বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫১ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৬ পিএম
জনপ্রিয় সংগীত তারকা সেলেনা গোমেজের রয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। তবে কর্মজীবনে সফলতা পেলেও, তার ব্যক্তিজীবন ঠিক তার উল্টো। জীবনে অনেক কষ্ট-যন্ত্রণাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলছেন এ গায়িকা। আর তার এই কণ্টকময় জীবন নিয়ে এবার নির্মিত হলো তথ্যচিত্র। সেলেনা গোমেজ : মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি’তে এ তারকার জীবনের প্রাপ্তি, তারকাখ্যাতি ও বিচ্ছেদের গল্প উঠে এসেছে।
তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন অ্যালেক কেশিশিয়ান। তিনি এর আগে ‘ম্যাডোনা : ট্রুথ অর ডেয়ার’ ও গোমেজের ২০১৫ সালের ভিডিও ‘হ্যান্ডস টু মাইসেল্ফ’ পরিচালনা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই ডকুমেন্টারির ট্রেলারটি মুক্তি পেয়েছে, যা ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।
তথ্যচিত্রে জাস্টিন বিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদকে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেরা জিনিস বলেও অভিহিত করেছেন সেলেনা। ডকুমেন্টারিতে সেলেনা স্বীকার করেছেন যে, সম্পর্কটি শেষ করা তার জন্য কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার অতীত সম্পর্কে আতঙ্কিত বোধ করেছি। কেউ-ই নিজের ভালোবাসা ছেড়ে দিতে চায় না। কিন্তু অবশেষে আমি এটিকে অতিক্রম করেছি। আমি আর ভয় পাইনি। ’
এর মাধ্যমে তার কঠিন সময়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে আসা দিনগুলোর কথাও জানতে পেরেছেন ভক্তরা। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির প্রকাশ করেছে, সেলেনা বছরের পর বছর ধরে আত্মহত্যার মতো বিষয়টির সাথে লড়াই করেছিলেন। সেলেনা বলেন, 'একটা সময় ভেবেছিলাম আমি না থাকলে পৃথিবী আরও ভালো হবে।’
পরে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কাটাতে ৪টি চিকিৎসা কেন্দ্রের সাহায্য নেন এই গায়িকা। এ প্রসঙ্গে সেলেনা বলেন, ‘যখন আমার বয়স ২০ বছর তখন মনে হতো জীবনটা অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তখন মনে হতো আত্মহত্যা একমাত্র সমাধান। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। ভালো খারাপের তফাৎ করতেও ব্যর্থ হচ্ছিলাম। সব মিলিয়ে দিন দিন মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরছিল। মনে হয়েছিল বিষণ্ণতার আবরণে ঢাকা এই জীবন শিগগিরই শেষ করে দিতে হবে।
সেলেনা আরও বলেন, ‘আমি যে ওষুধগুলো খেয়েছিলাম, সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। আমি কী বলছি বা কোথায় আছি সেটা ভুলে যেতাম। এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। তখন শিখেছি কঠিন মুহূর্ত কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়।’ নিজের এমন দিন পর করার পর থেকেই স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশ সচেতন হয়েছেন তিনি। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে সচেতন করতেও কাজ করেন সেলেনা।
প্রসঙ্গত, সেলেনা এবং জাস্টিন ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডেটিং করেছেন এবং অবশেষে নিজেদের সম্পর্ক সমাপ্ত করেন। তাদের বিচ্ছেদের পর অনেক মিডিয়ায় জল্পনা-কল্পনার তৈরি হয়। ভক্ত-অনুরাগীরা জাস্টিনের বর্তমান স্ত্রী হেইলি বিবারকে এর জন্য দায়ী করেন। তবে সম্প্রতি সেলেনা হেইলির সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করেন এবং জানান, অতীতের বিষয়ে তিনি আর কোনো আলোচনা চান না। তিনি এসব বিষয় ভুলে যেতে ভক্তদের অনুরোধও করেন।