প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৬ পিএম
মন্দিরা চক্রবর্তী
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মন্দিরা চক্রবর্তী অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’। দীর্ঘ প্রতীক্ষা বলার কারণ, এর আগে বেশ কয়েকবার এ সিনেমা মুক্তির ঘোষণা আসে। কিন্তু বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। এবারের ঈদে কাজলরেখা মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন এর পরিচালক। অবশেষে সেটি হয়েছে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত কাজলরেখা সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। সিনেমাটি ঈদের তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে খুব বেশি হলে মুক্তি পায়নি। তবে যারা বিলল্পধারা ও লোকজ আবহের গল্প পছন্দ করেন তাদের কাছে বেশ সমাদৃত হয়েছে। এর গান, গল্প আর নির্মাণের মুনশিয়ানায় মুগ্ধ হয়েছে দর্শক। সমাজমাধ্যমে আছে ইতিবাচক অনেক প্রতিক্রিয়া। ছবিটি দিয়ে নজর কেড়েছেন মন্দিরা। কাজলরেখা চরিত্রে তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন।
মন্দিরা নিজেও বেশ কয়েকবার হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করেছেন। দর্শকের সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকালও বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের শোতে রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে কাজলরেখা উপভোগ করেন।
মন্দিরার অভিনয় এবং চরিত্রানুযায়ী শৈল্পিক উপস্থিতির প্রশংসা করছে দর্শক। হলে বসে নিজেই উপভোগ করলেন দর্শকের ভালোবাসা। মন্দিরা দাবি করেন, ‘অভিনয় জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কিছুতেই হয় না আর। সিনেমাটি মুক্তির পর এখন সবাই আমাকে কাজলরেখা নামে ডাকছেন।’
কাজলরেখা মুক্তির পর থেকে মন্দিরা দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত, কখনও সরাসরি দর্শকের সঙ্গে কথা বলে, কখনও সমাজমাধ্যমে। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমার দর্শক প্রতিক্রিয়া নিয়ে মন্দিরা বলেন, ‘কাজলরেখা আমার জীবনের প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমাতেই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি তাতে মুগ্ধ। একজন নবাগতা হিসেবে আমাকে সবাই যেভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, সবার প্রতিই কৃতজ্ঞ আমি। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবেÑআপনারা হলে গিয়ে কাজলরেখা উপভোগ করুন।’
‘অনেকে মনপুরার সঙ্গে কাজলরেখাকে মেলাতে চান। এটা করবেন না। দুটি একদম ভিন্ন ভিন্ন গল্প। এদের আমেজও আলাদা। কাজলরেখা যুগের পর যুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে ফেরা একটি গল্প। এর চরিত্রগুলো খুবই প্রাণবন্ত। এখানে প্রেম, মায়াসহ নানা বিষয় খুব গুরুত্ব নিয়ে উঠে এসেছে। আছে গানের আয়োজন। বলা যায় এটি গীতপ্রধান সিনেমা। এ সিনেমার আবেদন সব সময়ই থাকবে বলে মনে করি আমি,’ যোগ করেন মন্দিরা।
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘কাজলরেখা আমার স্বপ্নের একটি কাজ। এটি ঈদের মতো উৎসবে দর্শকের সামনে আনতে পেরে আমি আনন্দিত। ছবিতে প্রতিটি শিল্পীই তার সেরা কাজ করেছেন। তবে মন্দিরা নতুন হিসেবে খুবই সাবলীল ছিল। সে পর্দায় কাজলরেখা হয়ে উঠতে পেরেছে। তার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় কাজলরেখায় মন্দিরা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ‘পরান’ ও ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচিতি পাওয়া অভিনেতা শরীফুল রাজ। আর খলচরিত্রে কাজ করেছেন খাইরুল বাশার। আরও আছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম, ইরেশ যাকের, গাউসুল আলম শাওনসহ অনেকে।