গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১২:০৮ পিএম
চোরাশিকারের রুদ্ধশ্বাস সিরিজ
সবুজে মোড়া, জলে ঘেরা মায়াবী এক জঙ্গল। বন্য প্রাণের স্বর্গরাজ্য। সেই অপার স্বর্গরাজ্যে থাবা বসায় লোভ। অনেক টাকা, আরও অনেক টাকার হাতছানি চোরাশিকারের নৃশংসতায় ঠেলে দেয় স্থানীয় দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষকে। সুতোর টানে যাদের নাচায় অনেক দূরে বসে থাকা কিছু ক্ষমতাবান। আমাজন প্রাইমের সিরিজ ‘পোচার’ হাটখোলা করে দিতে চেয়েছে পশুহত্যায় চোরাটান দেওয়া সেই প্রভাবশালীদের চেহারাগুলো। দর্শক পেয়েছে মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো রুদ্ধশ্বাস এক কাহিনী। জনপ্রিয় সিরিজ ‘দিল্লি ক্রাইম’ পরিচালক রিচির কাছে দর্শকের প্রত্যাশা বাড়িয়েছিল। সে প্রত্যাশা নিজেই বহুগুণে ছাপিয়ে গেছেন তিনি।
প্রায় ৪৫ মিনিটের আটটি পর্ব সত্ত্বেও গল্পের টানটান ভাব ছিল সব সময়। গল্পের শুরুতেই দর্শকের গা শিউরে দিয়েছেন পরিচালক। ফ্রেমজুড়ে এক হাতির নৃশংস শিকারের দৃশ্য। কয়েক পর্ব পেরিয়ে করাত ঘষে মৃত হাতির দাঁত কেটে নেওয়ার দৃশ্যে রীতিমতো দমবন্ধ লাগে যেন। সময়টা ১৯৯৫ সাল। ১৮টি হাতির চোরাশিকারে অংশ নেওয়া এক গ্রামবাসী আরাকুর বিবেক দংশন তাকে টেনে নিয়ে যায় বন দপ্তরে। চোরাশিকার পুরোপুরি রুখে দেওয়া হয়েছে, এ বিশ্বাসে অটল অফিসার প্রথমে তাতে আমল না দিলেও ক্রমে বনকর্তারা টের পান নজরদারির ফাঁক গলে সত্যিই বড়সড়ো গোলমাল হয়ে গেছে। র-এর প্রাক্তন গোয়েন্দা, বন দপ্তরের পদস্থ কর্তা নীল বন্দ্যোপাধ্যায় (দিব্যেন্দু)-এর নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় অফিসার মালা যোগী (নিমিষা), বন্য প্রাণ সংরক্ষণ কর্মী তথা ডেটা অ্যানালিস্ট অ্যালান জোসেফ (রোশন), বন দপ্তরেরই আর এক সাহসী অফিসার ডিনা (কানি)সহ একটা দল। অন্ধকারে হাতড়াতে গিয়ে একে একে হাতে আসে গ্রামের চোরাশিকারি এবং তাদের মাথা। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে গোপনে এমন দীর্ঘ অভিযানের পরতে পরতে বিপদ, মৃত্যুভয়, রাজনীতির খেলা। সব পেরিয়ে কীভাবে এলো সাফল্য, তারই কাহিনী সিরিজের আট পর্ব জুড়ে। বন্য প্রাণী পাচারের সত্য ঘটনা অবলম্বনে রিচি মেহতা পরিচালিত পোচার সিরিজে বাজিমাত করেছেন নিমিষা। সিরিজটি ২৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে।