প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ০১:০৮ এএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৯ পিএম
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ছবি- সংগৃহীত
আগের মতো আর অভিনয়ে পাওয়া যায় না তাকে। সিনেমা থেকে অনেক দিন থেকেই দূরে। বিরতি দিয়ে মাঝে তিনটি সিনেমায় কাজ করলেও সেগুলো মুক্তির প্রহর গুনছে। নাটকেও নেই তিনি অনেক দিন। হুট করে তার দেখা মেলে উপস্থাপনায়। আজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অতিথি হয়ে। সেখানেও তার সঙ্গে দেখা যায় ফেরদৌসকে। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেন ‘মনের মাঝে তুমি’ খ্যাত নায়িকা। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের পলিটিক্সের কারণে অনেক সিনেমা থেকে বাদ পড়েছিলেন। তার এ বক্তব্য বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পূর্ণিমা বলেন, ‘এখন তো চলচ্চিত্র অনেক কমে এসেছে। অনেক শিল্পী ঘরে বসে গেছেন। কেউ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন। অনেকেই পলিটিক্সের কারণে সিনেমার কাজ পাচ্ছেন না। আমিও সেই একই পলিটিক্সের শিকার! অনেক সিনেমা থেকেই কোনো কারণ ছাড়াই বাদ পড়েছি। পলিটিক্স ছিল বলেই এসব হয়েছে। এখন এফডিসিও ছোট হয়ে আসছে।’
একসময় চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা ও এফডিসির শানশওকত ছিল দাবি করে এই নায়িকা বলেন, ‘আপনারা যারা নতুন এসেছেন সাংবাদিকতায় তারা সেই রমরমা এফডিসি দেখেননি। আমরা কিছুদিন সেই ব্যস্ত এফডিসিতে কাজের সুযোগ পেয়েছি। আমার নিজেরই এমন হয়েছে যে তিন ফ্লোরে আমার সিনেমার শুটিং চলছে। এক ঘণ্টা এক সিনেমার শুটিং করেছি, তারপর অন্য ফ্লোরে গিয়ে আরেক সিনেমার শুটিং। তখন প্রতিযোগিতা ছিল। সবাই চেষ্টা করত ভালো করার। এরপর অনেকেই এসেছে, ভালো কাজ করেছে। এখন শাকিব খান ভালো কাজ করছে।’
পূর্ণিমার চোখে সিনেমার সুপারস্টার কারাÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজ্জাক সাহেব সুপারস্টার। রাজ্জাক আঙ্কেল ছিলেন সিনেমার ফুল প্যাকেজ। রুবেল ভাই, উনার অ্যাকশন সিনেমার আলাদা ফ্যান ছিল। তার ছবি দেখার জন্য হলে আসত দর্শক। শহীদুল ইসলাম খোকন সাহেব। পরিচালক হিসেবে তিনি ছিলেন সুপারস্টার। মান্না ভাই ছিলেন অনেক বড় সুপারস্টার। আর নায়িকাদের বেলায় বলব শাবানা, ববিতা ম্যাডামরা। আর আমরা যখন কাজ করতে এলাম মৌসুমী-সালমান জুটিকে পেয়েছি। সালমান শাহ, শাবনূর এনারা ছিলেন সুপারস্টার। সবাই প্রতিযোগিতা করে কাজ করতেন। সবাই ভালো করতেন। একেক সময় একেকজন এগিয়ে থাকতেন।’
এ সময় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করা প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, ‘কিছু গল্পে আছে, যেখানে হয়তো কিছু আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো আপত্তিকর দৃশ্যে কাজ করতে পারব না। ওটিটিতে যেহেতু সেন্সরের কিছু নেই, দেখা গেল ওই গল্পের জন্য দৃশ্যটা খুবই জরুরি ছিল। এমন সব গল্প আমাকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। পরে হয়তো আরও ভালো কোনো অভিনেত্রীকে তারা নিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে আমি মনে করি, এটা আমারই ব্যক্তিগত সমস্যা।’
পূর্ণিমা অভিনীত বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে সরকারি অনুদানে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’। সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ। এ ছাড়া নির্মাণাধীন রয়েছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ সিনেমা দুটি। দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা দুটির কাজ থমকে আছে। একটিতে তার বিপরীতে আছেন ফেরদৌস, আরেকটিতে আরিফিন শুভ।