাহিদা ও প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের ২৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়েছে।