চার বছর পর জন্মদিন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৯ পিএম
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
দেশবরেণ্য নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ। চার বছর পর পর আসে তার জন্মদিন। অধিবর্ষে (২৯ ফেব্রুয়ারি) জন্ম তার। প্রখ্যাত এ নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্দেশকের জন্মদিনের অপেক্ষায় থাকেন তার অনুরাগীরা। এবারে সে অপেক্ষার পালা শেষ হবে। তাই মামুনুর রশীদের জন্মদিন ঘিরে নেওয়া হয়েছে বর্ণিল আয়োজনের উদ্যোগ। হবে উৎসব ও মিলনমেলা। মামুনুর রশীদের জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনের বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছে তার হাতে গড়া নাট্যদল আরণ্যক। উৎসবে থাকবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত নাটকের মঞ্চায়ন, সংগীত, নৃত্য, সেমিনার, প্রদর্শনী, গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, সংবর্ধনা ও থিয়েটার আড্ডা। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ আয়োজনটি হবে শিল্পকলা একাডেমি, চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ ও মহিলা সমিতিতে।
২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে চ্যানেল আইয়ে শুরু হবে জন্মোৎসব। ওই দিন মামুনুর রশীদকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এ বইয়ে তাকে নিয়ে লিখেছেন মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিভিন্ন পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের আয়োজন।
দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে মামুনুর রশীদকে নিয়ে থাকছে বিশেষ সেমিনার। এতে প্রদর্শিত হবে তাকে নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। বিকালে মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে দেখা যাবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত ‘রাঢ়াং’ নাটকের দুটি মঞ্চায়ন। অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসানসহ আরণ্যক নাট্যদলের জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীরা।
তৃতীয় দিন ২ মার্চ সকাল ১০টায় অ্যাক্টরস ইক্যুইটির উদ্যোগে হবে আরেকটি সেমিনার। এতে প্রবন্ধপাঠের পাশাপাশি তাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে, যেটি নির্মাণ করেছেন সুজাত শিমুল। এদিন বিকালে মহিলা সমিতিতে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত ‘কহে ফেসবুক’ নাটকের মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের আয়োজন।
মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চার বছর পর যখন জন্মদিনটি আসে তখন প্রিয়জনেরা এত ভালোবাসায় সিক্ত করেন, আপ্লুত হয়ে যাই। নিজেকে তখন শিশুর মতো মনে হয়। সবার ভালোবাসা আমাকে খুব স্পর্শ করে। আমি এভাবেই ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। দোয়া চাই সবার কাছে।’
মামুনুর রশীদের জন্ম ১৯৪৮ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মাতুলালয়ে। ছাত্রজীবনেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। দেশ স্বাধীনের পর পরই ফিরে এসে গড়ে তোলেন আরণ্যক নাট্যদল। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মামুনুর রশীদ। তার রচিত উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকÑওরা কদম আলী, গন্ধর্ব নগরী, চের সাইকেল, সংক্রান্তি, রাঢ়াং, টার্গেট প্লাটুন, ইবলিশ প্রভৃতি। টিভির জন্যও অনেক নাটক লিখেছেন তিনি। মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রে এখনও নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন মামুনুর রশীদ।