প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৫:১১ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:১০ পিএম
মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে বাবা ও মায়ের কোলেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী, সুরকার সাদি মহম্মদ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে জোহর নামাজের পর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হয় সাদি মহম্মদের নামাজে জানাজা।
শেষবার সাদিকে দেখতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, গাউসুল আলম শাওন, কবির বকুলো অনিমা রায়সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বহু পরিচিত মানুষ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব৷
গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাদি মহম্মদের মরদেহ। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে তার বাবা সলিমউল্লাহকে। তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মহম্মদ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী।
১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সাদি মহম্মদ। তার বাবার নাম শহীদ সলিমউল্লাহ। মায়ের নাম জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই থেকে গানের জগতে পথচলা শুরু সাদি মহম্মদের।
রবীন্দ্রসংগীতে সাদি মহম্মদের মূল পরিচিতি গড়ে উঠলেও আধুনিক গানেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার কণ্ঠে। সঙ্গে আধুনিক গানও। সিনেমাতেও করেছেন প্লেব্যাক। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মধ্যদিয়ে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সাদি মহম্মদ। এ ছাড়া ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার। কণ্ঠসংগীতে ২০২১ সালে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা পদক পান শিল্পী সাদি মহম্মদ।