প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫২ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩০ পিএম
অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের অন্যতম একজন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তার কিছু নাটক প্রকাশ হয়ে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ সিনেমা। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ধুমে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লিমন আহমেদ-
ভ্যালেন্টাইনের নাটক দিয়ে কেমন সাড়া পেলেন?
ভ্যালেন্টাইনস ডেতে এবার আমার তিনটি নাটক এসেছে। দুটির রেসপন্স খুবই ভালো। এর একটি মাবরুর রশিদ বান্নাহ ভাইয়ের ‘আলোর জোনাকি’। অন্যটি সকাল আহমেদের ‘একটা ছেলে মনের আঙিনাতে’। এ নাটকটি দু-তিন দিন আগে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশের পর থেকেই দারুণ সাড়া ফেলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি হচ্ছে। দর্শক খুব পছন্দ করেছেন কাজটি। এতে আমার সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ জামান শাওন ভাই। আর বান্নাহ ভাইয়ের জোনাকির আলো নাটকের কথা তো বলার কিছু নেই। ভ্যালেন্টাইনের নাটক হিসেবে এটি ট্রেন্ডে। এখানে ইরফান সাজ্জাদ ভাইয়ের সঙ্গে জুটি হয়েছি। আরেকটি নাটক করেছি ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে। নাম ‘একনজর না দেখলে তারে’। এটাও বেশ আলোচনায় ছিল। তবে অন্য দুটি নাটকের মতো অত সাড়া পায়নি।
সামনে ঈদ। কাজের ব্যস্ততা কেমন?
অনেক কাজ নিয়ে আলাপ চলছে। কিছু কাজ করেছি। কিছু কাজ শুরু হবে শিগগিরই। খুব চমৎকার গল্প আসছে এবার। খুব বেশি কাজ করতে চাই না। বেছে বেছে করব। গৎবাঁধা কাজ করে আরাম নেই। বৈচিত্র্যময় গল্প ও চরিত্র হলে যেমন অভিনয় করে মজা পাই তেমন রেসপন্সটাও ভালো আসে।
শুটিং, ক্যামেরা, টিমের হাঁকডাক... এ ব্যস্ততা কেমন উপভোগ করেন?
ব্যস্ততাই তো সঙ্গী। সেই মায়া শালিক দিয়ে শুরু, ধারাবাহিকভাবেই কাজ করছি। ব্যস্ততাও ঘিরে থাকে সব সময়। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেও বেশ ব্যস্ততা গেল। তাই একটু বিরতি নিচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই ব্রেক নিই। এটা নিজের জন্য নিতে হয়। একটু বিরতি মন ও শরীর সতেজ রাখে। তবে ব্যস্ততা আমি সব সময়ই উপভোগ করি।
কোনো কাজ বাছাইয়ের আগে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেন?
সবার আগে গল্পটাকে গুরুত্ব দিই। কী ধরনের গল্প, কী বার্তা আছে, কাউকে হার্ট করা হচ্ছে কি না দেখি। সংলাপগুলো কেমন দেখি। গল্প ভালো না হলে কাজ করতে চাই না। তাই কেউ ডেট চাইলে আগে গল্প দেখতে চাই। এটা অনেকে পছন্দ করে না। কিন্তু গল্পটাকেই আমি কাজের প্রধান শর্ত মনে করি। এর পরই দেখি কে পরিচালনা করছেন। তারপর আসে কো-আর্টিস্টের ব্যাপার।
জুটি হয়ে কার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। প্রায় সবার সঙ্গেই আমার ভালো কাজ আছে। আমি একজন অভিনেত্রী। গল্প ও টিম যার সঙ্গে আমাকে মানানসই মনে করবে তার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি। তবে মুশফিক আর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি ভালো অভিনেতা। কো-আর্টিস্ট হিসেবে দারুণ। শাশ্বতর সঙ্গে কিছু কাজ করেছি। ওর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। বিজ্ঞাপনের সময় থেকে। ওর সঙ্গে কাজ করতে কমফোর্ট ফিল করি। জোভান ভাইয়ের সঙ্গেও বেশ মজা করে কাজ করেছি। তবে সাজ্জাদ ভাইয়ের কথা স্পেশালি বলতে হয়। সাজ্জাদ ভাই অনেক মজার মানুষ। সেটে সব সময় ফান মুডে থাকেন। কোনো চাপ নেন না। অন্যের চাপটা রিলিজ করে দেন।
এমন কোনো চরিত্র, যে চরিত্রে কাজের স্বপ্ন দেখেন?
ওভাবে ঠিক বলা যাবে না। অনেক চরিত্রেই কাজের ইচ্ছে করে। তবে কিছু চরিত্র আছে যেগুলোয় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে, তেমন কাজের ইচ্ছে করে। যেমন রাজি, উড়তা পাঞ্জাব, হাইওয়ে ছবিতে আলিয়া ভাটের চরিত্রগুলোর আমেজের কাজ করতে চাই। এসব চরিত্র একদম বাস্তবধর্মী হয়। ভালো অভিনয় করতে পারলে দর্শক পছন্দ করেন। এর বাইরে যদি বলি দেবদাসের পারু চরিত্রটা আমার খুব ভালো লাগে। এ চরিত্রে কাজ করতে চাই।
চলচ্চিত্রে নিয়মিত হন না কেন?
আমি সিনেমা করার জন্য রেডি। সিনেমা করব। শুরু থেকে অনেক প্রস্তাবও এসেছে। সিনেমা মুক্তির পর বেশ কয়েকটি হিটও হয়েছে। বাট আমি করিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে চরিত্রগুলো পারফেক্ট না আমার জন্য বা অন্য অনেক কারণ। তা ছাড়া আমি একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম ক্যারিয়ারের শুরুতেই। গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাইয়ের ‘কাজলরেখা’। সেটা মুক্তির পর কেমন রেসপন্স আসে তা-ও দেখতে চাইছি।
ব্যক্তি সাদিয়া আয়মানের স্পেশালিটি কী?
আমার স্পেশালিটিগুলো আসলে আমার চারপাশে যারা থাকেন, আমার আপনজনেরা ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে যদি বলতে যাই তবে দুটি বিষয় আমি উল্লেখ করতে পারি। একটি হলো আমি অনেক পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। যা কিছুই ঘটুক পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। পজিটিভ চিন্তা করি। অনেকে অনেক কথা বলেন আমাকে নিয়ে। আমি সেগুলো নিয়ে নেগেটিভ হই না। আরেকটা বিষয় হলো আমার মনে হয় আমার মধ্যে কাইন্ডনেসটা আছে। এটা সব মানুষের মধ্যেই থাকা উচিত। মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, ভালোবাসা প্রবল আমার মধ্যে।
তারকা হওয়ার পর পরিবার, বন্ধু, স্বজনরা কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
বাড়তি কোনো মূল্যায়ন বা পরিবর্তন কিছু নেই। আমি পরিবারের কাছে যেমন ছিলাম এখনও তেমনই আছি। সেই আগের সাদিয়া। এটাই আমার ভালো লাগে। আমি বিরাট কিছু হয়ে গেছি এটা সব সময় অনুভূত হলে স্বাভাবিক জীবনযাপনের তাল কেটে যাবে। তবে বন্ধুদের সঙ্গে এখন আড্ডা দিতে গেলে ফিল করি তারা আমাকে কেন্দ্র করে কথা বলে। বন্ধুদের মধ্যমণি হতে ভালোই লাগে।