ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
ঘোড়াঘাটে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। প্রবা ফটো
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাঠে মাঠে আগাম
জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকের চোখেমুখে হাসি
ফুটে উঠেছে। কৃষক বাড়তি লাভের আশায় চাষ করে স্বল্পমেয়াদি এই আগাম জাতের আমন ধান। ধানের কাঁচা
খড় গোখাদ্য হিসেবে বিক্রি হওয়ায় বাড়তি আয় হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষকরা জানায়, তারা হাইব্রিড, বিনা-১৭,
বিনা-২০, বিএডিসিসহ নানা জাতের আগাম ধান চাষ করেছে। উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের শীধলগ্রাম,
রামেশ্বরপুর, ভর্নাপাড়া, ঋষিঘাট ও বুলাকীপুর ইউনিয়নের বেগুনবাড়ী, বলগাড়ী, কৃষ্ণরামপুরসহ
বিভিন্ন গ্রামে এসব জাতের ধান চাষ করা হয়। ধান কাটা মাড়াই শেষে জমিতে আগাম জাতের
আলু ও ভুট্টা রোপণ করবে। জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে তারা।
উপজেলার পাটশাও মাঠে দেখা গেছে, কেউ
ধান কাটছে, কেউ ধানের আঁটি কাঁধে করে রাস্তায় তুলছে। আবার মেশিনের ধান মাড়াইও করছে
কেউ কেউ। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মাঠে মাঠে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের।
ধানের পাশাপাশি গোখাদ্যের জন্য কাঁচা
খড় বিক্রি করছে কৃষকরা। চাহিদা থাকায় মাঠেই কাঁচা খড় কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে
পড়েছেন। ধান কাটা মাড়াই শেষে তারা খড় কিনে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। আর ধানের
দামের সঙ্গে খড়ের উচ্চ মূল্য পেয়ে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছে ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক। এ
বাড়তি আয়ের আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষে খরচ মেটাবে তারা।
কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, এ বছর আবহাওয়া
অনুকূলে থাকায় তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘায়
১৫ থেকে ১৬ মণ ধান পাওয়া যাচ্ছে। যা বাজারে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে
বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে।