প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৭ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৫ পিএম
এ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। এবারই প্রথম তার সংগীতজীবনের স্টেজ শোর ক্ষেত্রে ঘটেছে এক অনন্য রেকর্ড। গেল ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ‘রিয়াদ সিজন বিগটাইম’ শোতে ইমরান পারফর্ম করেছেন। বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতা-দর্শক ইমরানের এই শো উপভোগ করার জন্য বলা যায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। প্রথম দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর যে পার্কে ইমরানের গান গাইবার কথা, সেই পার্কে আয়োজকদের ধারণা ছিল ২০ থেকে ৩০ হাজার দর্শক হবে। কিন্তু দর্শক হয়ে যায় দুই লাখেরও বেশি। পুলিশ না থাকার কারণে সিকিউরিটি ইস্যু কারণ দেখিয়ে তখনই সৌদি সরকার সেই শো বাতিল করে।
পরদিন পুলিশসহ অন্যান্য সিকিউরিটি বাড়িয়ে ইমরানের শোয়ের আয়োজন করা হয়। পার্কের ভেতরে প্রায় তিন লাখ দর্শক ইমরানের গান সরাসরি শুনতে ছুটে আসেন। বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন আরও দুই লাখেরও বেশি দর্শক।
আয়োজকরা ভাবতেও পারেননি ইমরানের শো ঘিরে এমনটা হবে। আয়োজকরা চেয়েছিলেন যেন দুটি সিজনে ইমরান শো করেন। কারণ দর্শকের কাছ থেকে বিশেষ অনুরোধও ছিল। কিন্তু ইমরান ও তার টিমের কোনো উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত পার্কের ভেতরে প্রায় তিন লাখ এবং বাইরে থাকা দুই লাখেরও বেশি দর্শক নিয়েই ইমরানের শো করলেন।
ইমরানের গাওয়া প্রতিটি গানের সঙ্গে শ্রোতারা গেয়েছেন, নেচেছেন এবং মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করেন রিয়াদের ওই শোতে।
ইমরানের ভাষ্যমতে, এটি তার সংগীতজীবনের রেকর্ড। ইমরান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমি শো করেছি। কিন্তু দর্শকের প্রচুর সমাগমের কারণে সিকিউরিটি ইস্যু দেখিয়ে শো বাতিল হয়ে পরদিন আবার নিরাপত্তা বাড়িয়ে শো করা এটা আমার সংগীতজীবনে প্রথম। আমাকে অসাধারণ এক অনুভূতি উপহার দিল সৌদি প্রবাসীরা। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার স্টেজ শোর ইতিহাসে এটা হিস্টোরিক্যাল ক্রাউড হয়ে থাকবে। আমার গান শোনাকে ঘিরে এত মানুষের ভিড়, এত মানুষের ভালোবাসা, আমার নিজের চোখের সামনেই ঘটে যাওয়া এই অবিস্মরণীয় দৃশ্য আমাকে একজন বাংলাদেশি হিসেবে ভীষণ গর্বিত করেছে। আজীবন এই গর্বিত সময়টার কথা মনে থাকবে। সত্যিই আমি ভীষণ সৌভাগ্যবান।’
শো শেষে আজ দেশে ফিরছেন ইমরান। যথারীতি ইমরানের সঙ্গে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে এই সফরেও সঙ্গে ছিলেন ড্রামসে সজল কুমার সাহা, লিড গিটারে অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু, কীবোর্ডে কাইয়ূম খান ও বেজ গিটারে জাহাঙ্গীর আলম জনি।