প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৩২ পিএম
রজনীকান্তের স্ত্রী লতা রজনীকান্তের ১০ কোটি নিয়েও নাকি ফেরত দিচ্ছেন না। যদিও সম্প্রতি জামিন দিয়েছে আদালত তাকে। প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে লতা দাবি করেছেন, তাকে ‘তারকা হওয়ার মূল্য’ দিতে হয়েছে।
তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তের স্ত্রী লতা রজনীকান্তকে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর আদালতের তরফে জামিন দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছিল তামিল ছবি ‘কোচাদাইয়ান’-এর সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য।
এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা বলেন, ‘আমার কাছে এটি কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তিকে অপমান, হয়রানি এবং শোষণের ঘটনা। সেলেব্রিটি হওয়ার জন্য আমাদের এই মূল্য দিতেই হয়। হতে পারে এটা কোনো বড় মামলা নয়। কিন্তু এটাকেই বড় করে দেখা হবে। আমি কোনো জালিয়াত নই।’
চেন্নাইভিত্তিক অ্যাড ব্যুরো অ্যাডভার্টাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড লতা রজনীকান্তের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছিল। অভিযোগকারীর দাবি, ছবিটির অন্যতম প্রযোজক মিডিয়া ওয়ানকে ১০ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছেন যে, তাতে লতা রজনীকান্ত গ্যারান্টার হিসাবে স্বাক্ষর করেছিলেন।
‘যে টাকাগুলো নিয়ে রিপোর্ট করা হচ্ছে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই নেই। সেটা মিডিয়া ওয়ান ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যেকার বিষয়। তারা ইতিমধ্যেই মীমাংসা করেছে এবং বিষয়টি তাদের মধ্যেই রয়েছে। আমি গ্যারান্টার হিসেবে শুধু নিশ্চিত করেছি যে তাদের অর্থ প্রদান করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত লতা রজনীকান্তকে ১ লাখের ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার নগদ প্রদান করে জামিন মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছে ডেকান হেরাল্ড। অক্টোবর মাসেই সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে লতা রজনীকান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুণরায় দাখিল করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল রজনীকান্ত এবং দীপিকা পাড়ুকোনের ছবি ‘কোচাদাইয়ান’। এই ছবিতেই পরিচালক হিসেবে হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন রজনীর ছোট মেয়ে সৌন্দর্য্যা। আর ১২৫ কোটি বাজেটে বানানো এই সিনেমার জন্য ১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল লতার সংস্থা ‘মিডিয়াওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেড’।