মাদারীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১১:৩২ এএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৮ পিএম
ভাসমান বেড থেকে সবজি তুলছেন কৃষক। ছবি : প্রবা
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকায় কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান পদ্ধতিতে শীতকালীন সবজি চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক।
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি বেডের ওপর বাঁশের মাচায় ঝুলে আছে লাউ, শসা। পানির ওপর কচুরিপানার বেডে বাতাসে দোল খাচ্ছে লাল শাক, ডাঁটা, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন সবজি। এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয় না।
স্বল্পব্যয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের কারণে এলাকার তরুণ বেকার যুবকরা এ সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কালকিনির দক্ষিণ রমজানপুরের চরপালরদী গ্রামের জুলহাস মোল্লা বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাড়ির পাশে প্রায় ৪০ শতাংশ জলাবদ্ধ জমিতে শীতের আগাম সবজি লাউ চাষ করে এ পর্যন্ত ১ হাজার লাউ বিক্রি করেছি।’
এ পদ্ধতিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয়নি। কম খরচে বেশি উৎপাদন করা বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে বলে জানান তিনি।
একই এলাকার জলিল বেপারি বলেন, ‘৩০ শতাংশ জমিতে শসা, লাল শাক ও ঢেঁড়স চাষ করছি। জলাবদ্ধ জলাশয়ে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া বিষমুক্ত এসব সবজির চাহিদা বেশি থাকায় ক্ষেত থেকেই ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা কৃষককে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। দক্ষিণ রমজানপুরের চরপালরদী গ্রামে জলাবদ্ধ এলাকায় বেড বা ধাপে সবজির চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ৩৫ থেকে ৪০ জন কৃষক। কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে বর্ষা মৌসুমে বছরের প্রায় ছয় মাস এ পদ্ধতিতে আবাদ করেন তারা। আর পানি শুকিয়ে গেলে কচুরিপানার বেড ব্যবহার করা যায় জৈবসার হিসেবে। এলাকার বেকার যুবকরা এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় এ প্রকল্প সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।