প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১০:২৭ এএম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১১:০২ এএম
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও নাট্য নির্মাতা। ব্যতিক্রমধর্মী নির্মাণ দিয়ে সবসময় আলোচনায় থাকা এই নির্মাতার ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি দীর্ঘ চার বছর ধরে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। তবে ছবিটি আমেরিকা ও ভারতে মুক্তি পেয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে তার ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। এ সিনেমা দিয়ে অভিনেতা ফারুকীর অভিষেক ঘটছে। ওটিটিতে মুক্তি পাবে তার আরও একটি সিনেমা ‘মনোগামী’।বর্তমানে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘৮৪০’-এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এরই মধ্যে এটি আলোচনায় এসেছে। নানাবিধ খবরের শিরোনামে থাকা এই নির্মাতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে দীর্ঘ আলাপের চুম্বকাংশ তুলে ধরেছেন মহিউদ্দিন মাহিÑ
ভারতে শনিবার বিকেল মুক্তি পেল। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এক কথায় যদি বলি ভালোই সাড়া পাচ্ছি। যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে, তাই শুধু ভারতের দর্শকদের থেকেই মন্তব্য পাচ্ছি এমন নয়। দেশের অনেক সহকর্মী, বন্ধু ও পরিচিতজনরাও সিনেমাটি দেখে নিজেদের মন্তব্য জানাচ্ছেন। বেশ ভালোই লাগছে। অনেক লেখাও দেখলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেগুলো পড়েও শান্তি পাচ্ছি। তবে আরও বেশি ভালো লাগত, যদি আমার ইচ্ছেটা পূরণ হতো। দেশের হলে যদি ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি দিতে পারতাম।
ছবিটি এ নিয়ে দুটি দেশে মুক্তি পেল। আমাদের দেশে কি আর কোনো সম্ভাবনা নেই মুক্তির?
সম্ভাবনা না থাকার কোনো কারণ নেই। আমি আশাবাদী মানুষ। আমি কখনও হাল ছেড়ে দিতে শিখিনি। অপেক্ষা করব। এতদিন যেমন করে এসেছি তেমনই করব। সিনেমা তো আর মরে যাচ্ছে না। আমি আশাবাদী, অবশ্যই আমার মনের ইচ্ছেটি পূরণ হবে এক দিন। দেশের দর্শক হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন।
এদিকে অটোবায়োগ্রাফি আসছে। এটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
সত্যি কথা বলতে অনেক প্রত্যাশা নিয়েই কাজটি করেছি। তবে একটু ভয়েও আছি। দর্শক আমার অভিনয় কতটা নিতে পারবে, সেটা ভাবছি। হা হা হা... অভিনেতা হিসেবে এটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা তো, একটু ভাবতে হচ্ছেই। বাদ বাকি যা হবে মুক্তির পর দেখা যাবে। ইতোমধ্যেই সিনেমাটির প্রচারণা থেকে দর্শকদের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকদের আমন্ত্রণ রইল। দেখে জানাবেন, ফারুকী নির্মাণে ভালো নাকি অভিনয়ে।
তিশার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অভিনয়ে তিশা আমার চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তার সঙ্গে কাজ করা আনন্দের ছিল। দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে বলা যায়। এর আগে আমি তাকে ক্যামেরার পেছন থেকে নির্দেশনা দিয়েছি বহুবার। এবার সে আমাকে ক্যামেরার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য সহযোগিতা করেছে।
এ ছবির জন্য জায়েদ খানকে ডিগবাজি দিয়ে প্রচারণা করতে দেখা গেছে। ভাইরাল তারকা বলে তাকে দিয়ে ছবির প্রচার করালেন বলে সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে কিছু বলবেন?
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রচারণাও ডিজিটাল। আর একটু ব্যতিক্রম কিছু হলেই সেগুলো নিয়ে নানা রকম আলোচনা থাকে। আমি মনে করি ওটা সমালোচনার বিষয় হতেই পারে। তাতে দোষ দেখি না। অনেকের ভালোও লেগেছে কিন্তু। আপনাকে দেখতে হবে কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে কি না। আমরা যেটা চেয়েছিলাম সেটি হয়েছে। দর্শকদের বড় একটি অংশ এই প্রচারণা অনুসরণ করেছে। এই বিষয় নিয়ে আমার আর তেমন কোনো মন্তব্য নেই।
আপনার নতুন ওয়েব সিরিজ ৮৪০ সম্পর্কে জানতে চাই। এখানে কি ৪২০ নাটকের কোনো সূত্র থাকবে?
নতুন এই সিরিজে অনেক কিছুই থাকবে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু আগে বললে তো মজাটা আগেই শেষ হয়ে যাবে।
এখানেও জায়েদ খান রয়েছেন, শাহরিয়ার নাজিম জয় আছেন। যারা আজকাল ‘ভাইরাল আর্টিস্ট’ বলেই বেশি আলোচিত হন। আপনার পরিচালনায় তারা কাজ করছেন এটা নিয়েও নানারকম আলোচনাÑ
এটা ভালো। যেকোনো কাজ নিয়ে যেকোনো ধরনের আলোচনা তো হওয়া দরকার। গল্পের প্রয়োজনে আমি অভিনেতা-অভিনেত্রী কাস্টিং করি। সেখানে কে ভাইরাল, কে সমালোচিত, তা বিবেচনা করার পক্ষে আমি নই। গল্প যাদের ডিমান্ড করে, আমি তাদের নিয়েই কাজ করি। সেই ডিমান্ড থেকেই এবারের সিরিজে আমার কাস্টিং করা হয়েছে। দর্শক উপভোগ করলেই এই জার্নি সাকসেস। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার সুযোগ এখন নেই।
কবে নাগাদ দেখা যাবে এ ওয়েব সিরিজ?
শুটিং চলছে। শুটিং সেট থেকেই আপনার সঙ্গে কথা বলছি। শুটিং সম্পন্ন হবে দ্রুতই। এডিটিং, ডাবিং চলতি বছরই শেষ করতে চাই। সব গুছিয়ে মুক্তির তারিখ বলতে পারব।