প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১৫:০৮ পিএম
ছেলে কুমার নিবিড়ের সঙ্গে সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।
কানাডায় একটি
দুর্ঘটনা যেন মুহূর্তেই সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দেয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের
পরিবারে। সে দুর্ঘটনায় ছেলে কুমার নিবিড় এতটাই মারাত্মক আহত হন যে স্বাভাবিক জীবনে
ফিরে আসা শুধুই ভাগ্য ও স্বপ্নের মতো ছিল। দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস পর হাসপাতালের বিছানায়
শুয়ে থাকা নিবিড় চোখ মেলে তাকিয়েছেন, দেখেছেন বাবা-মায়ের মুখ। এ খবর গণমাধ্যমকে জানান
কুমার বিশ্বজিৎ। তার পর থেকে স্বস্তি এসেছে সংগীতাঙ্গনেও।
গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি
সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা-মা দুজনের ঠিকানা কানাডার
সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীতমঞ্চের বাইরে।
এর মধ্যে দুবার তিনি দেশে এসেছিলেন।
ছেলের সর্বশেষ
শারীরিক অবস্থা নিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু
কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে বলা মুশকিল। এখনও হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমি কানাডায় যাওয়ার
পর হাসপাতাল থেকে রিহ্যাবে নেওয়া হবে।
কুমার বিশ্বজিৎ
জানান, নিবিড়ের মা অনেক কষ্ট করছেন। সকালে হাসপাতালে আসা, এরপর রাতে আবার বাসায় যাওয়া- সব
মিলিয়ে কঠিন সময় কাটছে। যদিওবা আমাদের আত্মীয়স্বজনও আছেন। তারাও হাসপাতালে বিভিন্ন
সময় আসেন, নিবিড়ের দেখাশোনায় সময় দেন।
ছেলের মুখ থেকে
বাবা, মা ডাক শোনার জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাঈমা
সুলতানা। কবে নিবিড়ের কণ্ঠ থেকে শব্দ বেরোবে, তা এখই বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তারা
চিকিৎসাবিদ্যার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যার ফলে এখন কিছুটা উন্নতির দিকে শারীরিক
অবস্থা।
কুমার বিশ্বজিৎ
বলেন, ‘নিবিড়ের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হয় বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো,
৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, বাবা আসছে, মা আসছেÑতখন বোঝা যায় আমাদের চেনে।
মা যখন বলে, আমাদের চিনতে পারো? তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি হয়তো চিনছে। অপেক্ষায়
আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’