× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আলাপন

মাধ্যম যাই হোক, ভালো কাজ করতে চাই

লিমন আহমেদ

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩৭ এএম

রুমানা ইসলাম মুক্তি।

রুমানা ইসলাম মুক্তি।

রুমানা ইসলাম মুক্তি। জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। গৌতম ঘোষেরপদ্মা নদীর মাঝি’ সিনেমায় চম্পার মেয়ে গোপী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয়েছিল তার। নায়িকা হিসেবে অভিষিক্ত হনচাঁদের আলো’ সিনেমা দিয়ে। জনপ্রিয় লেখক পরিচালক হ‍ুমায়ূন আহমেদেরশ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় জমিদারের নাতনির চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করে নেন দর্শকের। ক্যারিয়ার জুড়েই খুব একটা নিয়মিত কাজ করেননি। বেছে বেছে চরিত্র পছন্দ করে অভিনয় করেছেন। তবে মা অভিনেত্রী আনোয়ারা অসুস্থ হওয়ায় তার দেখভালের জন্য অভিনয় থেকে একেবারেই দূরে সরেছিলেন। তিনি এখন সুস্থ। তাই আবারও সিনেমায় ফিরছেন মুক্তি। তার নতুন করে ফেরা চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে সক্ষাৎকারটি নিয়েছেন লিমন আহমেদ-

অনেক দিন পর এফডিসিতে দেখা যাচ্ছে আপনাকে...

হ্যাঁ। দুই বছর আসিনি। এখন আসতে ভালো লাগছে। এখন দেখছি, সবাই শিল্পী সমিতিতে আসছেন, গল্প করছেন। এফডিসিটা আসলে আমাদের, এফডিসিটা আমরা নতুন করে ফিরে পেয়েছি। এমনই মনে হচ্ছে। আম্মাও আসতে চাইতেন না। তিনিও এখন খুব আগ্রহী এফডিসিতে আসতে।

এফডিসি নতুন করে ফিরে পেয়েছেন বলতে এত দিন তবে আপনাদের ছিল না? বা দুই বছর আসেননি কেন, যদি জানতে চাই-

পরিবেশটা অনুকূলে ছিল না। মনে হতো না এটা নিজেদের। এখন মিশা-ডিপজল প্যানেলের বিজয় দেখে সেটা অনুভব করছি। ডিপজল মামার হাত ধরে আবার একটা আনন্দময় আমেজ এসেছে। দুই বছর এটা ছিল না। শুনতাম সিনিয়রদের সম্মান করা হতো না। এখন আর সেটা হবে না। সিনিয়র-জুনিয়র সবাই আসতে শুরু করেছেন। যারা অনেক দিন আসেননি, তারাও আসছেন।

এই নতুন কমিটির কাছে কী প্রত্যাশা করেন?

অনেক প্রত্যাশাই করি। কাজের পরিবেশ ভালো হবে। শিল্পীদের জন্য কাজের ব্যবস্থা হবে। এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে সবাই উপকৃত হবেন। শিল্পীদের খোঁজখবর যেন রাখা হয়। সবাই যেন এখানে এসে শান্তি পান।

আপনি কবে কাজে ফিরছেন?

খুব শিগগিরই। একটা ছবির কাজ শুরু করব আগামী মাসেই। এখনই নাম বা বিস্তারিত বলতে চাই না। সব ঠিক হয়ে আছে। খুব সুন্দর একটি গল্প। আসলে প্রতিনিয়তই সিনেমার প্রস্তাব আসে। তবে আমি সবসময়ই একটু ব্যতিক্রম ধারার ছবিতে কাজের চেষ্টা করেছি। সেই ধরনের ছবিই করতে চাই। আমি আসলে বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য উপযুক্ত নই। এটা আমার মনে হয়।

এত দীর্ঘ বিরতি কেন?

প্রথমে আমার বাবা স্ট্রোক করেন। তাকে দেখার লোক ছিল না। আমার ভাইবোন ছিল না। এমন রোগীদের অনেক সময় দিতে হয়। আব্বা পাঁচ বছর বিছানায় ছিলেন। এরপর যখন মারা গেলেন, তখন আমার মা স্ট্রোক করলেন। মাকে দেখাশোনা করতে হয়েছে। আম্মার অবস্থা তো খুব জটিল ছিল। তবে তিনি বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছেন। এখন সিনেমা করার সময় আছে। তাই ফিরতে যাচ্ছি।

ওটিটিতে কাজের আগ্রহ আছে নাকি, শুধু প্রেক্ষাগৃহের জন্যই কাজ করতে চাই-

মাধ্যম যাই হোক, ভালো কাজ করতে চাই। একটা গল্প চরিত্র দর্শককে ভাবাবে, তেমন কাজ হলে ওটিটিতেও সমস্যা নেই। তা ছাড়া ওটিটি এখন যুগের চাহিদা। দেশে আগের মতো হলও নেই, মানুষ হলে আসতে ততটা আগ্রহীও না। সবাই এখন ফোনেই সব বিনোদন পেতে চান। সেক্ষেত্রে ওটিটি এখন খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম।

আপনি হ‍ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতার বিশেষ কোনো স্মৃতি কি মনে পড়ে?

আমার সৌভাগ্য হয়েছে স্যারের সঙ্গে দুটি কাজ করার। একটি তো বিখ্যাতশ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমা। অন্যটি সমুদ্রবিলাস প্রাইভেট লিমিটেড নামের নাটক। দুটি কাজই খুব সমাদৃত হয়েছে। এখনও লোকে কাজগুলো দেখেন, ক্লিপস শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী যে ভালো লাগে। স্যার বেঁচে থাকলে হয়তো আরও কাজ করা হতো। উনার সঙ্গে কাজের অনেক স্মৃতি অভিজ্ঞতার কথাই মনে পড়ে। খুব মজা করতেন সেটে। স্যার চকলেট লুকিয়ে রাখতেন। কেউ একটা শট ভালো দিলে তাকে ডেকে নিয়ে চোখ বন্ধ করে সারপ্রাইজ দেওয়ার ভঙ্গিতে চকলেট ধরিয়ে দিতেন। খুব মজা পেতাম।

শ্রাবণ মেঘের দিন সিনেমায় কিংবদন্তি অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার নাতনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে কাজের স্মৃতি মনে পড়ে?

খুব। উনি ছিলেন অসাধারণ একজন শিল্পী। খুব আদর করতেন আমাকে। শ্রাবণ মেঘের দিনে কাজ করতে করতে আমরা যেন সত্যি নানা-নাতনি হয়ে গেলাম। তবে অভিনয় করতে গিয়ে আমি খুব ভয়ে থাকতাম। উনি এত দুর্দান্ত এক্সপ্রেশন দিয়ে অভিনয় করতেন যে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতাম। উনাদের মতো মানুষের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সঞ্চয়। হাছন রাজা ছবি দিয়ে চাষী নজরুল ইসলামের মতো কিংবদন্তি নির্মাতার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাও দারুণ।

আজকাল সিনেমা দেখা হয়?

সত্যি কথা বলতে সেভাবে দেখা হয় না। তবে গেল কয়েক বছরে আমাদের দেশে অনেক ভালো সিনেমা হচ্ছে। কিছু সিনেমা দেখেছি। অনেক উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে নির্মাণে। মনেপ্রাণে চাই, আমাদের দেশের সিনেমা বিশ্বদরবারে পৌঁছে যাক। আমরা সবাই মিলে সিনেমার জন্য কাজ করব, ভালো সিনেমা করব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা