লিমন আহমেদ
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১৫:০৫ পিএম
চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক ও প্রযোজক প্রসূন রহমান।
একজন চলচ্চিত্র
নির্মাতা, লেখক ও প্রযোজক প্রসূন রহমান। অকালপ্রয়াত গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক
মাসুদের সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এরপর একাধিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ
করে প্রশংসিত হয়ে ২০১৫ সালে ‘সুতপার ঠিকানা’ দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ
করেন। উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু ভালো গল্পের সিনেমা। এবার তিনি নিজের প্রযোজনায় বানাতে
যাচ্ছেন ‘শেকড়’। নতুন এ সিনেমার প্রস্তুতি ও নানা ভাবনা জানিয়ে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন
প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর। লিখেছেন লিমন আহমেদ-
আপনার নতুন ছবি, নতুন মিশন শেকড়। এ ছবিটিকে দর্শকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিনÑ
যারা আমার ছবি
দেখেন তারা হয়তো লক্ষ করবেন আমি সব সময় একটা স্থানান্তরের গল্প বলি। কখনও সেটা লোকাল
কখনও বা ইন্টারন্যাশনাল। সুতপার ঠিকানায় ছিল একজন নারীর সামাজিক, পারিবারিক ও তার অভ্যন্তরীণ
মাইগ্রেশনের চিত্র। পরের ছবিগুলোয়ও ভিন্ন আঙ্গিকে মাইগ্রেশন এসেছে। শেকড়েও তাই থাকবে।
এখানে একজন প্রবাসীর জার্নি দেখানো হবে যিনি দেশে ফিরে তার দেশকে নতুনভাবে আবিষ্কার
করেন।
সময়ের প্রেক্ষাপটে শেকড় নির্মাণ কতটা জরুরি?
আমি তো মনে করি
জরুরি। একজন বিদেশফেরত মানুষের কাছে দেশটা কেমন তা জানার একটা চেষ্টা করা হবে এ সিনেমার
গল্পে। সে এসে নানা রকম পরিবর্তন দেখবে। সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক পরিবর্তন। আমরা
যেভাবে দেশটাকে দেখি, তার চোখে দেখার পার্থক্য কতটুকু তা জানা যাবে। সেই সঙ্গে যারা
চাইলেও দেশ ছেড়ে বিদেশে থিতু হতে পারেন না তারা কীভাবে দেশটা সাজিয়ে নিতে পারি, সেই
গল্পও বলবে শেকড়।
ছবিটি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
আমি খুবই আশাবাদী।
প্রত্যেকেই একটা আশা-প্রত্যাশার জায়গা থেকে কাজ করে। আমি জানি আমার এ ছবি হয়তো বাজারে
মারকাটারি ব্যবসা করবে না। এটা সে ধরনের ছবিও নয়। বিশ্বজুড়েই নানা প্যাটার্নের ছবি
হয়। আমাদের এখানে বলা হয় ছবি দুই রকম। অফ ট্র্যাক ও কমার্শিয়াল। তারেক মাসুদের কাছে
ব্যাপারটা ছিল ভালো ছবি এবং খারাপ ছবি। আর আমরা অনেকে বলি যে ছবি দুই প্রকার। একটা
চিন্তাশীল ছবি আরেকটা চিন্তাহীন ছবি। আমি সব সময় চিন্তাশীল ছবি বানানোর চেষ্টা করি।
এ ধরনের ছবিগুলো বার্তাকে গুরুত্ব দেয়। জীবনকে গুরুত্ব দেয়। শেকড়ও তেমন ছবি।
বিশ্বজুড়েই পরিচালক ও শিল্পীর জুটি তৈরি হওয়ার একটা ব্যাপার রয়েছে সিনেমায়। কিন্তু আপনার একেকটি ছবিতে নতুন নতুন শিল্পী দেখা যায়। এও কি চিন্তাশীল সিনেমা নির্মাণের অংশ?
বেশ মজার প্রশ্ন।
আসলে ব্যাপারটা চিন্তাশীল দেখালেও সেটা বলব না। এখানে মূলত আমি যখন সিনেমাটি করতে যাচ্ছি
তখন যে টাইপের শিল্পী আমার দরকার তাদের মধ্যে যাদের শিডিউল পাই তাদের নিয়েই কাজ করি।
তবে এও একটা উল্লেখ্য বিষয় যে এক জায়গায় স্থির না থেকে বৈচিত্র্য থাকাটা তো খারাপ না।
এফএস নাঈম ও আইশা খান আপনার শেকড়ের মূল দুটি চরিত্র। তাদের নিয়ে কিছু বলুন...
আমার ছবির যে
গল্প এবং চরিত্র, সেখানে তারা পারফেক্ট। আমিই যেহেতু গল্পকার তাই শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে
আমি বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। নাঈম ও আইশা গল্পটিকে আয়ত্ত করেছেন। স্ব স্ব চরিত্রগুলোর
সঙ্গে তারা মিশেছেন। আমি চেষ্টা করি গল্পের ওপর গুরুত্ব দিয়ে পুরো টিমটা তৈরি করতে।
প্রোডাকশন ম্যানেজারকেও সবার আগে আমি স্ক্রিপ্ট পাঠাই। গল্প সম্পর্কে তার অভিমত নিই।
এতে ছবির সব খুঁটিনাটি সম্পর্কে তার একটা ধারণা থাকে। আমার কাজের সুবিধা হয়।
শেকড়ের নির্মাণপ্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ জানতে চাই…
আগামীকাল শেকড়ের
শুটিং শুরু করব। ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় হবে শুটিং। আর মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ
বলতে পারছি না। তবে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের দিকে মুক্তি পেতে পারে।