প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩ ১২:৫৭ পিএম
একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের নিয়ে ১৯৯৪ সালে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নামে একটি বই লিখেছিলেন নীলিমা ইব্রাহিম। প্রায় তিন দশক পর সেই বই অবলম্বনে একই নামে মঞ্চনাটক নিয়ে হাজির সৈয়দ জামিল আহমেদ। মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৭ সালে রিজওয়ান দিয়ে মঞ্চে ফেরেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। এরপর ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় নাট্যদল স্পর্ধা। এরপর জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ৪.৪৮ মন্ত্রাস, বিস্ময়কর সবকিছু মঞ্চে এনেছেন তিনি।
এবার মঞ্চে এলেন ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নিয়ে। নাটকটি তিনি উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের সকল নাম জানা ও না জানা বীরাঙ্গনা ও নীলিমা ইব্রাহিমকে।
গেল ১৫ জুন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির কারিগরি প্রদর্শনী হয়েছে। এর পর ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা ১৫ দিন একই মঞ্চে নাটকটির ২১টি প্রদর্শনী করবে নাট্যদল স্পর্ধা : ইনডিপেনডেন্ট থিয়েটার কালেকটিভ। দলটি জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, ২৯ জুন বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, ৩০ জুন বিকাল ৪টায় বিশেষ প্রদর্শনী ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সমাপনী প্রদর্শনী থাকছে। ঈদ উৎসবে দর্শক যাতে মঞ্চনাটক উপভোগ করতে পারে, সে জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সৈয়দ জামিল আহমেদ।
বয়স কম মেহেরজানের। শরীর কী, তা বুঝে ওঠার আগেই তাকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্যাতিত হতে হয়েছে। তার হৃদয়ের অন্তহীন হাহাকার আর আর্তনাদ দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এই চরিত্রে মঞ্চাভিনয় করেছেন মহসিনা আক্তার। আরেক বীরাঙ্গনা ময়না চরিত্রে অভিনয় করবেন শারমিন আক্তার শর্মী। এতে আরও অভিনয় করেছেন বুড়ী আলী, শ্রাবণী ফেরদৌস, আরমীন মূসা, সোহেল রানা, সরওয়ার জাহান, সিফাত নওরীন, জৌপারী লুসাই, রিয়াসাত সালেকিন ও উম্মে আইমান।
নির্দেশনার পাশাপাশি মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা এবং সংগীতও নির্বাচন করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। ড্রামাটার্গ ও পোশাক পরিকল্পনায় মহসিনা আক্তার, সহকারী নির্দেশনায় এমএস রানা, সংগীতে থাকছেন আরমীন মূসা ও ঘাসফড়িং কয়্যার।
সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘তিন মাস অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন সবাই। এই পরিশ্রমের ফসল ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’। নাটকটি দেখে দর্শক মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। এটা আমাদের জন্য আনন্দের। ঈদে যারা মঞ্চ নাটক দেখতে চান আমি তাদের আমন্ত্রণ জানাই।’