প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৬ এএম
লালন ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি : সংগৃহীত
একেকটা ভাঙন ভক্তদের হৃদয়ে রক্ত ঝরায়। তার পরও নানা কারণে ভেঙে যায় ব্যান্ড। ব্যান্ড ভাঙার নেপথ্যে কোন বিষয়টা কাজ করে সে নিয়ে অনেক আলোচনা উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের জন্য সদস্যরা ব্যান্ড ছেড়ে যান। এবার দীর্ঘ ১৭ বছর একসঙ্গে থাকার পর ‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই ড্রামার।
২০০৭ সালে লালন ব্যান্ডে যোগ দেন তিতি। ব্যান্ডটির বেশিরভাগ গানের সংগীত আয়োজন তার করা। লালন ব্যান্ডে যোগ দেওয়ার আগে ব্যান্ড ফেইথ, আর্ক, স্বাধীনতা, কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে বাজিয়েছেন এই ড্রামার।
গত ৯ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কনসার্টে শেষবার লালন ব্যান্ডের সঙ্গে বাজিয়েছেন তিতি।
গত মার্চে কুয়েটে কনসার্টের পর ফেসবুকে ‘লেফট জব’ স্ট্যাটাস দেন তিতি। গেল শুক্রবার লালন ব্যান্ড ছাড়ার কথা নিশ্চিত করেন।
ব্যান্ড ছাড়ার বিষয়ে ড্রামার তিতি বলেন, ‘লালন ব্যান্ডের জনপ্রিয়তার কারণে কণ্ঠশিল্পী সুমি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, সে তুলনায় বাকি সদস্যরা অনেকটা আড়ালে থেকে গেছেন। ফলে কনসার্ট আয়োজকদের কাছে লালন ব্যান্ডের চেয়ে সুমির গুরুত্ব বেশি। বেশিরভাগ সময়ই কনসার্টে একা সুমিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্যান্ড ফেলে সুমিও সেগুলোয় অংশ নিতে পারেন না। এতে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন।’ তিতি চান সুমি নিজেকে মেলে ধরুন। এ কারণেই ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত।
‘অনেকের মতো ব্যান্ডকে ব্যবহার করে ব্যবসাবাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানও করতে পারেননি সুমি। ও যত বড় শিল্পী, সে তুলনায় ওর আর্থিক সফলতা আসেনি। এটা ব্যান্ডের প্রতি ভালোবাসার কারণেই। দেশবিদেশের যেকোনো অনুষ্ঠানে সবাই সুমিকে খোঁজে, ব্যান্ডকে নয়। কারণ ব্যান্ড নিলে অনেক খরচ। কিন্তু সুমি একা কোথাও যাননি। বিষয়টি আমি নিজে থেকে বুঝতে পেরেছি। আমি চাই না ব্যান্ডের কারণে তার সফলতা আটকে থাকুক। এ বিষয়গুলো দলের প্রধান হিসেবে পীড়া দিচ্ছিল। তাই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত’, যোগ করেন তিনি।
তবে সুমির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে তিতির। তিনি বলেন, অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতেন সুমি। তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত দলের প্র্যাকটিস ও কনসার্ট। এ ব্যাপারে সুমি অবশ্য মুখ খোলেননি।