একযোগে ৬৩ জেলায় ‘সাঁতাও’

বছরের শেষ দিনে আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ৬৩ জেলায় ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে। দেশের ১৭টি চলচ্চিত্র নিয়ে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত একাডেমির আয়োজনে ‘গণজাগরণে চলচ্চিত্র উৎসব’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ৬৩ জেলায় একযোগে বিকাল ৪টায় সাঁতাও বড়পর্দায় দেখা হবে।

শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক ইকরামুল ইসলাম বলেন, ‘গণজাগরণে শিল্প আন্দোলনের মাধ্যমে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শৈল্পিক মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রগুলো কেবল ঢাকা নয়, বাইরের দর্শকদের মাঝেও পৌঁছে যাবে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে।’

সাঁতাওয়ের পরিচালক খন্দকার সুমন বলেন, ৬৩ জেলায় বড়পর্দায় একযোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক যে চলচ্চিত্র উৎসবগুলো হয়, সেখানেও একযোগে ৬৩টি প্রদর্শনী হয় না। শিল্পকলা একাডেমি এবং মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ভাই সব সময় সুস্থধারার চলচ্চিত্রের সঙ্গে ছিলেন বলেই একযোগে এতগুলো প্রদর্শনী গণঅর্থায়নে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের ভাগ্যে জুটল।’

গণঅর্থায়নে নির্মিত সাঁতাও দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল ২৭ জানুয়ারি। এরপর মার্চ থেকে বিভিন্ন জেলায় ছবিটির বিকল্প প্রদর্শনী হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড থেকে চলচ্চিত্রটি দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে দেখতে হলে ‘বায়োস্কোপ লাইভ’ অ্যাপস থেকে দেখা যাবে।

ছবিটি ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে ফিপ্রিসির সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিশ্বের নানা স্বীকৃতি পেয়েছে।

কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখদুঃখ, হাসিকান্নার গল্প চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির করেছে সাঁতাও। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক। অন্যান্য চরিত্রে মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আবদুল আজিজ মণ্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আবদুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মো. হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী। এ চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন, সহকারী পরিচালক ছিলেন শ্যামল শিশির, সুপিন বর্মণ ও মাসুদ রানা নকীব।