প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪ ১০:২৮ এএম
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
দেশের গুণী অভিনেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। নাটক, সিনেমা- দুই মাধ্যমেই কাজ করেছেন সমানতালে। তার অভিনয় মুগ্ধতা ছড়ায়। তবে আজকাল নিয়মিত নন অভিনয়ে। কালেভদ্রে দেখা মেলে তার। দীর্ঘদিন পর এ অভিনেতার সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ সিনেমার নাম ‘ফাতিমা’। এটি নির্মাণ করেছেন ধ্রুব হাসান।
সিনেমাটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিনেমাটিতে আমি ফাতিমা অর্থাৎ তাসনিয়া ফারিণের মামার চরিত্রে অভিনয় করেছি। তার কাছে আমি একজন ভালোমানুষই বটে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমি একজন মন্দমানুষ। তো যথারীতি আমি আমার চরিত্রটি শতভাগ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। একজন অভিনেতা হিসেবে সে চেষ্টাটাই থাকে আমার সব সময়। বাকিটা আসলে দর্শকের ওপর নির্ভর করে কেমন করেছি। তবে ফাতিমার গল্প, এতে শিল্পীদের অভিনয় সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি দর্শকের ভালো লাগবে।’
‘এখন আর আগের মতো নাটকে অভিনয় করার আগ্রহ পাই না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টগুলো খুব টানে। এখানে বৈচিত্র্যময় কাজ হচ্ছে। সেখানে গল্প ও চরিত্র দেখে কাজ করতে চাই। সিনেমার প্রতি টান তো সব সময়ই আছে,’ যোগ করেন মানস।
ফরিদপুরের ঝিলটুলির ননী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সান্ত্বনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে মানস অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকনাম সন্টু। ফরিদপুরের বন্ধুরা তাকে সন্টু বলেই এখনও ডাকেন।
ফরিদপুরের ‘সুনিয়ম নাট্যচক্র’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু। এ দলের হয়ে প্রথম তিনি বিপ্লব বালার নির্দেশনায় ‘সাজানো বাগান’ নাটকে অভিনয় করেন। প্রায় চার-পাঁচ বছর এ দলের হয়ে অভিনয় করেছেন মানস।
পরে ঢাকায় এসে প্রথম খ ম হারুনের প্রযোজনায় ‘সানাই নয়’ নাটকে অভিনয় করেন। সে নাটকে তার বিপরীতে ছিলেন তারানা হালিম। পরে আল মনসুরের প্রযোজনায় ‘লাইলি মজনু’ নাটকে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন। এতে মজনু চরিত্রে মানস ও লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত চিত্রনায়িকা দিতি। এ নাটকের জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই পরিচালক ইবনে মিজান মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘পুনর্মিলন’ সিনেমা। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।
মানস বন্দ্যোপাধ্যায় আরও সাড়া পেয়েছেন জিয়া আনসারীর প্রযোজনায় ‘প্রতিশ্রুতি’, বরকত উল্যাহর প্রযোজনায় ‘ঢাকায় থাকি’, শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশার প্রযোজনায় ‘টং ঘর’সহ বেশ কিছু নাটকে। আর নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘সাহেব’, খান আতাউর রহমানের ‘হিসাবনিকাশ’, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘ভাইয়ের আদর’, মতিন রহমানের ‘মন মানে না’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসিত হন তিনি।