দেখা হলো বন্ধু...

দুই বাংলার জনপ্রিয় তিন অভিনয় তারকা ফেরদৌস, মৌসুমী ও ঋতুপর্ণা। একসঙ্গে তারা কাজ করেছেন সিনেমায়। বাইরে তাদের ব্যক্তিসম্পর্কটাও জমজমাট বন্ধুত্বের। সর্বশেষ তিন বন্ধুর দেখা হয়েছিল জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’-এর শুটিং চলাকালে সেই ২০১৭ সালে। এরপর আবার আসে আড্ডায় মেতে উঠবার উপলক্ষ। সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব সে উপলক্ষের মঞ্চটা তৈরি করে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী মহানায়িকা সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। আরও ছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি এ উৎসবের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উৎসবে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। উৎসবের শেষ দিন ২১ এপ্রিল তাদের তিনজনের দেখা হয়। এদিন ঋতুপর্ণাকে আজীবন সম্মাননা ও ফেরদৌসের হাতে ‘গেস্ট অব অনার’ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে দুই বাংলার ত্রিশের অধিক সিনেমা সত্যজিৎ রায় হল, জহির রায়হান হল ও তারেক মাসুদ হলে প্রদর্শিত হয়।

এ আয়োজন প্রসঙ্গে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘এ উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার সিনেমার নতুন এক দিগন্তের সুচনা হলো। আমি এ মুহূর্তে অনেক ব্যস্ত। তার পরও বাংলা সিনেমার প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। অবশ্যই আরও ভালো লাগার ছিল এটা যে সেখানে গিয়ে আমার প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। মৌসুমী ও ঋতুপর্ণাকে একসঙ্গে পেয়েছি অনেক দিন পর। খুব আড্ডা হয়েছে।’

প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, ‘উৎসবে যাওয়ার আগে ফেরদৌস বাসায় এসেছিল। আমি নিজের হাতে রান্না করে তাকে খাওয়ালাম। চমৎকার সময় কেটেছে। পরে উৎসবে যোগ দিলাম। সেখানে গিয়ে ঋতুর সঙ্গে দেখা হলো। তো আমাদের তিন বন্ধুর দেখা হওয়াটাও ছিল অনেক আনন্দের। আমরা পুরোটা সময়ই মন দিয়ে উপভোগ করেছি।’

ফেরদৌস জানান, আগামীকাল তিনি দেশে ফিরবেন। উৎসবে ফেরদৌসের ‘মাইক’ ও ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমা প্রদর্শিত হয়।