× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সেন্সরহীন ওটিটি কোন পথে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩ ১২:৪৩ পিএম

আপডেট : ১০ মে ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম

সেন্সরহীন ওটিটি কোন পথে

গেল রোজার ঈদে সিনেমা-নাটকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশি ও বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কিছু কনটেন্টও ছিল আলোচনায়। যার মধ্যে আশফাক নিপুণের ‘মহানগর ২’, কাজল আরেফিন অমির ‘ হোটেল রিলাক্স’ ও নির্মাতা শিহাব শাহিনের ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজ তিনটি বেশি আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে শিহাব শাহিনের ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজটি মুক্তির পর থেকেই আলোচনা ও সমালোচনা দুই-ই চলছে।

অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার চরিত্র দুটি দর্শকের নজর কেড়েছে। তবে তার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো নিয়ে আপত্তি তুলছেন অনেকেই। কেউ কেউ দাবি করছেন ওটিটিতে সেন্সর বোর্ডের নজরদারি জরুরি। সিরিজটির বেশকিছু ভিডিও ক্লিপস নেট-মাধ্যমে ভাইরাল। যার বেশির ভাগই অশ্লীলতার ইঙ্গিতে ভরপুর। আছে তাদের অশ্লীল সংলাপও। যা পরিবারসহ দেখার উপায় নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সিরিজটি ‘ বৈয়াম পাখি’ শিরোনামের গানটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।

ওটিটিতে কোনো সেন্সর ব্যবস্থা নেই। তাই ওটিটির কনটেন্টগুলোতে যত্রতত্র ‘১৮+’ ট্যাগলাইন দিয়ে কুরুচিপূর্ণ সংলাপ ও দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় দেশের সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তারা কী ভাবছেন জানতে চাইলে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘অশ্লীলতা অবশ্যই সমাজের একটি ব্যাধি। এই ব্যাধি বিনোদনজগতের মাধ্যমে ছড়ানোর আশঙ্কা একটু বেশি। সেটা রোধ করতেই আমরা চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ওটিটি সেন্সরের দায়িত্ব আমাদের কাছে নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। কেউ যদি মনে করে ওটিটির অশ্লীলতা নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন, সেটা নেওয়ার জন্য ধারা আছে। আমাদের দায়িত্ব সিনেমার অশ্লীলতায় নজর রাখা, সেটি আমরা রাখছি। ওটিটি যদি এখানে যুক্ত হয়, তা হলে সেখানেও আমাদের ভূমিকা থাকবে।’

তিনি আরও জানান, যেহেতু সেন্সর বোর্ড নেই তাই এ বিষয়ে কেউ যদি পদক্ষেপ নিতে চান তাহলে তাকে সরাসরি সাইবার সিকিউরিটি আইনের সাহায্য নিতে হবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি চায় প্যানেল কোর্ডের আন্ডারে সেকশন ২৯২-২৯৩ তে মামলা করতে পারবে। যা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশেও ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম চালু হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। যেখানে ওটিটি সেবা প্রদান ও পরিচালনার বিষয়ে একটি খসড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

খসড়া নীতিমালায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নিবন্ধন থেকে শুরু করে কনটেন্ট প্রচারের ক্ষেত্রে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়। খসড়ার সূচনায় বলা হয়, দেশি-বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা ও বিজ্ঞাপনে যাতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি কোনো কনটেন্ট প্রচারিত না হয়, তা নিশ্চিত করা এবং দেশীয় সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধকে রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এই নীতিমালা।

নীতিমালাটির নাম দেওয়া হয় ‘ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা প্রদান, পরিচালনা এবং বিজ্ঞাপন প্রদর্শন নীতিমালা ২০২১’। সে সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব মো. মকবুল হোসেনের স্বাক্ষরে ১০ পাতার একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়।

যেখানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কনটেন্টের বয়সসীমা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘প্রতিটি কনটেন্ট প্রচারের আগে তা কোন বয়সি দর্শকের জন্য উপযুক্ত, সে বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্ল্যাটফর্মে দর্শক প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে পাসওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকবে। অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সাধারণ দর্শকের জন্য, পিতামাতার তত্ত্বাবধানে প্রদর্শনযোগ্য, অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে (১২ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত), ১৫ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সিদের জন্য এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রদর্শনযোগ্যÑ এভাবে শ্রেণিবিন্যাস করে কনটেন্ট প্রচার করতে হবে।’

এ ছাড়া নীতিমালায় যা প্রচার করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়ে লেখা হয়, ‘জাতীয় সংগীত ও পতাকা, রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অসম্মান করে, এমন কনটেন্ট প্রচার করা যাবে না। শিশুর অংশগ্রহণে যৌনাচার কোনো কনটেন্ট; সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কনটেন্ট, জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে বা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে, এমন কনটেন্ট; রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন বা আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ কোনো কনটেন্ট এবং সংবাদ ও টকশো প্রচার করা যাবে না। এ ছাড়া অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি হয়, এমন কোনো কনটেন্টও প্রচার নিষিদ্ধ। নীতিমালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো কনটেন্ট প্রচার করলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ তা অপসারণে নির্দেশ দেবে এবং তা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহায়তা করবে। কোনো কনটেন্টের বিষয়ে অভিযোগ এলে তা যাচাই করতে ওই কনটেন্ট অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, বিটিআরসি ও বিটিসিএলের নীতি ও মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে।’

এদিকে ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজটি দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে মুক্তি পায়। সিরিজটিতে অশ্লীলতার ছড়াছড়ি এমন দাবিতে দেশ-বিদেশে থেকে অনেকে লিখছেন। দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানলের সাংবাদিক ইলিয়াস মাহমুদ নীরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমরা সত্যি সত্যিই কতটা যে রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছি, তা ‘অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজটির ফ্যানদের ভাষণ শুনলেই ধারণা পাওয়া যায়। অশ্লীলতায় ভরপুর এই সিরিজটি পরিবার নিয়ে এক সঙ্গে দেখার মতো নয়। মেয়ের সঙ্গে বসে বাবা এটার দৃশ্যগুলো দেখতে পারবে না। বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে কোনো সন্তানই এটা দেখতে পারবে না। অথচ বলা হচ্ছে, নাসিরউদ্দিন দেখায় দিছে, জাঁদরেল অভিনেতা, উচ্চমানের অভিনেতা, মেধাবী অভিনেতা (আরও কত কি)।’এ সময় তিনি দেশের সিনেমার অশ্লীল যুগের কথা উল্লেখ করে সবার উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘যারা এটার সুনাম করছে তাদের তালিকায় দেশের শীর্ষস্থানীয় লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষকের মতো মানুষও রয়েছে। আমজনতার বড় একটি অংশও মশগুল হয়েছে সিরিজটির। আচ্ছা, তা হলে বলুন তো এই সিরিজ আর বাংলা চলচ্চিত্রের অন্ধকার সময়ের মধ্যে পার্থক্য কি?’

এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের ওটিটি কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওটিটি নতুন প্রজন্মের জন্য মোটেও ভালো নয়। কারণ ওটিটিতে নগ্নতা, যৌনতা খুবই সহজলভ্য। ওটিটির মাধ্যমে নগ্নতা, যৌনতা ছড়িয়ে পড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের ওপর। তাই এই মাধ্যমের জন্য একটি সেন্সর থাকা প্রয়োজন। অশ্লীলতা, যৌনতা, নগ্নতা, গালিগালাজ বন্ধ হওয়া উচিত। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার বাহানায় তারা এগুলো দেখবে।’তার কথায়, ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে নগ্নতা, যৌনতা, গালিগালাজ একেবারেই বেমানান।

দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এমন অশ্লীলতা নিয়ে দেশের জনপ্রিয় নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘আমি মনে করি না ওটিট প্ল্যাটফর্মে সেন্সরের দরকার আছে। এখন পর্যন্ত এই মাধ্যমে খু্ব বড় ধরনের অশ্লীলতা চোখে পড়েনি। ওটিটিতে ভালো কাজ হচ্ছে। অনেক নতুন আর্টিস্ট বেরিয়ে আসছেন। যদি সেন্সরের কথা বলতে হয় তাহলে আমি বলব সেল্ফ সেন্সরের কথা। নির্মাতারা যদি সেল্ফ সেন্সর ঠিকমতো কাজে লাগায়, তা হলে সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’

ওটিটিতে অশ্লীলতার অভিযোগ নিয়ে অভিনেত্রী, পরিচালক ও সেন্সর বোর্ডের সদস্য অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘একজন অভিনেত্রী ও সেন্সর বোর্ডের সদস্য পরিচয় বাদ দিয়ে যদি বলি, তা হলে শুরুতেই আমি বলব, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমাদের নিজেদের সেন্সর নিজেরা রক্ষা করতে হবে। যেটা আমরা ছোটবেলায় করতাম। আমাদের সবকিছু দেখার সুযোগ থাকলেও আমরা কিন্তু পারিবারিক শিক্ষার কারণে সেটি দেখতাম না। সেই শিক্ষাটি আমাদের মধ্যে ছিল। কিন্তু বর্তমান তরুণ সমাজ সেই শিক্ষা ধারণ করতে পারছে বলে আমার মনে হয় না। তাদের আচরণ ও কথা শুনলে বোঝা যায়, যে কাউকে নিয়েই তারা বাজে মন্তব্য করার মানসিকতায় সব সময় থাকে। সে কারণে আমরা যারা শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে আছি, তাদের আরও সংবেদনশীল হতে হবে। যাতে করে আমাদের নির্মাণে তারা প্রভাবিত হয়। তারা যেন এখান থেকে ভালো একটি শিক্ষা নেয়।’ 

এ সময় ওটিটি নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ওটিটি হচ্ছে একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম। এখানে আমরা যা খুশি তাই নির্মাণ করতে পারি না। আমাদের মাথায় রাখতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা আসলে কি দিচ্ছি। তাদের যদি ভালো কিছু উপহার না দিতে পারি, তা হলে তাদের খারাপ শিক্ষাটার জন্য আমরাও কিন্তু দায়ী থাকব। শুধু অশ্লীল দৃশ্য ও বিছানার দৃশ্য নিয়ে চিন্তা না করে আমাদের ভালো কিছু গল্প নিয়ে এখনই ভাবা উচিত। তা না হলে একদিন আমাদের বিনোদনজগতের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিলীন হয়ে যাবে।’

তিনি দেশি ওটিটির পাশাপাশি বিদেশি ওটিটি কনটেন্ট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো সেন্সর দিয়ে দেশি ওটিটিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিদেশি যেসব প্ল্যাটফর্ম আছে সেগুলোর কী হবে? আমি মনে করি পারিবারিক মূল্যবোধ, রুচিবোধ সমৃদ্ধ করতে হবে। ফোনের ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। যারা শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের দায়টা বাড়াতে হবে।’

এর আগে দেশের বেশকিছু ওয়েব সিরিজ নিয়ে অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছিল। যার মধ্যে ওয়াহিদ তারিকের ‘বুমেরাং’, সুমন আনোয়ারের ‘সদরঘাটের টাইগার’ ও শিহাব শাহীনের ‘আগস্ট ১৪’ উল্লেখযোগ্য। এবার তার ‘অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজটি নিয়ে আবারও অভিযোগ উঠল।

ওয়েব সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’-এর সিক্যুয়েল ‘মাইশেল্ফ অ্যালেন স্বপন’ রোজার ঈদে দেশীয় একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেওয়া হয়। ‘সিন্ডিকেট ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় ভিলেন চরিত্র ‘অ্যালেন স্বপন’-এর নামকরণে এবারের সিরিজে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান। এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, সুমন আনোয়ার, রফিকুল কাদের রুবেল, শিমলা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু ও আনিসুল হক বরুণকে।










শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা