প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২২ পিএম
‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার প্রযোজক জসীম আহমেদ।
চলতি বছর ভারতে ফিল্মফেয়ার বাংলায় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
মনোনয়নেই ছিল বাংলাদেশি তারকাদের ক্যারিশমা! বেশ কজন তারকা পুরস্কারের তালিকায়
ছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমাটিও ছিল
আলোচনায়। শুক্রবার রাতে কলকাতায় ফিল্মফেয়ারে সর্বোচ্চ সাতটি বিভাগে পুরস্কৃত হয়
‘মায়ার জঞ্জাল’। সমালোচনা বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার ছাড়াও ‘মায়ার জঞ্জাল’ সেরা
চিত্রনাট্য (ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী ও সুগত সিনহা), সেরা নবাগত অভিনেতা (সোহেল রানা
মণ্ডল), সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদনা (সুমিত ঘোষ), সেরা শব্দবিন্যাস (শুভদীপ
সেনগুপ্ত), সেরা চিত্রগ্রহণ (ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়), সেরা পোশাক পরিকল্পনা
(ঋতারুপা ভট্টাচার্য) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে
এ সিনেমার সঙ্গে অবধারিতভাবে জুড়ে আছে বাংলাদেশ! কেননা এটির
অন্যতম প্রযোজক বাংলাদেশের জসীম আহমেদ। ব্যক্তিগত কারণে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সেই
আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারেননি জসীম আহমেদ। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পর ফিল্মফেয়ারের
আসর শুরু হতেই নিজের ফেসবুকে আপডেট দিচ্ছিলেন তিনি। চোখ রাখছিলেন কার কার হাতে
উঠছে ব্ল্যাকলেডি! অনুষ্ঠান শেষ হতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত এই প্রযোজক! কারণ গুনে গুনে
সাতটি ‘ব্ল্যাকলেডি’ ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ঘরে উঠেছে।
তবে এই ছবির জন্য অনেকেই মনে করেছিলেন, সেরা অভিনেত্রী বিভাগে
মনোনয়ন পাওয়া গুণী অভিনেত্রী অপি করিমের হাতে উঠতে পারে পুরস্কার! যদিও সেটা হয়নি।
এ নিয়ে অনেকের দীর্ঘশ্বাসও দেখা গেছে ফেসবুক পাতায়! তবে জসীম আহমেদ মনে করেন, অনেক
সময় দর্শকের ভাবনা ও নানা রকম জাজমেন্টের সূক্ষ্ম বিষয়গুলো ম্যাচ করে না। এবারে
অপি করিমের বেলায়ও তাই হয়েছে। তিনি মায়ার জঞ্জাল সিনেমায় দারুণ অভিনয় করেছেন। আশা
ছিল তিনি পুরস্কৃত হবেন। হননি। এতে করে অপি করিমের মতো জাঁদরেল অভিনেত্রীর
মূল্যায়ন কমে যায় না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর মায়ার জঞ্জাল আলোচকদের
প্রশংসা পেলেও খুব বেশি দর্শক সমাদৃত হয়নি। ফিল্মফেয়ার বাংলায় ৭টি পুরস্কার
জিতেছে। তবে দর্শকের ভিউয়ের জায়গা থেকে ছবিটি হিট হয়নি। এ নিয়ে কি মন খারাপ হয়?
উত্তরে জসীম আহমেদ বলেন, ‘যারা কাজ করে তারা তো নিজের আবেগেই কাজটা করে যায়। সেই
কাজকে যদি কেউ স্বীকৃতি দেয়, সেইটা নিজের মধ্যে একটা শক্তি তৈরি করে। ফিল্মফেয়ারে
৭টা ক্যাটাগরিতে সেরার অপ্রত্যাশিত পুরস্কারপ্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস থাকাটাই
স্বাভাবিক। পুরো টিম আসলে এই ছবিটা করতে গিয়ে একটা লম্বা জার্নির মধ্যে ছিল। আমরা
এ সিনেমার জন্য বারবার আনন্দিত হওয়ার উপলক্ষও পেয়েছি। ফিল্মফেয়ার বাংলা তো অনেক
প্রাপ্তি নিয়ে এসেছে। এ সময় কী হয়নি বা কী পাইনি তা ভাবতে চাই না। এত এত আনন্দের
ভিড়ে ছোটখাটো বেদনা আসলে তুচ্ছ।’
‘আমরা তো একটা ভালো এবং সৎভাবেই ছবিটা বানাতে চেয়েছিলাম এবং
সেভাবেই পুরো টিম নিজেদের সাধ্যের সর্বোচ্চটা দিয়েছে বলে সাফল্য এসেছে। আমরা একটা
টিম। এখনও যৌথ প্রজেক্টকে প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি। কিন্তু দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার
যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত করে। সেই যুদ্ধ জেনেও আমরা
আরেকটা চেষ্টা করছি। আবার ভালো কিছু নিয়ে আসতে চাই’Ñ নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে
শেষ করেন জসীম আহমেদ।