প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৫ পিএম
ভারতের কেরালায় আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক থিয়েটার স্কুল নাট্য উৎসব (আইএফটিএস) ২০২৪। এ উৎসবটির আয়োজক কেরালার ত্রিশুরে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস (এসডিএফএ)। সেখানেই বাংলাদেশের প্রথিতযশা থিয়েটার ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীনের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হবে বার্টোল্ট ব্রেখটের ‘দ্য মেজারস টেকেন’ থেকে অনূদিত ‘সিদ্ধান্ত’ নাটকটি।
মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা নাটকটিতে অভিনয় করবেন। ‘কার্নিভাল অব পেডাগোজি : থিয়েটার অ্যান্ড ইকোলজি’ শীর্ষক শিরোনামে অর্থাৎ থিয়েটার এবং বাস্তুশাস্ত্রের সংযোগস্থলে শিক্ষাবিদ্যা অন্বেষণ করার বিষয়টি এবারকার উৎসবের প্রতিপাদ্য।
স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগের ডিরেক্টর ড. অভিলাষ পিল্লাই (এনএসডি অ্যালামনাই)-এর আমন্ত্রণে ড. ইসরাফিল শাহীন কেরালায় অবস্থিত স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টসের ড. জন মাথাই সেন্টার, আরনাট্টুকারা, ত্রিশুরে ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই দিনের কর্মশালা পরিচালনা করবেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত থিয়েটার ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আইএফটিএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে একটি উপস্থাপনাধর্মী আলোচনা সভাসহ আরও একটি এক্সটেনশন সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। ত্রিশুরের স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দল এ সেশনগুলোয় অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
কেরালা থেকে ফেরার পথে ২৩ জানুয়ারি ড. ইসরাফিল শাহীন এবং তার দল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রসংগীত, নৃত্য এবং নাট্যকলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান মোহন কুমারানের আমন্ত্রণে সিদ্ধান্ত নাটকটি মঞ্চস্থ করবেন। এরপর ২৪ জানুয়ারি কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান ড. শান্তনু দাসের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রভারতীর বিটি রোড ক্যাম্পাসে সিদ্ধান্ত পুনরায় মঞ্চস্থ হবে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি কর্মশালাও পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের বহুমাত্রিক থিয়েটার ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন।
সিদ্ধান্ত বা দ্য মেজারস টেকেন প্রকৃতপক্ষে কয়েকজন বিপ্লবীর এমন এক সংকটাপন্ন পরিণতি নির্দেশ করে, যা এক তরুণ কমরেডের চলমান আবেগের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্র্যাটেজিক বিপ্লবের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় হয়ে ওঠে অতি সাংঘর্ষিক। আর পার্টি থেকে বিচ্যুত কিন্তু জনতার প্রতি মহাজাগতিক মমত্ববোধ সত্ত্বেও এ তরুণ কমরেডকে অন্যান্য কমরেডের সহযোগিতায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পরিণতি গুনতে হয়। প্রশ্ন উত্থাপিত হয়Ñএ মৃত্যু হত্যা নয়, আবার আত্মহত্যাও নয়, তবে কী?
এক অপরিমেয় বেদনানির্ভর কথন যখন দর্শকের ক্রিটিক্যাল জাজমেন্ট প্রত্যাশা করে তখন শ্রেণিবিভক্ত সমাজের সোপান আমাদের যদিও ভোগবাদী হতে ডাকছে তবু একবার গর্জে উঠি, গান গাই, গোঙাই, আর্তস্বরে ডেকে উঠিÑমানুষের বুকের ভেতরে আমরা শিল্পী নই, স্রষ্টা নইÑশুধু মানুষের অবয়ব হয়ে ওঠার চেষ্টা।