বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০৫ পিএম
একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার হিসেবে পরিচিত মীর সাব্বির। তবে তার এই তিন পরিচয়ের বাইরেও তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন চলচ্চিত্রে। তার পরিচালনায় নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘রাত জাগা ফুল’ দিয়ে লুফে নিয়েছেন অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। সাম্প্রতিক কাজের ব্যস্ততা ও বেশ কিছু অজানা গল্প নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তানভীর আহমেদ মৌসুম—
এখন কী নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে?
এখন আমি কিছু এক ঘণ্টার প্যাকেজ নাটকে অভিনয় করছি, আর বর্তমানে বেশ কিছু ওভিসি নির্মাণ করছি নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে। এর পাশাপাশি আমার ডিরেকশনে বেশ কিছু নাটক মাছরাঙাসহ কয়েকটি চ্যানেলে খুব দ্রুতই প্রচারিত হবে।
‘রাত জাগা ফুল’-এর পর সামগ্রিক প্রাপ্তিটা কতটুকু?
প্রাপ্তিগুলো ছিল অসাধারণ, যা আমার কাজের ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকার বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড, কলকাতার টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড, এনইবিসি অ্যাওয়ার্ড লাসভেগাসসহ বেশ কিছু সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। পাশাপাশি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমার এ ছবিটি জমা দিয়েছি। আশা করছি, সামনে ভালো খবর আসবে।
সিনেমা নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা কী?
‘রাত জাগা ফুল’-এর পর এবার যে সিনেমাটি নির্মাণ করব, সেটি নিয়ে ইতোমধ্যে স্ক্রিপ্টিং চলছে, সিনেমার নাম ও অন্য বিষয়গুলো অবশ্যই পরে জানাব।
আপনি পরিচালনা এবং অভিনয় দুটোই করছেন। এ দুইয়ের পার্থক্য কীভাবে করবেন?
পার্থক্য বলতে একটা সৃষ্টি নিজে করছি, আরেকটা হচ্ছে অন্যের সৃষ্টিতে কাজ করছি। তবে নিজের কাজে স্বাধীনতা বা সৃষ্টির পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে, আর অন্যের ডিরেকশনে কাজটা মূলত তার মতো করে করতে হয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোটাকেই ছোট করে দেখি না। এনজয় করি।
বাংলাদেশের নাটকের বর্তমান দর্শক চাহিদাটা কতটুকু বেড়েছে বলে মনে হয়?
সত্যি বলতে নাটক এখন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এটা বলতে আমার দ্বিধা নেই। কথাটা এ কারণেই বলছি, ২৫ বছর আগে যখন এই ক্ষেত্রটায় পা রাখি, তখন একটা চর্চার বিষয় ছিল অভিনয়। ধরেন, তখন একটা স্ক্রিপ্ট, রিহার্সেল, অভিনয়সহ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হতো একজন শিল্পীর ক্ষেত্রে। সেখানে আজকের দিনে এসে ভিউ দিয়ে সব বিচার করা হয়। আজকাল এক দিনেই নাটক নির্মাণ করা হয়! কোনো মান দেখা হয় না। আর নাটকে দর্শক টানতে বাজে ইঙ্গিত, বাজে বিষয়, বাজে ডায়ালগ দিয়ে ভরা হয় চিত্রনাট্য। পুরো বিষয়টিই হয়ে গেছে বিজনেস। শিল্পটা নেই আর। নাটকে বাজে উপস্থাপনই একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে।
ওটিটি নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি?
হুম, তা আছে। ভালো ও রুচিসম্মত গল্প, ভালো চরিত্র ও ভালো বাজেট পেলে অবশ্যই করব।
অভিনয়জীবনের এ পর্যায়ে এসে আপনার নিজের মূল্যায়ন কী?
দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয়জীবনে এসে নিজের মূল্যায়ন বলতে গেলে মর্যাদা কিংবা অভিনয়ের বাসনা নিয়ে যে যাত্রা শুরু করছিলাম, সেই আবেগ আজ আহত। পারিপার্শ্বিক মিডিয়ার মানুষের আচার-আচরণ ও তাদের ভাবনাচিন্তাগুলো নিম্নমুখী হওয়াতে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা হচ্ছে। সেখানে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। তবু আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে খুশি। উপভোগ করছি।
প্রবা/টিএম/এলএ/টিই