প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০৩ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৫ পিএম
নারী পাচার কেন্দ্র করে গ্রাম ও শহরের দুই নারীর শেকল ভাঙার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘মেঘনাকন্যা’ সিনেমা। এটি নির্মাণ করেছেন ফুয়াদ চৌধুরী। তার মতে, নারী পাচারের মতো একটি কঠিন বিষয়ের সঙ্গে গ্রামীণ পটভূমিতে বলা সিনেমাটির গল্পে রয়েছে দর্শকের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদন। পর্দায় নানা রকমের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হওয়া ভিন্ন দুটি অবস্থানের নারীর মাধ্যমে বলা হয়েছে স্বপ্নপূরণের গল্প।
আনোয়ার আজাদ ফিল্ম’স ও এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির সহযোগিতায় আছে সুইজারল্যান্ড এবং টেলিভিশন পার্টনার দীপ্ত টিভি। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, সাজ্জাদ হোসাইন, সেমন্তি সৌমি, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, মোহাম্মদ বারী, জয়শ্রী কর জয়া, সাইকা আহমেদ, আমিরুল ইসলাম, শেখ স্বপ্না, সানজিদা মিলা, উপমাসহ অনেকে।
এর সংগীতায়োজন করেছেন চিরকুট খ্যাত সুমী। চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান ও আহমেদ খান হীরক।
এর গল্প সম্পর্কে জানা যায়, চারপাশ ঘেরা মেঘনা নদী, ঠিক তার মাঝখানে ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো গ্রাম উলানিয়া। শহরের মেয়ে প্রজ্ঞা এসেছে এ গ্রামে। মনের ভেতর তার মন ভাঙার মেঘ, চোখের তারায় মেজাজ হারিয়ে ফেলার ঝিলিক। নাঃ, তার একদমই এসব গ্রাম ভালো লাগছে না। কদিন পরই তার ক্যাম্পাসে আছে অনুষ্ঠান; সেখানে নাচতে চায়... যদিও তার বয়ফ্রেন্ড ব্যাপারটা ভালো চোখে দেখেনি; তাই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একেবারে কাটাকুটি!
একদিকে ব্রেকআপ, অন্যদিকে গ্রামের নতুন পরিস্থিতিতে খাপ না-খাওয়ানোয় শহরে ফিরতে চায় প্রজ্ঞা; কিন্তু তখনই সে মুখোমুখি হয় গ্রামের সবচেয়ে পুরোনো এক ভবনের। সেখানে সন্ধান মেলে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের। চাইলেই কি সেই চক্রের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবে প্রজ্ঞা? চাইলেই কি ভাঙতে পারবে মানুষের ভ্রান্ত ধারণার ট্যাবুগুলো?
কানাডার টরন্টোর একটি স্থানীয় মাল্টিপ্লেক্সে ১৫ অক্টোবর মেঘনাকন্যার প্রদর্শনী হয়।