পুরোনো ছবির প্রচারে ফেরদৌস

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। এখন তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নতুন দায়িত্ব পেয়ে।

এর ভিড়েই প্রচার চালালেন তার পুরোনো সিনেমার। গেল বছর মুক্তি পাওয়া ‌‌‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমার একজন অভিনেতা ফেরদৌস। এটি দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেয়েছে গেল ২ ফেব্রুয়ারি। ঢাকার স্টার সিনেপ্লক্সের বসুন্ধরা শাখা ও মিরপুরের সনি স্কয়ারে দেখা যাবে হৃদি হক পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাটি। সপ্তাহজুড়ে সিনেমাটি দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা হৃদি।

সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘দর্শকের ভালোবাসায় ২ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও হলে চলছে ১৯৭১ সেইসব দিন। বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স এবং সনি স্কয়ারে আপনার অপেক্ষায় আছি আমরা।’

স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় দুপুর ১টা ৪০ ও সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে দুটি করে প্রদর্শনী রাখা হয়েছে ছবিটির। অন্যদিকে সনি স্কয়ারে বেলা ১১টা, বিকাল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিদিন তিনটি করে প্রদর্শনী থাকছে। প্রতিদিন মোট পাঁচটি করে প্রদর্শনী হবে জানিয়ে হৃদি হক বলেন, ‘দর্শকের ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। গত আগস্টে সিনেমাটির মুক্তির পর থেকে দেশে-বিদেশে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। এবার ভাষার মাসে প্রেক্ষাগৃহে বসে সিনেমাটি দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ।’

গত বছরের ১০ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। টানা এক মাস প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি তুমুল প্রশংসিত হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পায় এ সিনেমা।

ড. ইনামুল হকের গল্পভাবনায় সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের একটি পরিবার এবং সে সময়ের কিছু ঘটনা নিয়ে এ সিনেমার গল্প। যে গল্পে প্রেম-ভালোবাসা, মুক্তির তাগিদে মিছিল-আন্দোলন, যুদ্ধ, নারী নির্যাতন, দেশের জন্য ভালোবাসা, রণাঙ্গন আর হারানোর বেদনা ফুটে উঠেছে। লাকী ইনামের প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে সরকারি অনুদানে। সিনেমায় দেশের অনেক শিল্পীর সম্মিলন ঘটিয়েছেন হৃদি।

অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফেরদৌস আহমেদ, লিটু আনাম, তারিন জাহান, হৃদি হক, সজল নূর, সানজিদা প্রীতি, নাজিয়া হক অর্ষা, আনিসুর রহমান মিলন, মৌসুমী হামিদ, সাজু খাদেম, গীতশ্রী চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপুসহ আরও অনেকে। লিটু আনাম অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমার শিল্প নির্দেশক ও কোরিওগ্রাফির কাজও করেছেন। সংগীত পরিচালনা করেছেন কলকাতার দেবজ্যোতি মিশ্র, সম্পাদনা করেছেন কামরুজ্জামান রনি।