প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৩ পিএম
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক আগেই কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন তিনি। এবার নাম লেখালেন বলিউডে। হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার বহুল আলোচিত ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ট্রেলারে বাঁধনের উপস্থিতি নজর কেড়েছে সবার। বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত এ সিনেমা ৫ অক্টোবর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে। ট্রেলারে আবারও আলোচনায় তিনি। নিজের বলিউড অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ নিয়ে বাঁধন কথা বলেছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। লিখেছেন মহিউদ্দিন মাহি
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে খুফিয়ার ট্রেলার। অবশেষে বলিউডের সিনেমায় আপনার উপস্থিতি দেখল দর্শক। অনুভূতি জানতে চাই...
বাঁধন : দারুণ লাগছে। সবাই কল দিচ্ছেন। পোস্ট করে আমাকে ট্যাগ দিচ্ছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এমনকি বলিউডের অনেকে আমাকে ট্যাগ দিয়ে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। আমি খুবই আনন্দিত।
ট্রেলারে আপনার উপস্থিতি খুব একটা বেশি ছিল না। অর্জিনাল ফিল্মে কি পর্দার সময় বাড়বে?
বাঁধন : ওয়েব ফিল্মটিতে আমার উপস্থিতি খুব একটা বেশি নয়। তবে যেটুকু সময় আমাকে দেখানো হবে পুরোটা টাবুর সঙ্গেই আমার সিন। চরিত্রের ব্যাপ্তি অল্প হলেও দর্শক মুগ্ধ হবেন আমার বিশ্বাস। আমি কাজটি করে অনেক কিছু শিখেছি; যা আমার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
চরিত্রটি কেমন?
বাঁধন : আমার চরিত্রের নাম অক্টোপাস। যে বাংলাদেশে থেকে পুলিশ অফিসার টাবুর সঙ্গে কাজ করে। এর বেশি এখন আর বলতে পারব না। পুরো গল্প জানতে অবশ্যই ওয়েব ফিল্মটি দেখতে হবে।
আপনি কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন, এবার বলিউডে। দুটি আলাদা ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটু জানতে চাই...
বাঁধন : কলকাতার কাজের অভিজ্ঞতাটি আমার খুব একটা ভালো ছিল না। যেটি আমি আগেও বলেছি। কেন ভালো ছিল না সে বিষয়ে আমি এখন আর বলতে চাই না। তাই ২০২১ সালে বলিউড থেকে যখন কল আসে আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে একটু সময় নিয়েছিলাম। যার কারণ ছিল কলকাতার অভিজ্ঞতা। আমি প্রাথমিক পর্যায়ে ভাবছিলাম যে কলকাতায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে খারাপ অভিজ্ঞতা যদি বলিউডে হয়! তাই আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় নিয়েছিলাম। তারপর যখন মুম্বাই গেলাম তাদের সঙ্গে মিটিং করতে গিয়ে আমি অবাক। তারা ইন্ডাস্ট্রি এবং নামে বড় হলেও আচরণের দিক থেকে অসম্ভব বিনয়ী। শুরুতেই আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। আর কাজটি করার জন্য নির্মাতাকে হ্যাঁ বলে আসি। কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে দারুণ। পরিচালক, টিম বিশেষ করে টাবুর সঙ্গে কাটানো সময় অসাধারণ ছিল।
বিশাল ভরদ্বাজ বলিউডের সফল নির্মাতা। তার সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জ ছিল?
বাঁধন : আমি একদমই চাপমুক্ত ছিলাম। তবে আমাকে চাপমুক্ত করার বিষয়ে বিশাল স্যারই সহযোগিতা করেছেন। শুটিং শুরুর আগে থেকে তিনি আমার সহকর্মীদের বলে দেন, বাঁধন কিন্তু আমাদের দেশের অতিথি। তবে তার পরিচয় যেহেতু শিল্পী তাই তোমাদের সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য নেই। পৃথিবীর সব শিল্পীর পরিচয়ই এক। তার পরও যেহেতু সে আমাদের দেশের অতিথি সেহেতু সবাই তাকে সহযোগিতা করবে। তার এমন কথা শুনে আমি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিই।
আপনি টাবু, আলি ফজল, আশিস বিদ্যার্থী ও ওয়ামিকা গাব্বিদের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে কিছু বলুন...
বাঁধন : আমার সঙ্গে শুধু টাবুর সিন রয়েছে। সে অনুযায়ী আমি টাবুর সঙ্গেই শুটিং করেছি। আলি ফজল, আশিসদের সঙ্গে আমার শুট ছিল না। কিন্তু শুটিং স্পটে তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমার সঙ্গে তাদের দৃশ্য না থাকলেও আলি ফজল আমাকে প্রতিনিয়ত কাজটি সম্পর্কে সহযোগিতা করেছেন। আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন নিজের সেরাটি দেওয়ার। এমন সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আসলেই সৌভাগ্যের। হয়তো তাদের সঙ্গে আমার কাজ করা আর না-ও হতে পারে। কিন্তু যে শিক্ষা আমি অল্প সময়ে তাদের থেকে পেয়েছি তা আমার আজীবনের অর্জন।
আপনাকে আমরা পর্দায় খুব একটা দেখি না। তবে যখনই আপনার কাজ আসে, আপনাকে ঘিরে হইচই পড়ে যায়। এর কারণ কী বলে মনে করেন?
বাঁধন : এর কারণ হচ্ছে গল্প নির্বাচন। আগের মতো খুব বেশি কাজ করতে এখন আর অভ্যস্ত নই। বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। যার জন্য অসংখ্য গল্পের মাঝ থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী গল্প নির্বাচিত করি। গল্প ভালো হলে অটোম্যাটিক চরিত্র ভালো হয়ে যায়। তাই যখন নতুন কোনো কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে উপস্থিত হই তখন সবাই মনে করে নতুন এক বাঁধন এসেছে। তাই আলোচনাটাও আগের চেয়ে বেশি হতে শুরু করে বলে আমি মনে করি। আমিও চেষ্টা করি সেই প্রত্যাশা মেটাতে।
নতুন আর কী কাজ আসছে?
বাঁধন : আমার হাতে এখন অনেক স্ক্রিপ্ট। এখনও নতুন কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি। গল্পগুলো পড়ছি। পছন্দ হলে তারপর কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। ঘোষণাও আসবে।