প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫২ পিএম
সত্তরের দশকে ভারতীয় সিনেমায় অভিষেক হয়েছিল শাবানার। রূপে, গুণে ও মেধায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের কথা বলা হলে অনায়াসে চলে আসে তার নাম। তিনি শাবানা আজমি। আজ তিনি ৭২ থেকে ৭৩ বছরে পা দিয়েছেন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি শাবানা সমাজকল্যাণমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ধরে। তিনি উর্দু ভাষার কবি কাইফি আজমি ও মঞ্চ অভিনেত্রী শওকত কাইফির কন্যা। তার স্বামী কবি, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। তিনি পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
১৯৭৪ সালে শাবানা আজমির প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘অংকুর’। প্রথম সিনেমায়ই বাজিমাত। সে বছর সমালোচকদের প্রশংসার পাশাপাশি জিতে নেন সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘অংকুর’-এ মুগ্ধ হয়ে সত্যজিৎ রায় তার ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ (১৯৭৭) চলচ্চিত্রে খুরশিদ বেগমের ভূমিকায় বেছে নেন শাবানাকে। মহেশ ভাটের ‘আর্থ’, শ্যাম বেনেগালের ‘নিশান্ত’, ‘অন্তরনাদ’ ও ‘মান্ডি’; মৃণাল সেনের ‘খন্ডহর’, ‘জেনেসিস’ ও ‘একদিন আচানক’ এবং শেখর কাপুরের ‘মাসুম’ ও খালিদ মোহাম্মদের ‘তেহজিব’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।
এ ছাড়া ‘ওমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘পারভারিশ’, ‘গডমাদার’, ‘মাকড়ি’, ‘অবতার’, ‘থোড়িসি বেওয়াফাই’, ‘স্বামী’, ‘ভাবনা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক ধারার ছবিতেও শাবানা আজমি ছিলেন সফল।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে বাসু চ্যাটার্জির ‘স্বামী’ এবং অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ‘ম্যায় আজাদ হু’ ছবিতে সাংবাদিক চরিত্রেও তিনি ছিলেন অনবদ্য।
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে শাবানা আজমি পাঁচবার জয় করেছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন মোট আটবার। চারবার জিতেছেন পুরস্কারটি। ২০০৬ সালে ফিল্মফেয়ার আসরে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।
অসংখ্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। ১৯৮৮ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার ও রাজীব গান্ধী পুরস্কার।
অভিনয়ের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কাজে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে প্রচার কাজের সঙ্গে যুক্ত শাবানা। শিশু অধিকার রক্ষা ও এইচআইভি এইডস বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছেন তিনি।