প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০১ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০২ পিএম
সাইমন সাদিক ও মাহিয়া মাহি
শুরুর গল্পটা ২০১৩ সালে। দুজন প্রথম এক হলেন। এক হওয়ার সেই গল্প সাফল্যে রঙিন। বলছি ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় জুটি সাইমন সাদিক ও মাহিয়া মাহির কথা। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত পোড়ামন সিনেমায় আজ থেকে ১১ বছর আগে জুটিবদ্ধ হন তারা। সেই সিনেমা গান, গল্প, অভিনয়ের শক্তিতে জ্বলে উঠেছিল সারা বাংলায়।
কোটি দর্শকের মন জয় করে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমাটি পেয়েছিল ব্যবসায়িক সাফল্য। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় তাদের দেখা গেছে জুটি হিসেবে। যার মধ্যে উল্লেখ্য ‘জান্নাত’। এ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতে নেন সাইমন।
সেসব সাফল্যের প্রেরণায় মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সিনেমা দিয়ে আবারও পর্দায় হাজির হচ্ছেন সাইমন-মাহি। খুব শিগগির মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাদের অভিনীত নতুন সিনেমা আনন্দ অশ্রু। কয়েক বছর আগেই এ ছবির ঘোষণা এসেছিল। কাজও শেষ হয়েছে অনেক আগে। ছিল মুক্তির অপেক্ষা। এবার দুই তারকার ভক্তদের সুখবর দিলেন পরিচালক মানিক। তিনি সম্প্রতি ছবিটি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই আনন্দ অশ্রু পর্দায় নিয়ে আসতে চাই। সাইমন-মাহি জুটির রসায়ন দর্শক পছন্দ করে। তাদের সাফল্যের গ্রাফটাও বেশ ভালো। সেটাই উৎসাহ দেয় তাদের নিয়ে কাজ করতে। আমার বিশ্বাস, রোমান্টিক গল্পের এ সিনেমা দিয়ে আবারও দর্শকের ভালোবাসায় ভাসবেন এ জুটি।’
গ্রামের পটভূমিতে নির্মিত হয়েছে আনন্দ অশ্রু। এর গল্পে দেখা যাবে, গানের মানুষ সাইমন। মনের ক্ষুধা মেটাতে গান করলেও তার সংসার চলে না। তাই পেটের জন্য হলেও তাকে অন্য কিছু করতে হবে। অন্যদিকে প্রেমিকা মাহিকে বিয়ে করতে হলেও তাকে রোজগার করতে হবে। বাধ্য হয়েই গান ছেড়ে সাইমন শিঙাড়া-সমুচার দোকান খোলেন। আর যার ক্রেতা হিসেবে মাঝেমধ্যে হাজির হন মাহি। আছে প্রেম-বিরহের আরও অনেক উপভোগ্য দৃশ্য। এতে ফরহাদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন আর শিরি মাহি। ত্রিভুজ প্রেমের এ গল্পের অন্য নায়ক জয় চৌধুরী। আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, আলীরাজ, সুজাতা, মারুফ প্রমুখ। সুদীপ্ত সাইদ খানের গল্পে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন আসাদ জামান।
মজার বিষয় হলো, ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শিবলী সাদিক পরিচালিত এবং সালমান শাহ ও শাবনূর অভিনীত সুপারহিট আনন্দ অশ্রু সিনেমার নামেই নতুন সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। তবে নাম এক হলেও গল্পের কোনো মিল থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।