× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সেলিম আল দীন পুরস্কার পাচ্ছেন তারা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫১ পিএম

সেলিম আল দীন পুরস্কার পাচ্ছেন তারা

বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নবম জাতীয় সম্মেলন ও ৪০ বছর উদযাপন সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮-১৯ আগস্ট বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এটি অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ৭৪তম জন্মজয়ন্তীও পালিত হবে।

সেদিন দুজন কৃতী নাট্যকর্মীকে সেলিম আল দীন পুরস্কার প্রদান করা হবে। এবার পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৈয়দ জামিল আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

তিনি বলেন, ‌‘সেলিম আল দীন আমাদের প্রাণের মানুষ। থিয়েটার চর্চার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তার সম্মানে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার পুরস্কারটি দিতে যাচ্ছে। আমরা আনন্দিত দেশের দুজন প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বকে এ পুরস্কারে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পেরে। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৈয়দ জামিল আহমেদ দুজনই এ দেশের নাট্যচর্চায় অনেক ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাদের কর্মমুখর জীবন আমাদের জন্য উপহার।’

তিনি জানান, দুই দিনব্যাপী সম্মেলন ও নাট্যপালার পরিবেশনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন। প্রধান অতিথি থাকবেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সমাজতাত্ত্বিক অধ্যাপক অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিকার আহকামউল্লাহ।

সম্মেলন ও কাউন্সিল দিনের বেলায় হবে। অপরাহ্ণ থেকে জাতীয় নাট্যশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ঐতিহ্যবাহী শিল্পীরা নাট্যপালা ও সংগীত পরিবেশন করবেন।

আনুমানিক ১ হাজার প্রতিনিধি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানান নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বিশাল আয়োজনে নাট্যচর্চায় যুক্ত সবাইকে পাশে চাই। আশা করি উপভোগ্য একটি আয়োজন হবে।’

একনজরে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯৫০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ষাটের দশকে ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতা ও পরিচিত নাম। ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি সাহচর্যে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী যে কজন পথিকৃতের হাত দিয়ে নবনাট্য আন্দোলন শুরু, তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। বঙ্গবন্ধুপুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন পীযূষ। ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। গ্রাম থিয়েটার আন্দোলনে সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন তৃণমূলে নাট্য আন্দোলন সংগঠনে। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৯৮৫ সালে ‘বাংলাদেশ যুব ঐক্য’ গড়ে ওঠে। এ সংগঠনটি পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও যুবসংগ্রাম পরিষদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০০৪-০৫ সালে নির্মিত ‌‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ নাটকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। যে নাটকের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পেছনে মূল ষড়যন্ত্র। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল তা পরিষ্কার হয়েছিল জাতির সামনে। যার কারণে তিনি দেশ ও বিদেশে জীবনঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন অনেকবার। ২০১৮ সালে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন। যার মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া তরুণ ও যুব সমাজের মাঝে। ১৯৭৫-পরবর্তী অপরাজনীতি-অপব্যাখ্যা খণ্ডন ও সত্য প্রতিষ্ঠা করাই যার উদ্দেশ্য।

তা ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন পেশাদারি সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৯০-৯৪ সালে সম্পাদনা করেছেন দৈনিক লাল সবুজ পত্রিকা। ১৯৮৬ থেকে বর্তমান পর্যন্ত নিয়মিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কলাম/নিবন্ধ লিখে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রতিটি গণমাধ্যমে তিনি সোচ্চার ছিলেন এবং বর্তমানেও রয়েছেন। তা ছাড়া মৌলিক সাহিত্য নিয়ে বিস্তর কাজ করেছেন। তার প্রকাশিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ২০ বা তার অধিক।

 

একনজরে সৈয়দ জামিল আহমেদ

সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং নাট্য নির্দেশক ও পরিচালক। তাঁর জন্ম ১৯৫৫ সালে। ১৯৭৮ সালে নয়াদিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে গ্র্যাজুয়েশন, ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারইক থেকে নাট্যকলা বিষয়ে এমএ ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে সৈয়দ জামিল আহমেদ ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। চাকা, বিষাদসিন্ধু (ঢাকা) এবং এক হাজার অউর এক থি রাতে (করাচি) তার ব্যতিক্রমধর্মী সফল নির্দেশনা। তিনি অচলায়তন, কীত্তনখোলা, কেরামত মঙ্গল (ঢাকা), গুড উইমেন অব সেজুয়ান (কলকাতা) নাটকের ডিজাইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ জামিল আহমেদ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কাজের মধ্য দিয়ে তিনটি উল্লেখযোগ্য বই লেখেন। তার নির্দেশিত নাটক ‘মন্ত্রাস ৪.৪৮’ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে।

একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের নিয়ে ১৯৯৪ সালে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নামে একটি বই লিখেছিলেন নীলিমা ইব্রাহিম। প্রায় তিন দশক পর সেই বই অবলম্বনে একই নামে মঞ্চনাটক নিয়ে এসেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। এটি তার সর্বশেষ নির্দেশিত নাটক।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা