× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ওয়ান ইলেভেনে আমাকে নতুনভাবে পাবেন দর্শক

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১০:২৫ এএম

আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৫০ এএম

ওয়ান ইলেভেনে আমাকে নতুনভাবে পাবেন দর্শক

ওপার বাংলার মেধাবী অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে তিনি ফিরছেন অভিনয়ে। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বেশ কিছু নতুন কাজে। এর মধ্যে বাংলাদেশের রহস্য থ্রিলার চলচ্চিত্র ‌‘ওয়ান ইলেভেন’ উল্লেখযোগ্য। হুমায়ুন কবির বিশ্বাসের গল্পে ওয়ান ইলেভেন চলচ্চিত্রটির সংলাপ লিখেছেন মোজাফফর হোসেন। চিত্রনাট্য সংশোধন এবং পরিমার্জন করেছেন গুণী চলচ্চিত্রকার যুগল নূরুল আলম আতিক মাতিয়া বানু শুকু। চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজক রবিন শামস। পরিচালনা করবেন কামরুল ইসলাম রিফাত।  সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর এপারের সিনেমায় দেখা মিলবে স্বস্তিকার। ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী। লিখেছেন মহিউদ্দিন মাহি

 

শরীর এখন কেমন?

এখন ভালো আছি। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে আমার সার্জারিটা হয়েছে। তারপর এক মাস রেস্ট নিয়েছি। ধকলটা কাটিয়ে ওঠেছি। সে সময়টা বাড়িতেই ছিলাম। বেডরেস্ট তো আর হয় না, হোমরেস্ট হয়। এখন বেশ ভালো আছি।

 

অনেক দিন পর বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করতে আসছেন। কেমন লাগছে?

ওপার বাংলায় কাজ করার ইচ্ছা আমার প্রবল এবং সেটা বহু বছর ধরে। ২০০৮ সালে প্রথমবার সেখানে কাজ করেছিলাম। তখনই গিয়েছিলাম ঢাকায়। সেটা ছিল কমার্শিয়াল সিনেমা। শুটিং করেছি। তারপর বহু পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে কথা হয়েছে, স্ক্রিপ্ট আদান-প্রদান হয়েছে, কিন্তু ঠিক কাজটি করা হয়নি, ব্যাটে-বলে হয়নি সবটা। ওয়ান ইলেভেন দিয়ে অবশেষে নতুন কাজ হতে যাচ্ছে। আমি অপেক্ষায় আছি শুটিং শুরু করার।

 

ওয়ান ইলেভেনে অভিনয়ে সম্মতির পেছনে বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে কি?

কামরুল রিফাত, আমার ছবির পরিচালক। তিনিই ওয়ান ইলেভেন ছবির গল্পটা আমাকে পাঠিয়েছিলেন ২০২১ সালে। কোভিডের পুরো যন্ত্রণার মধ্যেই আমি প্রথম গল্পটা পড়েছিলাম এবং ২০২১ সাল থেকেই কামরুল রিফাত ওনার টিম, ওনাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ চলছিল। তারপর আমি স্ক্রিপ্টটা পড়েছি। অনেক ড্রাফট পড়েছি, চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জুম কলে অনেক মিটিং করেছি এবং এক রকম মুগ্ধতা তৈরি হয়েছে পুরো গল্পে। তারা যেভাবে শুটিং করতে চান, পুরো বিষয়টার সঙ্গে একমত হয়েছি। সেই মুগ্ধতা থেকেই কাজটা করতে চাওয়া। আর আমি সব সময় এমন চরিত্র করতে চাই, যেগুলো আগে কখনও করিনি। আর বাংলাদেশের একটা কাজ করব, মনের মতো না হলে হয়তো কাজটা করা হতো না। এটা আমার মনের মতো একটি কাজ।

 

চলচ্চিত্র মিষ্টি থ্রিলার নাকি পলিটিক্যাল থ্রিলার?

আমাদের জীবনটা তো রাজনীতির বাইরে নয় এবং রহস্যের বাইরেও নয়। আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মনে হয় না বুঝতে পারি যে আমাদের দিনটা ঠিক কীভাবে কাটবে বা কাজের ক্ষেত্রেও, আমার প্রফেশনের ক্ষেত্রেও, শুটিংয়ে দুপুরবেলা ঠিক জানি না সন্ধ্যাবেলা সিনগুলো কী রকম যাবে। রহস্য আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েই থাকে সর্বদা। সেটা ছবির ক্ষেত্রে হোক বা গল্পের ক্ষেত্রে। না জানাটার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। সেজন্য আপনারা যখন ওয়ান ইলেভেন ছবিটা বড়পর্দায় দেখবেন কৌতূহল থাকবে। এটুকুই বলব, ছবিটিতে যে সবকিছু মিশে আছে আমাদের জীবনের মতো।

 

নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ কলাতে ধূসর চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। এবারও কি তেমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে?

নিঃসন্দেহে। আমি গৎবাঁধা কোনো চরিত্রে কাজ করব না। যেসব চরিত্রে আমাকে দর্শক দেখে ফেলেছেন সেগুলো রিপিটও করব না। সব সময় চাই একদম নতুনভাবে দর্শকের সামনে আসব। সেটা নতুন চরিত্র হোক, সাজপোশাক হোক, চেহারা হোক। ওয়ান ইলেভেন ছবিতেও আমার চরিত্রটা একদম নতুন। ও রকমভাবে আমাকে দর্শক আগে কখনও দেখেননি। আমি আশা করছি চরিত্রেও দর্শক মুগ্ধ হবেন।

 

বলিউডের সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে দক্ষ নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করছেন। ওয়ান ইলেভেন পরিচালনা করবেন নতুন নির্মাতা। তার ওপর আস্থা রেখে কতটা নির্ভার বোধ করছেন?

আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে মনে হয় আমি সবচেয়ে বেশি নতুন পরিচালক, নতুন প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করেছি। পরিচালকদেরও প্রথম ছবি এবং আমারও তাদের সঙ্গে প্রথম ছবি। বাংলার অনেক পরিচালক আছেন যাদের প্রথম ছবি আমার সঙ্গে হয়েছে এবং তারপর বোম্বেতে গিয়েও তারা কাজ করেছেন। তখন আমি আবার তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি কখনোই নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভীত ছিলাম না। আর দেখুন সব প্রফেশনে সবারই একটা প্রথম দিন থাকে। আমারও ছিল, আমার জীবনেও একটা প্রথম দিন ছিল, একটা প্রথম কাজ ছিল এবং আমি জানি যে নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে না চাওয়ার হতাশা কতটা। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের জীবনে সেটার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমার নিজের যে অভিজ্ঞতা সেই হতাশার বিরক্তি থেকে মনে হয় আমি সব সময় নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কামরুল ইসলাম রিফাত এবং এ ছবিটি নিয়ে আমি আশাবাদী। তার টিম, অ্যাসোসিয়েট, ডিরেক্টর অ্যাসিস্ট্যান্ট; সবার সঙ্গে প্রচুরবার আমার কথা হচ্ছে, ফোনে যোগাযোগ রয়েছে। এতটাই দক্ষতার সঙ্গে তারা কাজ করছেন যে আমার আর ধৈর্য থাকছে না। আমার সঙ্গে যখনই কথা হচ্ছে, আমি বলছি যে আমরা কত তাড়াতাড়ি শুটিংটা শুরু করতে পারব।

 

বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন। তার সঙ্গে প্রথমবারের মতো একই চলচ্চিত্রে কাজ করতে যাচ্ছেন, ব্যাপারটি আপনাকে কতটা উৎসাহ জোগাচ্ছে?

আমি বাংলাদেশের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর কাজের ভক্ত। সেখানকার অনেকের কাজ ফলো করি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হোক বা এখানে কলকাতায় যে ছবিগুলো রিলিজ করে, সেগুলো দেখার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে বসে থাকি। আফজাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করাটাও একটি খুব বড় পাওনা। বড়পর্দায় আমাদের একসঙ্গে দেখে দর্শকেরও ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। আফজাল হোসেন তো আছেনই, বাকি যে কলাকুশলীরা আছেন তাদের সঙ্গে কাজ করাটাকেও আমি আনন্দের মনে করি। এবার শুটিং শুরুর অপেক্ষা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা