× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাক্ষাৎকার

ইউরোপ আমেরিকায় আমাদের ব্যান্ডের শ্রোতা বেড়েছে: শারমিন সুলতানা সুমি

মহিউদ্দিন মাহি

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩ ১২:২৫ পিএম

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩ ১২:২৬ পিএম

ইউরোপ আমেরিকায় আমাদের ব্যান্ডের শ্রোতা বেড়েছে:  শারমিন সুলতানা সুমি

যুক্তরাষ্ট্রে দুই মাসের ‘চিরকুট’, ‘দ্য লিগ্যাসি ট্যুর-ইউএস ২০২৩’ কনসার্ট শেষ করে গেল ২৯ জুন দেশে ফিরেছে চিরকুট ব্যান্ড। আমেরিকার আটটি শহরে ১০টি কনসার্ট করেছে দলটি। প্রবাসী আমেরিকানদের কাছ থেকে অসম্ভব ভালোবাসা ও করোনাভাইরাসের পরে নিজেদের চতুর্থ আমেরিকা সফর নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন চিরকুট ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, ভোকালিস্ট ও দলনেতা শারমিন সুলতানা সুমি। লিখেছেন মহিউদ্দিন মাহি...

আমেরিকা সফর কেমন হলো?

দারুণ! দারুণ মানে অসাধারণ দারুণ! গানে আড্ডায় এত চমৎকার সফর কাটল যে কী বলব। চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে এ সফর।

দলগতভাবে এ বড় সফর এর আগে কখনও দিয়েছেন?

না। এত বড় সফর এর আগে পুরো দলসহ দেওয়া হয়নি। এবারের সফরটি ছিল ৫৯ দিনের। একসঙ্গে আমরা এতটা সময় এর আগে কখনও থাকিনি। সেটাও আবার বিদেশে। অসম্ভবসুন্দর একটি ট্যুর শেষ করলাম। যেখানে অনেক স্মৃতি জমা হয়েছে।

এ নিয়ে কতবার আমেরিকা ট্যুর করল চিরকুট?

এটি আমাদের চতুর্থ আমেরিকা সফর ছিল। কোভিডের পর ওখানকার অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। গানের দর্শক বেড়েছে। ভালোবাসাও বেড়েছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ। এবারের সফরের অভিজ্ঞতা আগের সব অভিজ্ঞতার চেয়ে অসাধারণ ছিল।

এ সফরের একটি অসাধারণ মুহূর্তের কথা শুনতে চাই...

বেশকিছু মুহূর্ত আছে যা আজীবন মনে রাখবে চিরকুট। তার মধ্যে একটি হলো, আমাদের প্রতিটি কনসার্টের আয়োজকদের পরিবার থেকে খাবার নিয়ে আসা হতো বাসা থেকে রান্না করে। এরপর বস্টন কনসার্টে একদল প্রবাসী বাংলাদেশি সবাই কালো টি-শার্ট ও আমার মতো চুল বেঁধে আসেন। এরপর আমার মতো করেই স্টেজের সামনে চিরকুটের গানগুলো গাইতে থাকেন। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল একশ সুমি একসঙ্গে গান গাইছেন। এ দৃশ্য আমি কখনও ভুলব না। এমন অভিজ্ঞতা এর আগে কখনও আমার হয়নি।

এবারে কনসার্টে কি আগের চেয়ে দর্শক বেড়েছে বলে মনে হয়েছে?

হ্যাঁ, অনেক দর্শক বেড়েছে। আগের ট্যুরগুলোর থেকে অনেক বেশি দর্শক এবার লক্ষণীয় ছিল। প্রতিটি কনসার্টে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে বিদেশি দর্শক খুব একটা দেখা যায় না। এবারের ট্যুরে আমরা একটি বিষয়ে অবগত হয়েছি, দেশের বাইরেও ব্যান্ড মিউজিকের দর্শক বেড়েছে; যা আমাদের ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো খবর। আশা করি সামনেও প্রবাসীদের এমন উপস্থিতি বজায় থাকবে।

আমেরিকায় এ বছর অনেক শিল্পীই কনসার্ট করতে গিয়েছেন। জেমস, হাবীব, তাহসানসহ অনেকেই এখনও আছেন সেখানে। হঠাৎ আমেরিকায় এত কনসার্ট আয়োজনকে কীভাবে দেখছেন?

এটি অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো দিক। এ ছাড়া হাবীব ভাই নিয়মিত এখানে শো করেন। তার শ্রোতা আমেরিকায় অনেক। আর জেমস ভাইয়ের কথা না-ই বলি। তিনি আমেরিকায় হলিউড স্টারদের মতো জনপ্রিয়। তার শো দেখার জন্য শুধু বাংলাদেশি না, ভারত, পাকিস্তান, নেপালের দর্শকও ভিড় করেন। তাদের জন্যই আমাদের দেশের শিল্পীদের কদর ইউএসএতে অনেক বেড়েছে; যার জন্য তরুণ শিল্পীরাও নিয়মিত ডাক পাচ্ছেন।

আমেরিকার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে একটু জানতে চাই...

তারা অসম্ভব প্রফেশনাল ও আন্তরিক। আমাদের যারা এবার নিয়েছেন তারা হচ্ছে যৌথ আয়োজক ইউএসএ’র জ্যামিং এন্টারটেইনমেন্ট ও দৃক। যাওয়ার আগে থেকেই প্রতিনিয়িত তারা আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা ও সার্বিক বিষয়ে খেয়াল রেখেছে। আমরা কোথায় যাব, কী খাব সবকিছু সচেতনতার সঙ্গে তারা ঠিক করেছে। তাদের আয়োজন ও ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ।

প্রবাসী শ্রোতা ও বাংলাদেশি শ্রোতাদের মধ্যে কী পার্থক্য দেখলেন?

ভালোবাসাটা এক। শুধু কনসার্টে দেশের দর্শকের উপস্থিতি বেশি থাকে। বাকি সবই এক।

অনেক দিন পর দেশে ফিরলেন। ব্যস্ততা নাকি বিশ্রাম?

আমরা সবাই ক্লান্ত। অনেক দিন পরে দেশে এলাম। একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। তবে এর মাঝে ১৪-১৫ জুলাই টানা দুই দিন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট করেছি। এ ছাড়া অনেক কনসার্টের কথা চলছে। এ মাসের শেষের দিকে আবারও শুরু করব। কারণ দেশের কনসার্ট আমরা কখনও না করতে পারি না।

এ বছর দেশের বাইরে আর কি কোনো কনসার্ট আছে?

অনেক দেশ থেকেই যোগাযোগ করা হচ্ছে। যার বেশিরভাগ ইউরোপে। আমরা এখনও কনফার্ম করিনি। কারণ এগুলোর প্রসেসিংয়ের জন্য সময় লাগে। তবে বছরের শেষের দিকে হয়তো ইউরোপে একটা ট্যুর হতে পারে। এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সব ঠিক হলে তখনই অফিশিয়ালভাবে জানানো হবে।

দেশে তো এখন অনেক কনসার্ট হচ্ছে। ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কি আবারও পুরোনো দিন ফিরে পাচ্ছে বলে মনে করেন?

আমাদের দেশের ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস অনেক ঐতিহ্যমণ্ডিত। সাউথ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমাদের কিংবদন্তিরা অনেক আগেই প্রতিযোগিতা করে আসছেন। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকায় আমাদের দেশের নগরবাউল, মাইলস, এলআরবি, ওয়ারফেজ, আর্টসেল, অর্থহীনসহ অসংখ্য ব্যান্ডের ভক্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গ্লোবাল স্টার। তাই আমাদের ব্যান্ডের ঐতিহ্য কখনও হারিয়ে যায়নি। হয়তো সময় অল্প কিছুদিন খারাপ গিয়েছিল। তবে এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। দেশে এখন অনেক কনসার্ট হচ্ছে। এটি অবশ্যই ভালো দিক। এ কনসার্টগুলোর মাধ্যমে তরুণ ব্যান্ডগুলো বিশ্ববাজারে নিজেদের পরিচিতি বাড়িয়ে নিতে পারছে; যা তাদের জন্য ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এ ছাড়া তরুণ ব্যান্ডগুলো অনেক মেধাবী। তাদের আয়োজন লেভেলও বিশ্বমানের। তাই আমি বলতে পারি আমাদের ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ সামনে আরও উজ্জ্বল।

এ বছর চিরকুটের নতুন কোনো গান আসবে কি না?

একটু বিশ্রাম নিয়ে নিই। অবশ্যই আসবে। দর্শকদের জন্য সব সময়ই চিরকুট নতুন কিছু উপহার দিতে চায়। এ বছর তো বেশকিছু গান আমরা ইতোমধ্যে উপহার দিয়েছি। সামনেও আশা আছে নতুন গান উপহার দেওয়ার।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা