প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২৯ এএম
মিথিলা
৪০০ বছরের পুরোনো গল্প নিয়ে গুণী পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করেছেন ‘কাজলরেখা’ সিনেমা। এটি দিয়ে প্রথমবারের মতো সিনেমায় নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী মিথিলা। কাজলরেখায় তিনি কঙ্কণদাসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
গেল রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমার প্রতি দর্শকের রয়েছে একটা আলাদা ভালো লাগা। কারণ কাজলরেখায় বাংলার ঐতিহ্য খুঁজে পাচ্ছে দর্শক। হোক তা গল্পে, লোকেশনে, পোশাকে, গানে। আর প্রতিটি চরিত্রে শিল্পীদের পারফেক্ট অভিনয়ও দর্শকের মনে ভালো লাগার সৃষ্টি করছে। যে কারণে দর্শকের মধ্যে সময় যত যাচ্ছে কাজলরেখার প্রতি ভালো লাগা বাড়ছে।
দর্শকও বাড়ছে দিন দিন কাজলরেখার। এরই মধ্যে ২৫ এপ্রিল রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে কাজলরেখার একটি বিশেষ প্রদর্শনী হয়। সেখানে সিনেমাটি উপভোগ করতে গিয়েছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি সিনেমাটি দেখে ফেসবুকে কাজলরেখা নিয়ে তার ভালো লাগার কথা লিখেছেন। সেখানে মিথিলাকে নিয়ে লেখেন, ‘মিথিলা এক দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীতে পরিণত হয়েছে।’
এদিকে অফিসিয়াল কাজে বেশ কিছুদিন কানাডায় থাকার পর ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকায় এসেছেন মিথিলা। এসে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অফিসের কাজেই। আজ মিথিলার মেয়ে আয়রার জন্মদিন। তাই মেয়েকে ঘিরেও তার পরিকল্পনা আছে।
মিথিলা তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে জানান, দুই বাংলায় তার অভিনীত চারটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। বাংলাদেশে যে দুটি সিনেমা রয়েছে সেগুলো হলো অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জ্বলে তারা’ ও লুবনা শারমিনের ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’।
অন্যদিকে ওপার বাংলায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অর্ণব মিদ্দার ‘মেঘলা’ ও দুলাল দের ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’ সিনেমা।
কাজলরেখার জন্য সাড়া পাওয়া এবং মুক্তিপ্রতীক্ষিত চারটি সিনেমা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘কাজলরেখা মুক্তির পর এখন পর্যন্ত যে অভূতপূর্ব সাড়া আমি পেয়েছি, এতটা সত্যিই আশা করিনি। কারণ আমার পর্দায় উপস্থিতি ছিল কম এবং চরিত্রটিও ছিল নেগেটিভ। যেহেতু প্রথমবার নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করা, তাই একটু চিন্তায়ও ছিলাম। কিন্তু সব মিলিয়ে যা হলো, যেভাবে সবার ভালোবাসা পাচ্ছি তাতে সত্যিই মুগ্ধ আমি। আর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চারটি সিনেমা নিয়েই আমি আশাবাদী। বিশেষত মেঘলায় আমাকে নামভূমিকায় দেখা যাবে। বাকিগুলোরও গল্প ও নির্মাণ এক কথায় দুর্দান্ত।’