প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩৭ পিএম
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বহু নাটকে অভিনয় করেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম আর সাফল্যের চূড়ায় ওঠার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। যার ফল তিনি পাচ্ছেন এখন। সম্প্রতি নাটকের সেরা তিনজন চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীর একজন হিসেবে গণ্য করা হয় তানিয়া বৃষ্টিকে। দর্শকের দৃষ্টি এখন তার অভিনীত নাটকের দিকে।
প্রযোজক, পরিচালকদেরও প্রবল আগ্রহ বেড়েছে তাকে নিয়ে নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণের। অথচ জীবনের এই প্রান্তে এসে পৌঁছাতে বিগত সময়ে একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়েই অতিবাহিত করতে হয়েছে তাকে। একজন সত্যিকারের অভিনেত্রী হওয়ারই স্বপ্ন ছিল তার। আর একটা প্রক্রিয়ায় থেকে অবশেষে এই সময়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বলা যায় একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী। বিশেষত গেল দুই ঈদ যেন একজন তানিয়া বৃষ্টির দিকে দর্শকের দৃষ্টি ফেরাতে বাধ্য করেছে তার অভিনীত নাটকগুলো।
গেল রোজার ঈদে সাগর জাহানের ‘ ছোবল’, মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘কবিতার চার লাইন’ এবং এমএনইউ রাজুর ‘আইসিইউ’ নাটকে তানিয়া বৃষ্টি যেমন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন; তেমনি কোরবানির ঈদেও সকাল আহমেদের ‘আড়াই তালাক’, ‘সব দোষ হোসেন আলীর’ ও জাকিউল ইসলাম রিপনের ‘জায়গায় খায় জায়গায় ব্রেক’ নাটকে অনবদ্য অভিনয় করে অভিনেত্রীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছেন।
একটা দীর্ঘ সময় অভিনয়ে সাধনা করার পর গেল দুই ঈদে যেন তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলো। যে কারণে ছয়টি নাটক দিয়েই তানিয়া বৃষ্টি চলে এসেছেন আলোচনার তুঙ্গে। প্রযোজক, পরিচালকদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন চাহিদার শীর্ষে থাকা জাত অভিনেত্রী। তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, পিনিকেই ঝিনিক নাটকটি প্রচার হওয়ার পর থেকেই যেন প্রযোজক, পরিচালকদের আমার প্রতি আস্থা বেড়েছে। তারা বিশ্বাস করতে শুরু করলেন আমাকে দিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করানো সম্ভব। আমিও গল্পের প্রতি, চরিত্রের প্রতি আরও একটু মনোযোগী হয়েছি। ফলে রোজার ঈদে তিনটি ভালো কাজ প্রচারে আসে, আমি দারুণ সাড়া পাই।
আর কোরবানির ঈদেও তিনটি কাজ দর্শকের ভালোবাসা, কাছের মানুষের প্রশংসা পেয়েছে; যা আমার মন ভরিয়ে দিয়েছে, প্রেরণা জোগাচ্ছে। আমি আবেগে কেঁদেছি। আসলে এমন একটা সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম, যখন আমার অভিনীত প্রতিটি নাটক নিয়ে সবাই আলোচনা করবেন। আমি কৃতজ্ঞ দর্শকের কাছে, আমার পরিবারের কাছে, আমার প্রতিটি নাটকের প্রযোজক, পরিচালকের কাছে। কৃতজ্ঞ মোশাররফ করিম ভাইসহ অন্যা সহশিল্পী ও সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে। তারা সবাই আমাকে সব সময়ই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। কৃতজ্ঞ ইবনে হাসান খান ভাই, চ্যানেল আই পরিবারের কাছেও।’
তানিয়া বৃষ্টির বাবা মো. সুরুজ মিয়া, মা হেলেনা বেগম। সেগুনবাগিচার বেগম রহিমা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিট কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে তার পড়াশোনা। ২০১২ সালে ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেলের দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে শোবিজে পা রাখেন তানিয়া বৃষ্টি। এরপর শুরু করেন মডেলিং। এরপর বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নজর কাড়েন নাটকের নির্মাতাদের। কাজ করেছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও।