প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৫ এএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২০ এএম
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। দুই বাংলার দর্শক মুগ্ধ করেছেন তিনি। এ বছরের শুরুতেই নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’ দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এতে তার অভিনয় দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। গল্পনির্ভর এই ফিল্মে তিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নিজের চরিত্র ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফারিণ কথা বলছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার সঙ্গে। লিখেছেন মহিউদ্দিন মাহিÑ
‘অসময়’ মুক্তি পেল। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। এরপর পুরো ফিল্মটি আসার পর সহকর্মী, বন্ধু ও ভক্তদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকে এসএমএস দিয়ে জানাচ্ছেন, অনেকে আবার কল দিয়ে তাদের ভালো লাগার বিষয়গুলো প্রকাশ করছেন। বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি।
অমির সঙ্গে প্রথম কাজ।প্রত্যাশা কেমন ছিল?
অমি ভাইয়ের নির্দিষ্ট একটি জনরা আছে। সবাই মনে করে তার নির্মাণ মানেই কমেডি ড্রামা হবে। তবে এই গল্পটি একেবারেই আলাদা। নিজের মতো করে গল্পের চিত্রনাট্য করেছেন তিনি। আর্টিস্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তিনি বেশ সচেতন ছিলেন। এরপর পর্দায় ওয়েব ফিল্মের প্রতিটি চরিত্র গুরুত্ব দিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে কাজটি যখন সম্পন্ন হয় তখনই আমরা সবাই ধারণা করছিলাম ভালো কিছু হতে যাচ্ছে। সেই কনফিডেন্স আমিসহ সব অভিনেতা-অভিনেত্রীর ছিল। যার প্রমাণ মুক্তির পর পাচ্ছি।
ওয়েব ফিল্মটিতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন?
আমি এখানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বাবা-মা-ভাইকে নিয়ে বেশ টানাপড়েনের মাঝেই দিন কাটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা করতে গিয়ে আমি অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। অর্থের জন্য আমরা একটি গ্রুপ হয়ে উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের ব্ল্যাকমেইল করি। যার জন্য একসময় জেলখানায় যেতে হয়। আর এ নিয়েই আমাদের পরিবারে নেমে আসে কালো ছায়া। বাকিটা ‘অসময়’ দেখলেই সবাই বুঝতে পারবেন। চরিত্রে অনেক টুইস্ট রয়েছে।
চরিত্রটির সঙ্গে নিজের বাস্তব জীবনের কোনো অভিজ্ঞতা কি আছে, যা এতে কাজ করতে প্রেরণা দিয়েছে?
আমার পরিচিত অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে। আমার মনে হয়, আশপাশে এ রকম অনেক ঘটনা দেখতে পাবেন— যারা ইচ্ছে না হলে পরিস্থিতির কারণে মন্দ কাজে জড়িয়ে যান। যেখান থেকে পরিত্রাণটা খুব কষ্টকর। এমন গল্প বাস্তব জীবনে ভয়ংকর।
এই ওয়েব ফিল্মে সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট কী মনে হয়েছে আপনার কাছে?
এই ওয়েব ফিল্মের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছে এর গল্প ও বর্তমান সমাজের জন্য কিছু বার্তা। ফিল্মটির সমাপ্তিটা যা দেখেছি আমরা, কখনও কখনও তার চেয়ে বিপরীত সমাপ্তিও হয়। হঠাৎ একটা পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। সমাজে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। হাস্যরসের মাধ্যমেই এই বার্তাটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কেউ ওয়েব ফিল্মটি দেখে যেমন কাঁদবে, তেমনি হাসবে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য শক্তিও পাবে।
বিজ্ঞাপন, নাটক, ওয়েব সিরিজে সমানতালে কাজ করছেন। কলকাতার সিনেমায়ও আপনার অভিষেক হয়েছে। দেশের সিনেমায় আপনাকে কবে দেখতে পাব?
আমার পেশা অভিনয় ও মডেলিং। এই পেশা দিয়েই আমার পরিচিত। দেশের সিনেমায় অবশ্যই আমি অভিনয় করতে চাই। তবে কবে দর্শক দেখতে পাবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। কারণ এটি আমার হাতে নেই। নির্মাতারা আমাকে গল্পের জন্য পছন্দ করলে, সিনেমার গল্প আমার পছন্দ হলে অবশ্যই দেশের সিনেমায় কাজ করব। দেখা যাক সেটা কবে হয়।
নতুন বছরে কাজ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
নতুন বছরে নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি বাস্তববাদী মানুষ। পরিকল্পনা করে কোনো কিছু করি না। তবে নিজেকে আরও বেশি কাজের জন্য পরিণত করার চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। সেটি চলমান থাকবে।