প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৬ পিএম
বছর ঘুরে আবারও
শুরু হতে যাচ্ছে ‘কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্ট’। আগামী ১০ নভেম্বর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে
হবে কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ কনসার্টটি। জনপ্রিয় সব গানের পসরা নিয়ে এবার ৩০ জনের বেশি
শিল্পী ফের আসছেন স্টুডিওর বাইরে, খোলা কনসার্টে। কোক স্টুডিও বাংলায় দেশের স্বনামধন্য
শিল্পীরা যেমন এসেছেন, তেমনি পরিচিতির আলোর বাইরে থাকা শিল্পীদেরও নতুন করে পরিচয় করিয়ে
দিয়েছে গানের এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। তেমনি একজন তরুণ শিল্পী কানিজ খন্দকার মিতু। কোক
স্টুডিওতে লালনের সেই বিখ্যাত গান ‘সব লোকে কয়’ উঠে এসেছে তরুণ এই শিল্পীর কণ্ঠে।
এরই মধ্যে গানটি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার মেয়ে মিতু। স্বপ্ন দেখতেন
গান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। তার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপটি শুরু হয় সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি
শো মেঘে ঢাকা তারায় অংশ নিয়ে। ২০১১ সালে আয়োজিত একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আয়োজনে
প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। মিতুর এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ অধ্যবসায়।
নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এইচএসসির পর পড়াশোনা শুরু করেন সংগীতের ওপর। জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন মিতু।
বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকসংগীত বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত তিনি।
কোক স্টুডিওতে
গুণী সংগীতশিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল জানতে চাইলে মিতু
বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মটিতে যারা কাজ করেন তারা অনেক বড়মাপের গুণী মানুষ। প্রথম থেকেই
আমি এখানে গান গাওয়ার বিষয়ে যারা সিনিয়ররা আছেন তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষ
করে আমার গানের কোনো বিষয় হলেও সেগুলোর ব্যাপারে তারা বুঝিয়ে দিতেন।’
ভবিষ্যতে ফোক
গানের পাশাপাশি আধুনিক গান করার ইচ্ছা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংগীত নিয়ে আমার অনেক
স্বপ্ন আছে। যদি সুযোগ আসে কখনও এবং এমন কোনো গান যদি মনে হয় আমার কণ্ঠে করা যাবে,
তাহলে অবশ্যই করব।’
আমি বাংলাদেশের
অনেক বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গান নিয়েও গবেষণার কাজ করছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিলুপ্তপ্রায়
ধুইয়া গান। ইতোমধ্যে গানের ওপর আমার নিজের করা একটি গবেষণা ‘মানববিদ্যা’ নামক একটি
জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আরেকটি গবেষণার কাজ এখনও চলমান। আশা করছি শিগগিরই সেটিও প্রকাশিত
হবে অন্য একটি জার্নালে।
গান নিয়ে নিজের
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বলতে গিয়ে মিতু বলেন, ‘গানটাকে আমি আমার অন্তরে লালন করি।
তাই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব সময় আমি গান নিয়ে স্বপ্ন দেখি। আমি যেহেতু সংগীতের ওপর পড়াশোনা
করছি, তাই আমি চাই সব সময় আমাদের দেশের হারিয়ে যাওয়া গানগুলো নিয়ে কাজ করতে। পাশাপাশি
গবেষণার মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য বিশেষ করে সংগীত প্রিয়দের জন্য নতুন কিছু উপহার
দিতে।’
বর্তমানে বাংলা
বাউল স্টুডিও সিজন-১ নামের একটি অনুষ্ঠানের জন্য গান করছেন। আসছে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানটি
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।