প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২১ পিএম
ভৌতিক সিনেমার দর্শক দুনিয়াজুড়ে অনেক। বিশেষ করে এ ধাঁচের গল্পে হলিউডের
সিনেমাগুলো নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। আর দুনিয়াজুড়ে ভৌতিক সিনেমার দর্শকদের কাছে
বিশেষভাবে পরিচিত ‘ইনসিডিয়াস’ ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০১০ সালে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা
‘ইনসিডিয়াস’ মুক্তির পরপরই ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ভয়ঙ্কর সব দৃশ্য আর শ্বাসরুদ্ধকর
গল্পের মধ্য দিয়ে দর্শকদের বুকে রীতিমতো কাঁপন ধরিয়ে দেয় ছবিটি। পাশাপাশি বক্স অফিসেও
বেশ দাপট দেখিয়েছে। এরপর একে একে পর্দায় এসেছে তিনটি সিক্যুয়েল। প্রতিবারই দর্শকদের
ভয়ের মাত্রা বাড়িয়ে ভৌতিক সিনেমার তালিকায় অন্যতম এক ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে ‘ইনসিডিয়াস’।
সবশেষ ছবি ‘ইনসিডিয়াস : দ্য লাস্ট কি’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে।
পাঁচ বছরের মাথায় এবার পর্দায় এসেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পঞ্চম চলচ্চিত্র। এবারের ছবি
‘ইনসিডিয়াস : দ্য রেড ডোর’। বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে যারা এ ছবির জন্য অপেক্ষা করছিলেন
তারা প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারেন। ৪ আগস্ট বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে
যাচ্ছে ছবিটি।
‘ইনসিডিয়াস : দ্য রেড ডোর’ জনপ্রিয় হরর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পঞ্চম চলচ্চিত্র।
প্রথম দুই ছবি ‘ইনসিডিয়াস’ এবং ‘ইনসিডিয়াস : চ্যাপ্টার ২’-এর সরাসরি সিক্যুয়েল এটি।
চিত্রনাট্য লিখেছেন স্কট টিমস। পরিচালনা করেছেন প্যাট্রিক উইলসন। প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মূল লেখক হানেল, জেসন ব্লম, জেমস ওয়ান এবং ওরেন পেলি। অভিনয় করেছেন
টাই সিম্পকিন্স, প্যাট্রিক উইলসন, হিয়াম আব্বাস, সিনক্লেয়ার ড্যানিয়েল, অ্যান্ড্রু
অ্যাস্টর এবং রোজ বাইর্ন।
গত মাসে ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর দর্শকদের বেশ কৌতূহল দেখা যায়।
ল্যামবার্ট পরিবারের ভুতুড়ে গল্পের উপসংহারের আভাস দেয় ট্রেলারটি। ১০ বছর পেরিয়ে গেছে
এবং ডাল্টন (সিম্পকিন্স) এখন কলেজের ছাত্র। কিন্তু ল্যামবার্ট পরিবারের কথা ভুলে যায়নি
দ্য ফার্দার। বরং ভয়ানক উপস্থিতির মাধ্যমে নিরলস দুঃস্বপ্ন নিশ্চিত করেছে ল্যামবার্ট
পরিবারের জন্য। চূড়ান্ত ট্রেলারে আইকনিক লাল ঠোঁটের শয়তানের প্রত্যাবর্তন দেখায়, যা
এই সিরিজের মূল রহস্যঘেরা চরিত্র। অতীতের সেই দানবদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে,
যারা ল্যামবার্ট পরিবারকে তাড়িত করে চলেছে। যতটুকু আভাস পাওয়া যায় তাতে বলতে দ্বিধা
নেই, ভক্তদের জন্য একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা উপহার দিতে বদ্ধপরিকর নির্মাতারা। আর দর্শকরাও
নিশ্চয়ই আড়মোড় ভেঙে প্রস্তুত হতে শুরু করেছেন সেই অভিজ্ঞতার জন্য।